‘ডিজিটাল সিস্টেমে যে কেউ যেন ভাষা শিখতে, ব্যবস্থা করে দিয়েছি’

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৬:৫৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। দেশের মানুষের কাজের সুবিধার জন্য আমরা নয়টি ভাষার একটি অ্যাপস করে দিয়েছি। ডিজিটাল সিস্টেমে যে কেউ যেন ভাষা শিখতে পারে, আমরা সেই ব্যবস্থা করে দিয়েছি।’

আজ মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। রাজধানীর কাকরাইলে অবস্থিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অনুষ্ঠানে তিন ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানকে মাতৃভাষা পদক দেওয়া হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘শিশুরা তাড়াতাড়ি ভাষা শিখতে পারে। তারা একসঙ্গে দুই-তিনটা ভাষা দ্রুত শিখে নেয়। তবে কোনটা ধারণ করবে সেটা আসে পরে। মাতৃভাষায় শিক্ষাটা হলে সবকিছু জানা, বোঝা ও উপলব্ধি প্রকাশ করার উপকার অনেক বেশি।’

গবেষণার গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট গবেষণায় ফেলোশিপ দিক, আমি চাই। যদি অর্থ বরাদ্দের প্রয়োজন হয়, তাও আমরা দিবো। প্রধানমন্ত্রী বলেন, গবেষণা করতেই হবে। কারণ গবেষণা ছাড়া কোনো বিষয়ে উৎকর্ষ সাধন সম্ভব নয়।

এসময় তার সরকারের আমলে গবেষণায় বরাদ্দের চিত্রও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘এখন ফ্রিল্যান্সিংয়ের যুগ। আমাদের ছেলেমেয়েরা ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা উপার্জন করতে পারছে। আমরা তাদের লার্নিং এবং আর্নিংয়ের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। তারা এখন একেবারে ইউনিয়নে বসে বিদেশে কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারছে।’

Nagad

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজ আমাদের মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। বাঙালি জাতি রক্ত দিয়ে মা ডাকার অধিকার পেয়েছিল আজকের এই দিনে। জাতিকে ধ্বংস করার জন্য সংস্কৃতির ওপর অনেক আঘাত আনা হয়। আমাদের ভাষা পাল্টে দিয়ে অন্য ভাষা তুলে ধরা হয়।’

বাংলা ভাষার জন্য পাকিস্তানিরা একের পর এক অত্যাচার করেছে মন্তব্য করে সরকারপ্রধান বলেন, বাঙালিকে ধ্বংস করার জন্য ভাষার ওপর আঘাত হানা হয়েছিল। এই দিনে বাঙালি রক্ত দিয়ে রক্তের অক্ষরের অধিকার আদায় করেছিল।