আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৩১ পূর্বাহ্ণ, মে ৩১, ২০২৩

বিদ্যুৎ পরিস্থিতি
গ্যাস-কয়লার অভাবে লোডশেডিং বাড়ছে
ডলার–সংকটে জ্বালানি আমদানি ব্যাহত। বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার ১৮ শতাংশ অব্যবহৃত জ্বালানির অভাবে।

তাপপ্রবাহের কারণে দেশে গরম বেড়েছে। বেড়েছে বিদ্যুতের চাহিদাও। কিন্তু পর্যাপ্ত উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি নেই। এতে বিদ্যুৎকেন্দ্রের একাংশ অলস বসে থাকছে; বাড়ছে লোডশেডিং। বিদ্যুতের ঘাটতি বাড়লে সাধারণত গ্রামে বেশি লোডশেডিং করা হয়। তবে এখন রাজধানীতে লোডশেডিং করা হচ্ছে। ঢাকার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা জানান, গতকাল মঙ্গলবার কয়েক দফা করে লোডশেডিং হয়েছে।দেশে এখন বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংখ্যা ১৫৩। গত সোমবারের হিসাবে, ওই দিন অন্তত ৫২টি বিদ্যুৎকেন্দ্র বসে ছিল। কোনো কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র বসে ছিল কয়লা, গ্যাস অথবা জ্বালানি তেলের অভাবে। রক্ষণাবেক্ষণসহ বেশ কিছু কারণে বন্ধ ছিল কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র। এটা প্রায়ই হয়ে থাকে বলে জানান, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) দুজন কর্মকর্তা। তাঁরা বলেন, উৎপাদন বন্ধ থাকলেও বিদ্যুৎকেন্দ্রকে ক্যাপাসিটি চার্জ বা কেন্দ্রভাড়া পরিশোধ করতে হয়। পিডিবির তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে কেন্দ্রভাড়া দিতে হয়েছে ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি।দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা এখন ২৩ হাজার ৩৭০ মেগাওয়াট। পিডিবির তথ্য বলছে, এর মধ্যে ২৪ থেকে ২৯ মে পর্যন্ত গড়ে প্রতিদিন ৪ হাজার ২৯৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ব্যবহার করা যায়নি জ্বালানির অভাবে, যা মোট উৎপাদন ক্ষমতার ১৮ শতাংশের কিছু বেশি। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অন্তত দুই হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রাখতে হয়। বাকি ১৭ হাজার মেগাওয়াট সক্ষমতা ব্যবহার করে দিনের বেলায় গড়ে উৎপাদন করা হয়েছে ১১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট। রাতে উৎপাদিত হয়েছে গড়ে ১৩ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট। সূত্র: প্রথম আলো

প্রত্যাশা পূরণের চাপ বাজেটে

নির্বাচনী বছর বাজেটে নানা রকম জনপ্রত্যাশা থাকে। কিন্তু অর্থনৈতিক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে দেশ। এর মধ্যে রয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের শর্ত পূরণের চাপ। সঙ্গে যোগ হয়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংরক্ষণ, আর্থিক খাতের সংস্কার, বাড়তি ৬৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়, বিদ্যুতে ৩৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি প্রদান, ঘাটতি পূরণে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে দেড় লক্ষাধিক টাকা ঋণ নেওয়ার বিষয় এবং একই সঙ্গে বিপুল অঙ্কের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি বাস্তবায়ন। এসব নানামুখী চাপের মধ্যে জনগণের প্রত্যাশা পূরণের চ্যালেঞ্জ নিয়ে আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। কাল বৃহস্পতিবার সংসদ অধিবেশনে আসন্ন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট পেশ করবেন তিনি। অর্থ বিভাগ সূত্র জানায়, ‘উন্নয়নের দীর্ঘ অগ্রযাত্রা পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে’ শীর্ষক বাজেট বত্তৃদ্ধতায় স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজ করার কথা তুলে ধরবেন তিনি। নতুন বাজেট চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় এক লাখ এক হাজার ২৭৮ কোটি টাকা বা ১৫.৩৩ শতাংশ বেশি। সূত্র: কালের কণ্ঠ

৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটির বাজেট
সংসদে উপস্থাপন কাল অধিবেশন শুরু আজ

উচ্চ মূল্যস্ফীতি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বৈশ্বিক সংকট, ডলার সংকট, ব্যবসা-বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে মন্দা, জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ নানামুখী চাপ সঙ্গে করে টানা তৃতীয় (১৫ বছর) মেয়াদের শেষ বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছে সরকার। আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এ বাজেটের মোট আকার হতে পারে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। এ বাজেট আগামীকাল জাতীয় সংসদে ঘোষণা করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অর্থ বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। এদিকে ডলার সংকট কাটাতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ প্রকল্প চলমান রয়েছে। এর বিপরীতে দেওয়া শর্ত পরিপালন করতে গিয়ে গ্যাস-বিদ্যুতের দাম দফায় দফায় বাড়াচ্ছে সরকার। যার প্রভাব পড়ছে জনজীবনে। এ ছাড়া ব্যাংক, আর্থিক ও রাজস্ব খাতে ব্যাপক সংস্কার আনতে হবে সরকারকে; প্রতি বছর ৫ শতাংশ হারে করদাতা বাড়াতে হবে। শুধু তাই নয়, আর মাত্র ছয় মাস পরই জাতীয় সংসদ নির্বাচন। বহুমুখী চাপের মুখে এ নির্বাচন সামনে রেখে জনগণকে সামান্য হলেও স্বস্তি দিতে চায় সরকার। এজন্য সামাজিক নিরাপত্তাসহ বহুরকম নির্বাচনী কর্মসূচি থাকছে বাজেটে। বাজেটের খসড়া ঘেঁটে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের ঘাটতি ধরা হতে পারে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার। এর মধ্যে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ধরা হতে পারে ৪ লাখ ৩৫ হাজার কোটি টাকার। বিশাল আকারের রাজস্ব আদায় করতে গিয়ে বাড়াতে হবে করের আওতা। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

Nagad

ঘাটতি পূরণে নির্ভরশীলতা বাড়ছে বিদেশি ঋণে
ত্রিমুখী চাপে বাজেট চূড়ান্ত
আইএমএফ’র শর্তে বাড়ছে কর রাজস্ব, কমছে সঞ্চয়পত্রের ঋণ * বাড়ছে মূলধনি ব্যয়ও

বৈশ্বিক সংকট, আইএমএফ-এর ঋণের শর্ত ও সীমিত রাজস্ব আয়-এই ত্রিমুখী চাপে চূড়ান্ত হয়েছে আগামী (২০২৩-২৪) অর্থবছরের বাজেট। সেখানে ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। এটি চলতি সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১ লাখ ১ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা বেশি। বড় অঙ্কের ব্যয় মেটাতে ৫ লাখ ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকার মোট আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এটি অর্জন করতে ২০২২-২৩ অর্থবছরের চেয়ে ৬৭ হাজার ৬৩৭ কোটি টাকা অতিরিক্ত আদায় করতে হবে।এরপরও মোট আয় ও ব্যয়ের মধ্যে যে ব্যবধান (ঘাটতি), তা নতুন অর্থবছরের জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশের ঘরে রাখা হয়েছে। টাকার অঙ্কে ঘাটতি বাজেট (অনুদানসহ) ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা।আগামী অর্থবছরের (২০২৩-২৪) জন্য উল্লিখিত বাজেট চূড়ান্ত করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এটি ১ জুন মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর জাতীয় সংসদে পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, যা প্রস্তাবিত বাজেট হিসাবে দীর্ঘ আলোচনার পর ২৫ জুন পাশ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর সেটি কার্যকর হবে ১ জুলাই থেকে। এ বছর বাজেটে বড় চাপ হচ্ছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত। এগুলো ঋণ দেওয়ার প্রথম বছরেই বাস্তবায়ন করতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে কর রাজস্ব আদায়ের অঙ্ক চলতি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬২ হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে।কারণ, আইএমএফ-এর হিসাবে আগামী অর্থবছরে কর রাজস্ব বাড়াতে হবে ৬৫ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া শর্ত অনুযায়ী সঞ্চয়পত্র থেকে চলতি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৭ হাজার কোটি টাকা কম ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে।পর্যায়ক্রমে সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ কমানোর শর্ত রয়েছে আইএমএফ-এর। অপরদিকে সঞ্চয়পত্র বিক্রি কমানোর ফলে সরকারের ঋণের যে ঘাটতি হবে, সেটি পূরণ করতে ব্যাপক হারে বাড়ানো হচ্ছে বৈদেশিক ঋণের লক্ষ্যমাত্রা। সূত্র: যুগান্তর

রড চোর চক্রের ফাঁদে প্রাণ গেল কিশোরের!
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নিচে দুর্ঘটনা

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ চলা অবস্থায় ওপর থেকে রড পড়ে এক কিশোর নিহতের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। রাজধানীর মহাখালীর ওই ঘটনায় মামলা হওয়ার পর গত সোমবার রাতে মো. হাসান নামে ওই প্রকল্পের এক শ্রমিককে গ্রেপ্তার করেছে রেলওয়ে থানা পুলিশ। হাসান জানিয়েছেন, নিহত কিশোরের নাম সুমন। সে কড়াইল বস্তিতে থাকত। তিনি নিজেও কড়াইল এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন, রড চোর চক্রের ফাঁদে পড়ে প্রাণ গেছে ওই কিশোরের। ঘটনার দিন সোমবার রাতেই ওই প্রকল্পের বনানী এলাকার ইনচার্জ হাসিব হাসান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। সেখানে হাসানকেই একমাত্র আসামি করা হয়েছে। কিশোরের মৃত্যু অবহেলাজনিত কারণে হতে পারে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা বনানী থানার উপপরিদর্শক মতিন বিশ্বাস সমকালকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, ফার্স্ট ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের অসাধু কর্মীদের যোগসাজশে একটি চক্র রড চুরি করতে পারে। সরানোর জন্য ওপর রড ফেলা হচ্ছিল। নিচে তা সংগ্রহ করতে আসে ওই কিশোর। রড চুরি করার জন্য কিশোরকে তারা ব্যবহার করতে পারে। সূত্র: সমকাল

ডেঙ্গুর বাড়াবাড়ি যাত্রাবাড়ীতে

মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১০ তলা। বেশ বড় ওয়ার্ডটির প্রায় পুরোটাই সব শয্যায় মশারির ভেতরে রোগী। একপাশে পুরুষ, অন্যপাশে নারী। সেখানে ভর্তি রয়েছেন মীনা আক্তার। যাত্রাবাড়ীর ধলপুর এলাকা থেকে এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিন দিন ধরে। তবে তার অবস্থা উন্নতির দিকে। চিকিৎসকরা বলছেন, সর্বশেষ রিপোর্ট যদি ভালো আসে, তাহলে তিনি বাড়ি ফিরতে পারবেন।মীনা আক্তার বলেন, ‘এলাকায় মশার ওষুধ দেয়া হয় না, সরকারের নজরদারি নাই।’ওয়ার্ডেই আরেক বেডে রয়েছে ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ইশরাত জাহান ফাবিহা। তারও অপেক্ষা রিপোর্টের জন্য। ফাবিহার বাবা মো. আলী হোসেন জানালেন, যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়ার ৬২ নম্বরে ওয়ার্ডে বাসা তাদের। তাদের গলিতে পাঁচটা বাড়ি। কেবল একটা বাড়ি ছাড়া প্রত্যেকটা বাড়িতে ডেঙ্গু রোগী। ‘এই মশা নাকি পরিষ্কার পানিতে হয়, কিন্তু আমাদের ওখানে তো কোনো পরিষ্কার পানি জমে থাকে না। ময়লা খাল, তারপরও এই অবস্থা প্রতিবছর কেন হয়। মশার ধরন বদলাইছে নাকি ওষুধে কাজ হয় না- এটা এখন একটু দেখা দরকার। কীটনাশক দিচ্ছে, কিন্তু মশা নির্মূল হচ্ছে না।’ সূত্র: দৈনিক বাংলা।

সংকটে চাপের বাজেট

মহামারী করোনার পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বিশ্বের প্রায় সব দেশই অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে রয়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি থেকে জনসাধারণকে কিছুটা স্বস্তি দিতে ঋণের সুদের হার বাড়িয়ে দেওয়াসহ নীতিনির্ধারণী নানা ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে। বাংলাদেশও এমন পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। বিদেশি মুদ্রার সংকটসহ মূল্যস্ফীতি সামাল দিতে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে শর্তসাপেক্ষে ধার নেওয়া ছাড়াও আমদানি ব্যয় কমিয়ে আনার পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু এখনো এর সুফল মেলেনি। এমন সংকটের মধ্যেই বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ বাজেট উপস্থাপন হতে যাচ্ছে। এবারের বাজেট সব দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ। একদিকে সামনে নির্বাচন, অন্যদিকে বৈশ্বিক ভূরাজনৈতিক চাপে চিড়েচেপ্টা দেশের অর্থনীতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়া, নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক দাম, আইএমএফের শর্তের জাল নানান বাস্তবতার মধ্যে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বিশাল বাজেট প্রস্তাব পেশ করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) জন্য বরাদ্দ করা অর্থ পুরোপুরি খরচ করতে না পারার শঙ্কার মধ্যেই আরও বড় বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী। যা চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১ লাখ ১ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা বেশি। যদিও অর্থনীতিবিদরা এ বাজেটকে বাস্তবতার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয় বলে মনে করছেন। সূত্র: দেশ রুপান্তর

‘বড় উদ্বেগে’ গুরুত্ব দিয়েই বাজেট: পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী

‘জনগণের বড় উদ্বেগের জায়গা’ মূল্যস্ফীতির হার কমিয়ে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা এবং প্রবৃদ্ধিকে প্রধান লক্ষ্য ধরে আগামী অর্থবছরের বাজেট করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম। তিনি বলেছেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় এবার বাজেটের আকার জিডিপির অনুপাতে আগের চেয়ে বাড়ানো হচ্ছে না।আগামী বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উত্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী। তার আগে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, কয়েক মাসের মধ্যে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চায় সরকার, সেজন্য বাজেটে পদক্ষেপ থাকবে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

অধ্যাপক ইউনূসের রাজনীতির চেষ্টা ও সেখান থেকে সরে আসা

নোবেল পুরষ্কার লাভ করার মাত্র পাঁচ মাসের মধ্যেই রাজনৈতিক দল গঠন করা কার্যক্রম শুরু করে সবাইকে অবাক করে দিয়েছিলেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।২০০৭ সালের ১১ই জানুয়ারি সেনাবাহিনীর সমর্থনে এবং ফখরুদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়। এর কিছুদিন পর থেকেই অধ্যাপক ইউনূসের রাজনৈতিক দল গঠনের গুঞ্জন শুরু হয়।যদিও ফখরুদ্দিন আহমদকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান করার আগে সেনাবাহিনীর তরফ থেকে অধ্যাপক ইউনূসকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল।ওয়ান ইলেভেনের এগারো বছর পর, একটি লেখার প্রতিক্রিয়ায় ২০১৮ সালের জুন মাসে বিবৃতির মাধ্যমে অধ্যাপক ইউনুস কেয়ারটেকার সরকার প্রধান হওয়ার আকাঙ্খার কথা জোর গলায় অস্বীকার করেছিলেন।
গবেষক-লেখক মহিউদ্দীন আহমেদ একটি লেখায় দুজন সেনা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে লিখেছেন, মুহাম্মদ ইউনুস কেয়ারটেকার সরকার প্রধান হওয়ার প্রস্তাবে রাজী না হওয়ার প্রধান কারণ ছিল এই সরকারের স্বল্প মেয়াদ। সূত্র: বিডি নিউজ