আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৩৫ অপরাহ্ণ, মে ১৩, ২০২৩

স্মৃতি হয়ে যায় ভোটের প্রতিশ্রুতি

ঢাকার দুই সিটি মেয়রের দায়িত্ব পালনের তিন বছর হলো। এই সময়ে তারা নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির এক-তৃতীয়াংশেরও বাস্তবায়ন কাজ শুরু করতে পারেননি। যেগুলো শুরু করেছেন, সেগুলো থেকে কাক্সিক্ষত সফলতাও মিলছে না। এই হতাশার মাঝে আশার দিক হলো জলাবদ্ধতা কমেছে, পার্ক, মাঠ ও উদ্যানের উন্নয়ন হয়েছে, বেড়েছে আর্থিক সচ্ছলতা এবং বাসযোগ্য নগর গঠনে অনেক ক্ষেত্রে দুই মেয়রের আন্তরিক প্রচেষ্টা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নির্বাচনে ঢাকার দুই মেয়র যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তার বেশির ভাগেরই বাস্তবায়নের সক্ষমতা নেই তাদের। রয়েছে এখতিয়ারবহির্ভূত প্রতিশ্রুতিও। এসব প্রতিশ্রুতি মূলত ভোটে জয়লাভের জন্য নগরবাসীকে প্রলুব্ধ করতে দেওয়া। প্রতিশ্রুতি যে ওয়াদা এবং সেটা পালন করা আবশ্যক দুই মেয়রের কার্যক্রম দেখে তা মনে হয় না।ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন হয় ২০২০ সালের ১ ফেব্র“য়ারি। আওয়ামী লীগ মনোনীত দুই প্রার্থী ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) মো. আতিকুল ইসলাম এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বিজয়ী হন। ওই বছরের ২৭ ফেব্র“য়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের শপথ পাঠ করান। ডিএনসিসির মেয়র ১৩ মে দায়িত্ব নেন। ডিএসসিসির মেয়র দায়িত্ব নেন ১৬ মে। সূত্র: দেশ রুপান্তর।

মোখা অতি প্রবল, আঘাত হানবে কাল

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে ‘মোখা’। আগামীকাল রবিবার সন্ধ্যার মধ্যে যেকোনো সময় এটি কক্সবাজার ও মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। বাংলাদেশে উপকূলীয় ১২ জেলায় ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এসব এলাকা ৫-১২ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। মোখা অতি প্রবল, আঘাত হানবে কালএসব জেলা হলো কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর ও বরগুনা। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় এসব জেলায় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।গত রাত পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়টি পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছিল। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, মোখার প্রভাবে কক্সবাজারের টেকনাফ ও সেন্ট মার্টিন দ্বীপ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এ ছাড়া টেকনাফ ও উখিয়ার আশ্রয়শিবিরগুলোতে বসবাসকারী রোহিঙ্গারাও ঝুঁকিতে আছে। সূত্র: কালের কণাঠ

গ্রামীণ ইউনিক্লো বন্ধ করার কারণ সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে

এক দশকের পথচলায় গ্রামীণ ইউনিক্লো বর্তমানে বাংলাদেশে তৈরি পোশাকের পরিচিত ব্র্যান্ডগুলোর একটি। তবে গত বৃহস্পতিবার হঠাৎ ব্র্যান্ডটির কার্যক্রম বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে ইউনিক্লো সোশ্যাল বিজনেস বাংলাদেশ লিমিটেড। ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ১৮ জুনের পর গ্রামীণ ইউনিক্লোর বিক্রয়কেন্দ্রগুলোর ফটক খুলবে না। ক্রেতাদের স্বাগত জানাতে কর্মীদের সমস্বরে বলা সেই কথাও আর শোনা যাবে না, ‘ওয়েলকাম টু গ্রামীণ ইউনিক্লো…।’ গ্রামীণ ইউনিক্লোর প্রধান কার্যালয় গুলশানে। আর সচল বিক্রয়কেন্দ্রের সংখ্যা ১০। সব মিলিয়ে বর্তমানে দেড় শ কর্মী কাজ করেন। কর্তৃপক্ষ হঠাৎ প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় কর্মীরা নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা পড়েছেন।গ্রামীণ ইউনিক্লোতে কর্মরত কয়েক কর্মী বলেছেন, কোনো ধরনের পূর্বাভাস ছাড়াই গত বুধবার কর্তৃপক্ষ প্রধান কার্যালয়ে এক জরুরি বৈঠকে প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্তের বিষয়টি কর্মীদের জানায়। পরদিন, অর্থাৎ গত বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি দেওয়া হয়। তাঁরা আরও বলেন, হঠাৎ কেন গ্রামীণ ইউনিক্লো বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো, সেটি তাঁদের কাছে পরিষ্কার নয়। সূত্র: প্রথম আলো

Nagad

আইওসি উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী
জোরদার করতে হবে সামুদ্রিক কূটনীতি

ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও শ্রদ্ধা জোরদার এবং অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার পাশাপাশি এ অঞ্চলের স্থিতিশীল ভবিষ্যতের জন্য সামুদ্রিক কূটনীতি জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।শুক্রবার ঢাকায় ২ দিনব্যাপী ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স (আইওসি) উদ্বোধনকালে তিনি এই আহ্বান জানান। এ সময় তিনি টেকসই পদ্ধতিতে রোহিঙ্গাদের নিজ বাসভূমে প্রত্যাবাসনে সক্রিয় বৈশ্বিক সহায়তা কামনা করেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভারত মহাসাগর ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, এ অঞ্চলের সব দেশের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ। আমি ষষ্ঠ সম্মেলনে ছয়টি অগ্রাধিকারের বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করতে চাই। আমরা সম্প্রতি ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুক প্রণয়ন করেছি।’ বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন এই সম্মেলনের আয়োজন করছে। মরিশাসের প্রেসিডেন্ট ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ২৫টি দেশের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধি দল সম্মেলনে যোগ দিচ্ছে। এছাড়া ডি-৮, সার্ক ও বিমসটেকের প্রতিনিধিসহ প্রায় ১৫০ জন বিদেশি অতিথি অংশ নিচ্ছেন। সম্মেলনে মিয়ানমারকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।উদ্বোধনী অধিবেশনে মরিশাসের প্রেসিডেন্ট পৃথ্বীরাজসিং রূপন, মালদ্বীপের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফয়সাল নাসেম, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন এবং সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র বিষয়ক সেকেন্ড মন্ত্রী ড. মালিকী ওসমান সম্মেলনে বক্তব্য দেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম। সূত্র: যুগান্তর

রোহিঙ্গাদের বোঝা টানা সম্ভব হচ্ছে না
ঢাকায় ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলন উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

মিয়ানমারের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসন নিশ্চিতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সক্রিয় সমর্থন চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ষষ্ঠ ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি রোহিঙ্গা সমস্যার বিষয়টি তুলে ধরেন। দুই দিনব্যাপী কনফারেন্সে যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ ২৫টি দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিসহ হাইব্রিড ফরমেটে এতে বিভিন্ন দেশের দেড় শতাধিক প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন। আজ সম্মেলনের শেষ দিন। সম্মেলনে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশ হওয়া সত্ত্বেও মিয়ানমারকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যাকে বৈশ্বিক সমস্যা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশের পক্ষে তাদের বোঝা টানা আর সম্ভব হচ্ছে না। এ সময় সমুদ্র বিষয়ে বিপুল সম্ভাবনা থাকার পরও ভারত অঞ্চল অবহেলিত বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি শান্তি ও সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠায় এ অঞ্চলের দেশগুলোকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বিভিন্ন রাষ্ট্রকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এ অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠায় দেশগুলোকে অংশীদারির ভিত্তিতে কাজ করতে হবে। সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্টা চালালে দেশগুলো সমুদ্রসম্পদ ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে আরও উপকৃত হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ সম্মেলন আয়োজনে সহযোগিতা করায় ভারতের প্রতি ধন্যবাদ। বর্তমান বিশ্বের ৬০ শতাংশ বাণিজ্য সমুদ্রপথে পরিচালিত হচ্ছে। গত ১৫ বছরে সমুদ্রপথে বাণিজ্য আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু এই বিপুল সম্ভাবনা এখনো অনেকটাই অব্যবহৃত রয়েছে। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কৌশলগত, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন ।

এশিয়ার সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর করিডোর পেট্রাপোল-বেনাপোল

বাংলাদেশে ভারত সীমান্তে সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর বেনাপোল। সীমান্তের ওপারে ভারতীয় অংশে পেট্রাপোল স্থলবন্দরকে বলা হয় এশিয়ার সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর। এ দুয়ে মিলে তৈরি করেছে এশিয়ার বৃহত্তম স্থলবন্দর করিডোরটি। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে করিডোরটির দূরত্ব ২৪০ কিলোমিটার ও পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা থেকে এ দূরত্বের পরিমাণ ৮০ কিলোমিটার। পেট্রাপোল-বেনাপোল স্থলবন্দর করিডোর এখন হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার স্থলবাণিজ্যের প্রধান কেন্দ্র। দুই দেশের স্থলবাণিজ্যের ৩০ শতাংশই সম্পাদিত হচ্ছে এখান দিয়ে। শুধু স্থলবাণিজ্য নয়, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে মানুষ পারাপারেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে পেট্রাপোল-বেনাপোল। প্রতি বছর এখান দিয়ে যাতায়াত করছে গড়ে ২২ লাখ যাত্রী। দুই দেশের মধ্যে যাত্রী পারাপার ও পণ্য পরিবহনকে সহজ করতে এখানে চালু রয়েছে সমন্বিত চেকপোস্ট। সূত্র: বণিক বার্তা।

ঋণ গ্যারান্টারদের জন্য আর সহজে গা বাঁচানোর পথ নেই

এখন থেকে ব্যাংক বা অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে কেউ ঋণ নিতে চাইলে তার গ্যারান্টর হওয়ার আগে দুবার ভেবে-চিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। কারণ গ্যারান্টররা আর মূল ঋণগ্রহীতাদের থেকে সম্পর্ক চিন্ন করে গা বাঁচাতে পারবে না। মূল ঋণগ্রহীতা খেলাপি হলে আদালতের স্থগিতাদেশকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে সুদসহ পুরো ঋণ শোধের দায়ও এড়াতে পারবে না তারা। কোনো ঋণগ্রহীতা ঋণ শোধে ব্যর্থ হলে তার গ্যারান্টরের সম্পত্তি নিলামে তোলার পথ পরিষ্কার হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এক ঐতিহাসিক রায়ে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে একটি আপিল নিষ্পত্তি করে আদালত রায় দেন যে গ্যারান্টররা রিট দায়ের করে নিলাম কার্যক্রম বন্ধ করতে পারবে না। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের প্রকাশিত পূর্ণাঙ্গ রায়ে স্পষ্ট করা হয়েছে যে, অর্থ ঋণ আদালত আইন-২০০৩ অনুযায়ী কোনো গ্যারান্টরের সম্পত্তি নিলামে তুলে ব্যাংকের পাওনা সমন্বয় করতে কোনো বাধা নেই। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

ঘূর্ণিঝড় মোখা: ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধে দক্ষিণ উপকূলে শঙ্কা

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র গতি বাড়ছে। চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের দিকে ধেয়ে আসা অতি প্রবল এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকাগুলো বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। তাই ‘মোখা’ শঙ্কিত করে তুলেছে গত কয়েক বছরের একাধিক প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে না পারা দেশের দক্ষিণ উপকূলের বাসিন্দাদেরও। ঝুঁকিপূর্ণ ও জরাজীর্ণ বেড়িবাঁধগুলোর কারণে আবারও লোকালয়ে প্লাবনের শঙ্কায় রয়েছেন উপকূলবাসী।
বিশেষ করে খুলনার কয়রা, দাকোপ ও পাইকগাছা, সাতক্ষীরার শ্যামনগর ও আশাশুনি এবং বাগেরহাটের শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ ও মোংলা উপজেলার অনেক বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকায় এখানকার বাসিন্দাদের শঙ্কা বেড়েছে। খোদ পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য বলছে, ওই তিন জেলার প্রায় ৬০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত বা বড় ধরনের জলোচ্ছ্বাস হলে বাঁধ উপচে পানি ঢোকার আশঙ্কা করা হচ্ছে এসব জেলার উপকূলে। সূত্র: বিডি নিউজ

ঘূর্ণিঝড়ে মহাবিপদ, আওয়ামী লীগ-বিএনপি পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী ও ইমরান খানের জামিন

লাশ লুকাতে ‘নিরাপদ’ নদীর ৫৬ স্থান-সমকালের বিশেষ প্রতিবেদনের শিরোনাম এটি।খবরে বলা হয়, রাজধানীর চারপাশের ১১০ কিলোমিটার নৌপথে মিলছে একের পর এক লাশ। ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে লাশ এনে সহজে নদীতে ফেলে যাচ্ছে অপরাধীরা। কারও পরিচয় মিলছে, কারও নাম-পরিচয় থেকে যাচ্ছে অজানা। ফলে বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, বালু ও তুরাগ হয়ে উঠেছে লাশ গুমের ‘নিরাপদ অঞ্চল’।এই চার নদ-নদীর ঝুঁকিপূর্ণ ৫৬ স্থান শনাক্ত করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর মধ্যে ২৫ স্থানে জরুরি ভিত্তিতে সিসিটিভি ও বাতি বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।আজকের সবকটি পত্রিকাজুড়েই ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র খবরাখবর। দৈনিক সংবাদের শিরোনাম – কক্সবাজার: দ্বীপ ছেড়েছে হাজারো মানুষ, নিরাপদ আশ্রয়ে যাচ্ছে।ভেতরে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ শক্তিশালী হয়ে কক্সবাজারের দিকে এগিয়ে আসছে। এটি কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপসহ মায়ানমারের উপকূল এবং এর আশেপাশের উপর দিয়ে বয়ে যাবে। এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

 

আন্তর্জাতিক বাজার পাচ্ছে না বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১
৪০ ট্রান্সপন্ডারের মধ্যে ভাড়া হয়েছে ২২টি
পাঁচ বছর আগে উৎক্ষেপণ করা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ১-এর মাধ্যমে এখন পর্যন্ত চারশ কোটি টাকার বেশি আয় করেছে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল)। বর্তমানে কোম্পানিটির মাসিক আয় প্রায় ১০ কোটি টাকা। তবে আয়ের প্রায় পুরোটাই দেশীয় বাজার থেকে আসছে। ক্রমান্বয়ে এই বাজার আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছে কোম্পানিটি। তবে স্যাটেলাইটের আন্তর্জাতিক বাজার ধরতে পারছে না বিএসসিএল। ০১৮ সালের ১২ মে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল থেকে ‘স্পেস এক্স’-এর স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকারী যান ফ্যালকন-৯ এর মাধ্যমে উৎক্ষেপণ করা হয় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১। এর মধ্য দিয়ে বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে নিজস্ব স্যাটেলাইটের মালিক হয় বাংলাদেশ।বে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে সফলতা পেলেও আন্তর্জাতিক বাজার ধরতে পারছে না বিএসসিএল। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক বাজারে স্যাটেলাইট ব্যান্ডউইথের দামের তুলনায় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের ব্যান্ডউইথের দাম কয়েকগুণ বেশি হওয়ার কারণে বিদেশি বাজার ধরা যাচ্ছে না। আবার ব্যান্ডউইথের দাম কমালে দেশীয় প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আয় কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে কম দামে ব্যান্ডউইথ বিক্রির সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না বিএসসিএল।বিএসসিএল গঠনের আগে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন জানিয়েছিল- উৎক্ষেপণের সাত বছরের মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর খরচ উঠে আসবে। তবে আয়ের বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে তা সম্ভব হবে না। সাধারণত এই স্যাটেলাইটের আয়ু ১৫ বছর ধরা হয়।স্যাটেলাইটটি তৈরি ও উৎক্ষেপণের দায়িত্ব ছিল ফ্রান্সের প্রতিষ্ঠান থ্যালাস অ্যালেনিয়া স্পেস। স্যাটেলাইটটি মহাকাশে পাঠাতে সব মিলিয়ে বাংলাদেশের খরচ দাঁড়ায় ২ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা। সূত্র: দৈনিক আমাদের সময় ।