আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:১৬ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১০, ২০২৩

সরকারি প্রতিষ্ঠান
সেই টেলিটক এখন সরকারের বোঝা
শুরুতে আশা জাগিয়েছিল। এখন গ্রাহক, রাজস্ব, নেটওয়ার্কের আওতা—সব ক্ষেত্রে সবার চেয়ে অনেক পিছিয়ে। বছর বছর লোকসান।

২০০৫ সালে টেলিটক যখন বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে, তখন মানুষের আগ্রহের কোনো শেষ ছিল না। কারণ, সরকারি এই মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর কম খরচে কথা বলার সুযোগ দেওয়ার প্রত্যাশা জাগিয়েছিল। তখনকার পত্রিকা ঘেঁটে দেখা যায়, টেলিটক প্রতি মিনিট কথা বলার মাশুল (কলচার্জ) ধার্য করেছিল ৪ টাকা, যা গ্রামীণফোনের ক্ষেত্রে ছিল ৬ টাকা। রাত ১০টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত কথা বলা যেত ২ টাকা ৬০ পয়সা দিয়ে। টেলিটকের প্রি–পেইড একটি সিমের দাম ছিল তিন হাজার টাকা। এটিও অন্য অপারেটরের চেয়ে বেশ কম ছিল।ব্যয়সাশ্রয়ী হওয়ায় তখন মানুষ লাইন ধরে টেলিটকের সিম (গ্রাহক শনাক্তকরণ নম্বর) কিনেছিলেন। আজ ১৭ বছর পর টেলিটক চারটি অপারেটরের মধ্যে গ্রাহকসংখ্যা, রাজস্ব ও নেটওয়ার্কের আওতার দিক দিয়ে সবার পেছনে। প্রতিষ্ঠানটি বছর বছর লোকসান দিচ্ছে। বাড়ছে দায়দেনা। মোটাদাগে অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ ও অধ্যাপক রেহমান সোবহান দুটি কারণে সরকারি খাতে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান রাখার কথা বলেছিলেন।
জাহিদ হোসেন, বিশ্বব্যাংকের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ-টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইটে গেলে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের ছবিসহ একটি উদ্ধৃতি দেখা যায়। সেটি হলো, ‘টেলিটককে মানুষের প্রত্যাশার জায়গায় নিয়ে যেতে আমরা কাজ শুরু করেছি এবং সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন টেলিটক হবে মানুষের প্রথম পছন্দ।’মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার প্রথম আলোকে বলেন, ‘একটি মোবাইল অপারেটরের সফল হওয়ার পেছনে মূল বিষয় হলো বিনিয়োগ। বিনিয়োগ না হলে, প্রয়োজনীয় অবকাঠামো তৈরি না হলে কোনো প্রতিষ্ঠান দাঁড়াতে পারে না। টেলিটকে সরকারি যে বিনিয়োগ হওয়া প্রয়োজন, ছিল তা হয়নি।’ সূত্র: প্রথম আলো

এবার বৃত্তাকার রেলপথ

ঢাকা মহানগরীকে কেন্দ্র করে চারপাশ ঘিরে তৈরি হবে বৃত্তাকার রেলপথ। তবে এই রেলপথ মাটির সমান্তরালে থাকছে না। বেশির ভাগই থাকবে উড়ালপথে, বাকিটা মাটির নিচে। রেলওয়ের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২৮ সালে এই রেলপথের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা। এরই মধ্যে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শেষ করেছে রেলওয়ে।
প্রকল্পটি প্রাইভেট পাবলিক পার্টনারশিপ (পিপিপি) প্রক্রিয়ায় বাস্তবায়ন করবে কোরিয়া। কোরিয়ার একটি প্রতিষ্ঠানও সম্ভাব্যতা যাচাই করে দেখেছে। এখন জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ হলেই মূল নির্মাণকাজের দিকে এগোতে পারবে রেলওয়ে। প্রাথমিকভাবে প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ৭২ হাজার কোটি টাকা।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রকল্পের খরচ আরো বাড়তে পারে। আবার রেলওয়ের বৃত্তাকার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পটি মহানগরকেন্দ্রিক হওয়ায় এটি বাংলাদেশ রেলওয়ে নির্মাণ করবে, নাকি মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ নির্মাণের দায়িত্বে থাকবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

ভোটের আগে জোটের হাওয়া

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাকি এখনো এক বছর। ইতোমধ্যে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে নানা সমীকরণ। এর অংশ হিসেবে পুরনো জোট ভাঙছে, গড়া হচ্ছে নতুন জোট। কিছুদিন হলো প্রতিদিনই নতুন নতুন জোটের আত্মপ্রকাশ ঘটছে। নিবন্ধনহীন, নাম-প্যাডসর্বস্ব দলগুলো জোট গঠনের তোড়জোড় শুরু করেছে। লক্ষ্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সুবিধামতো আওয়ামী লীগ অথবা বিএনপির দিকে ঝুঁকে পড়া। ‘বহু দলের সমর্থন’ আছে- এ তকমা কাজে লাগিয়ে বড় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দরকষাকষি করতে চায় তারা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘ভোটের আগে জোটের হাওয়া’ লেগেছে রাজনীতিতে। তাই নিত্যনতুন জোটের আত্মপ্রকাশ হচ্ছে। নীতি-আদর্শের বালাই নেই এ ভাঙাগড়ায়। সবার লক্ষ্য ক্ষমতার স্বাদ পাওয়া। সংসদে প্রবেশের রাস্তা প্রশস্ত করা।বিগত ছয়টি জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, জোটের রাজনীতিই ভোটের ফলাফল নির্ধারণ করেছে। এ সময়ে জাতীয় পার্টি ও জামায়াত প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ক্ষমতায় আসার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে। একই সঙ্গে সংসদে নিজেদের অবস্থান পোক্ত করেছিল দল দুটি। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

Nagad

দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশীর হাজার প্রপার্টি

বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রকাশ্যে-গোপনে বিপুল পরিমাণ মূলধন স্থানান্তরিত হচ্ছে দুবাইয়ে। এ অর্থ পুনর্বিনিয়োগে ফুলেফেঁপে উঠছে দুবাইয়ের আর্থিক, ভূসম্পত্তি, আবাসনসহ (রিয়েল এস্টেট) বিভিন্ন খাত। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ডিফেন্স স্টাডিজের (সি৪এডিএস) সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরি জানিয়েছে, বাংলাদেশে তথ্য গোপন করে দুবাইয়ে প্রপার্টি কিনেছেন ৪৫৯ বাংলাদেশী। ২০২০ সাল পর্যন্ত তাদের মালিকানায় সেখানে মোট ৯৭২টি প্রপার্টি ক্রয়ের তথ্য পাওয়া গেছে, কাগজে-কলমে যার মূল্য সাড়ে ৩১ কোটি ডলার। তবে প্রকৃতপক্ষে এসব সম্পত্তি কিনতে ক্রেতাদের ব্যয়ের পরিমাণ আরো অনেক বেশি হতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। দুবাইয়ে বসবাসকারীসহ বিভিন্ন সূত্রের অনানুষ্ঠানিকভাবে জানানো তথ্য অনুযায়ী, ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরির পরিসংখ্যানটি করা হয়েছে সি৪এডিএসের ২০২০ সালের তথ্য নিয়ে। এরপর গত দুই বছরে দুবাইয়ে বাংলাদেশীদের প্রপার্টি ক্রয়ের প্রবণতা আরো ব্যাপক মাত্রায় বেড়েছে। এ সময়ের মধ্যে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি কিনেছে বাংলাদেশীরা, যার তথ্য তারা দেশে পুরোপুরি গোপন করে গেছেন। বিভিন্ন মাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, দুবাইয়ে বাংলাদেশীদের গোপনে কেনা প্রপার্টির অর্থমূল্য এখন কম করে হলেও ১ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। সূত্র: বণিক বার্তা।

খাদ্য আমদানির জন্য ১০০ কোটি ডলার ঋণ গ্যারান্টির প্রস্তাব বিশ্বব্যাংকের সংস্থার
দ্রব্যমূল্যের ক্রমবর্ধমান ঊর্ধ্বগতি ও চলমান ডলার সংকটের সময়ে– বিশ্বব্যাংক গ্রুপের একটি সংস্থা- মাল্টিলেটারাল ইনভেস্টমেন্ট গ্যারান্টি এজেন্সি (বা মিগা) অত্যাবশ্যকীয় নিত্যপণ্য আমদানির মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তার উন্নতির জন্য বাংলাদেশকে ৫০ থেকে ১০০ কোটি ডলারের ঋণ গ্যারান্টির প্রস্তাব দিয়েছে। মিগা- বিশ্বব্যাংক গ্রুপের রাজনৈতিক ঝুঁকির বিপক্ষে নিশ্চয়তা দানকারী একটি অঙ্গঃপ্রতিষ্ঠান। তারা তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য একটি রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল গঠনে– বিদেশী ঋণদাতাদের কাছ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা সহায়তা পাওয়ার বিষয়ে গ্যারান্টি দেওয়ারও আগ্রহ প্রকাশ করেছ।মিগার দক্ষিণপূর্ব এশিয়া ও অস্ট্রালোশিয়া অঞ্চলের প্রধান টিমোথি হিস্টেড এর পাঠানো একটি ইমেইলের বরাত দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সূত্রগুলো জানায়, বিদেশি বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংক মিগার গ্যারান্টিতে ‘ফুড সিকিউরিটি ইমপোর্ট ফ্যাসিলিটেশন প্রোগ্রাম (এফএসআইএফপি)’ কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশকে ৫০০ মিলিয়ন ডলার থেকে ১ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত স্বল্প-মেয়াদি ঋণ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে, যা এক বছরে পরিশোধ করতে হবে। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

বিএনপির গণঅবস্থান ঘিরে দুদলের নানা কর্মসূচি
রাজপথে আবার মুখোমুখি

রাজপথে আবার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও মাঠের বিরোধী দল বিএনপি। নতুন বছরের শুরু থেকে শক্তির মহড়া দেখাতে চায় দল দুটি। কাল গণঅবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দশ সাংগঠনিক বিভাগে ব্যাপক শোডাউনের প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি ও সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। ফাঁকা মাঠ ছাড়বে না আওয়ামী লীগও। একইদিনে কর্মসূচি দিয়ে রাজপথ দখলের ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীনরা। দুদলের রাজপথে অবস্থানকে কেন্দ্র করে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। এ উত্তাপ যাতে সংঘাতে রূপ না নেয় এমনটাই প্রত্যাশা সাধারণ মানুষের। এদিকে যে কোনো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সতর্ক অবস্থায় থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
বিএনপিকে ফাঁকা মাঠ ছাড়বে না আওয়ামী লীগ। আগামীকাল বিএনপির গণঅবস্থান কর্মসূচির দিনও সকাল থেকেই রাজধানী দখলের পরিকল্পনা নিয়েছে ক্ষমতাসীনরা। সূত্র; যুগান্তর

যন্ত্র বাস কন্ডাক্টরের পকেটে, ভাড়া হাতে হাতে

রাজধানীর গণপরিবহনে ওয়েবিল ও বাড়তি ভাড়া আদায় বন্ধ করতে গত ১৩ নভেম্বর মিরপুর অঞ্চলের ৩০টি কোম্পানির বাসে প্রথম ই-টিকিটিং চালু হয়েছিল। কিন্তু সেগুলোর বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নামমাত্র ই-টিকিটিং চালু আছে, ভাড়া আদায় করা হচ্ছে আগের নিয়মে হাতে হাতে। পয়েন্ট অব সেলস বা পিওএস মেশিন থাকছে কন্ডাক্টরের পকেটে। বাসের এই ই-টিকিটিং এখন লোক দেখানোতে পরিণত হয়েছে। এর মধ্যে আবার আরও ১৫টি পরিবহন কোম্পানির ৭১১টি বাসে আজ মঙ্গলবার থেকে ই-টিকিটিং চালু করছে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।বাসের ই-টিকিটিং চালুর সময় বলা হয়েছিল বাসের ভেতরে যাত্রীদের থেকে ভাড়া আদায় করা যাবে না। প্রতিটি বাসের নির্দিষ্ট দূরত্বে কাউন্টার থাকবে। সেই কাউন্টার থেকে পয়েন্ট অব সেলস বা পিওএস মেশিনের মাধ্যমে টিকিট কেটে বাসে উঠতে হবে। কিন্তু এর কোনো কিছুই বাস্তবায়ন হয়নি। পিওএস মেশিনে টিকিট না দিয়ে কন্ডাক্টরের পকেটে রাখা হয়। বেশির ভাগ বাসেই এই সেবা আর চলছে না সঠিকভাবে। রাজধানীতে ই-টিকিটিং ব্যবস্থার কোনো অবকাঠামো ও ব্যবস্থাপনা গড়ে ওঠেনি। ই-টিকিটং ব্যবস্থা কি আদৌ কার্যকর হয়েছে জানতে চাইলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, ‘শতভাগ ই-টিকিটিং সিস্টেম চালু করতে পেরেছি বলব না, এখনো কিছু অনিয়ম রয়েছে। তারপরও মঙ্গলবার ১০ জানুয়ারি থেকে মোহাম্মদপুর, আজিমপুর ও গাবতলীতে ১৫ কোম্পানির ৭১১টি বাসে ই-টিকিটিং চালু হবে। ফলে ঢাকার মোট ৪৫টি কোম্পানি ই-টিকিটিংয়ের আওতায় আসবে।’ সূত্র: দৈনিক বাংলা

‘এমপি’ মাশরাফী ‘সভাপতি’ সাকিবকে পাপনের জবাব

সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করেছেন সাকিব আল হাসান। তার সঙ্গে যোগ করেছেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাও। দায়িত্ব পেলে সব বদলে দেওয়ার কথাও বলেছিলেন সাকিব। কয়েকদিন ধরে চলা এসব মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। গতকাল এক মাল্টিমিডিয়ায় সাকিব-মাশরাফীদের কথার জবাব দেন তিনি। সাকিব প্রসঙ্গে পাপন বলেছেন, ‘সাকিব এর আগে একবার বলেছিল, আমি যদি বিসিবির সভাপতি হই তাইলে আমি … (সেরা কী যেন একটা করব), কোথায় জানি বলেছিল। কারণ ও জানে যে, এটা আসলে সম্ভব নয়। বিসিবিতে হলে তো হবে না, তাহলে তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বাদ পড়তে হবে। এটা আসলে অন্য একটা ইস্যু।’ বাংলাদেশের সফলতম অধিনায়ক মাশরাফীকে বিসিবিতে দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘মাশরাফিকে আমরাও চাই, এখন ও আসবে কোথায়? একটা কথা ভুলে গেলে হবে না, ও একজন সম্মানিত সংসদ সদস্য। তাই আমি ওকে যে কোনো জায়গা দিলে হবে না। ওরও তো নিজের একটা ব্যাপার আছে, ওর সময়। ও সময় দিতে পারবে কিনা, কারণ ও তো এখন বেশ সময় দেয় রাজনীতিতে। আমি যদি বলি, তুমি বয়সভিত্তিক পর্যায় চালাও, এইচপির হেড হও, টিম ম্যানেজার হয়ে টিমের সঙ্গে যাও। এগুলো কিন্তু আগে যত সহজ ছিল, এখন যত সময় যাচ্ছে তত কিন্তু কঠিন হচ্ছে। ’ সূত্র; কালবেলা

ভোটের জন্য বিদ্যুৎকেন্দ্র, দাম দিচ্ছেন ভোটাররাই
শুনতে অবাক লাগলেও দেশের অপ্রয়োজনীয় বিদ্যুৎকেন্দ্রে ইউনিটপ্রতি উৎপাদন ব্যয় কখনও কখনও দেড় হাজার টাকা ছাড়িয়ে গেছে। পাঁচ বছর ধরে ভান্ডার শূন্য হয়ে আসা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) নির্দিষ্ট কয়েকটি কেন্দ্রকে এমন অদ্ভুত দাম পরিশোধ করে আসছে। এসব কেন্দ্রকে অনেকেই বলছেন ‘পলিটিক্যাল পাওয়ার প্ল্যান্ট’ বা ‘রাজনৈতিক বিদ্যুৎকেন্দ্র’। দেশের ব্যবসায়ীরা সরকারকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করে- এ তারই একটি দৃষ্টান্ত।পাওয়ার সেলের সাবেক মহাপরিচালক বিডি রহমত উল্লাহ বলেন, ব্যবসায়ীরা যেভাবে সুবিধা হয় সেভাবেই করতে বলেন। রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রত্যেকটি পুরোনো মেশিন কিনে এনে বানানো হয়েছে। তিনি বলেন, সিঙ্গাপুর ও মধ্যপ্রাচ্য যেসব বিদ্যুৎকেন্দ্র আর চলবে না বলে বাতিল করে দেয়, সেগুলোই রঙচঙ করে এখানে এনে বসানো হয়।পিডিবি কর্মকর্তারা বলছেন, ২০১৬-১৭ থেকে ২০২০-২১ অর্থবছরজুড়ে এমন অস্বাভাবিক দাম পরিশোধ করতে হয়েছে। দেশের ইতিহাসে আগে যা কোনোদিন ঘটেনি। ফলে কেন এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হলো এখন সেটিই বড় প্রশ্ন। এসব কেন্দ্র একদিকে যেমন রাষ্ট্রের কোষাগার ফাঁকা করেছে, তেমনি দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করতে সরকারকে বাধ্য করেছে। বিদ্যুতের দামের সঙ্গে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। ফলে সাধারণ মানুষকে এই বোঝা বহন করতে হচ্ছে। কেন পলিটিক্যাল পাওয়ার প্ল্যান্ট: দেশের ইতিহাসে ২০১৫ সালের গ্রীষ্মকালে (মার্চ-জুন) ভয়াবহ লোডশেডিং হয়। সরকার তার আগে থেকে বিদ্যুৎব্যবস্থার উন্নতির বার্তা প্রচার করে আসছিল। কিন্তু লোডশেডিং বিব্রতকর অবস্থা সৃষ্টি করে। তখন ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনে এর কী প্রভাব পড়তে পারেÑ সরকারের মধ্যে তা নিয়ে বিশ্লেষণ শুরু হয়। সূত্র বলছে, জন-অসন্তোষ যাতে সৃষ্টি না হয়, সেজন্য জরুরি পদক্ষেপ নিতে বলা হয়। তখন তড়িঘড়ি করে নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমোদন দেওয়া হয়। সূত্র: প্রতিদিনের বাংলাদেশ

মোমেন-কিন গ্যাং বৈঠক
চীনের কাছে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের ঘোষণা চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে চীনের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং এর সঙ্গে বৈঠক করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। বৈঠক শেষে মঙ্গলবার রাত ২টা ৫০ মিনিটে আফ্রিকার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠকের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। দুই দেশের মধ্যে আলোচনার বিষয়গুলো তুলে ধরে তিনি।
চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের পরিমাণ বাণিজ্য ঘাটতির বিষয়টি কিন গ্যাংকে অবহিত করা হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীনের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন পার হলেও বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা সেই সুবিধা পাচ্ছেন না। এ বিষয়ে ঘোষণা দিতে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করা হয়েছে। পদ্মাসেতুসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে চীনের সহযোগিতার বিষয়ও আলোচনায় উঠে এসেছে। সূত্র: সমকাল