বার কাউন্সিলের নতুন ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ২:৩৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২১, ২০২৩

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নবনির্মিত ১৫তলা ভবন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার (২১ অক্টোবর) বেলা ১১টায় ভবনটি উদ্বোধন করেন সরকারপ্রধান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ আইনজীবী নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এরপর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আইনজীবী মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন প্রধানমন্ত্রী।

আইনজীবী মহাসমাবেশে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকের সভাপতিত্বে সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন। বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা এবং সারা দেশ থেকে আগত আইনজীবীরা এ মহাসমাবেশে অংশ নিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ভার্চুয়ালি কোর্ট ব্যবস্থা চালু করেছি। কারাগারে ডিজিটাল ব্যবস্থা করেছি। তাই যেসব আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে আনা সম্ভব হচ্ছে না, তাদের জন্য ভার্চুয়ালি বিচার শুরু করতে হবে। বিচার ব্যবস্থাকে স্মার্ট হিসেবে গড়ে তুলে হবে। জাতির পিতা শুধু আমাদের সংবিধানই দেননি। তিনি আইনজীবীদের জন্য বাংলাদেশ বার কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করে সেখানে ৫০ হাজার টাকা অনুদান দিয়ে যান। দেশের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে শিল্প কারখানা তৈরি করেছেন। পাকিস্তান আমলে জুডিসিয়াল সার্ভিস কাউন্সিলে মহিলারা যেতে পারত না। বঙ্গবন্ধু আইন সংশোধন করেই নারীদের জুডিসিয়াল সার্ভিসে যোগদানের সুযোগ করে দিয়েছেন।

আইন ও বিচার বিভাগের তত্ত্বাবধানে, গণপূর্ত অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনায় ও স্থাপত্য অধিদপ্তরের নকশায় ভবনটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। ভবনটি অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত। ১৫ তলা এ ভবন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৩৮ কোটি টাকা।

ভবনে রয়েছে পর্যাপ্ত অফিস স্পেস, মিটিং রুম, দুটি কনফারেন্স রুম, রেকর্ড রুম, স্টোর রুম, ওয়েটিং এরিয়া, ক্যাফেটেরিয়া, ডে-কেয়ার সেন্টার, এক্সিবিশন স্পেস, রিসিপশন, রেজিস্ট্রেশন রুম, ব্যাংক, অ্যাকাউন্টস সেকশন, আইটি সেকশন ইত্যাদি।

এ ছাড়া রয়েছে আইনজীবীদের জন্য প্রশিক্ষণ কক্ষ, পাঁচটি ট্রাইব্যুনাল কক্ষ, সুপরিসর মাল্টিপারপাস হল, নারী ও পুরুষের জন্য পৃথক নামাজ কক্ষও রয়েছে। এতে আরও আছে টিভি লাউঞ্জ, কিচেন ও ডাইনিং হলসহ শতাধিক আইনজীবীর থাকার ব্যবস্থা।

Nagad

ভবনটিতে চারটি লিফট, ফায়ার ফাইটিং ব্যবস্থা, সিসি ক্যামেরা, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং পুরুষ-নারী-প্রতিবন্ধীদের জন্য পৃথক শৌচাগার রয়েছে। প্রকল্পে আরবরিকালচারের মাধ্যমে ল্যান্ডস্কেপিং করা হয়েছে। এ ছাড়া নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য সাবস্টেশন ও জেনারেটরের মাধ্যমে পৃথক বৈদ্যুতিক লাইন সংযুক্ত করা হয়েছে।