আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৩৯ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১০, ২০২৪

অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমরা কি ভুলপথে নামছি

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল যে বললেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) মার্কিন ডলারের সঙ্গে টাকার অবমূল্যায়নের পরামর্শ দিয়েছিল, তা ঠিক নয়। আমরা বলেছিলাম, ডলারের বাজারদরকে অর্থনীতির অন্য সব চলকের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে হবে। যত দূর মনে পড়ে, অবমূল্যায়নের পরামর্শ দিয়েছিল মূলত তৈরি পোশাক উৎপাদক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। তারা এ দাবি সব সময়ই করে থাকে। অর্থমন্ত্রী হঠাৎ পরিপ্রেক্ষিত ছাড়া কেন সিপিডিকে মিলিয়ে এ প্রসঙ্গ তুললেন, তা জানি না। এর ওপর মন্তব্য করা কঠিন। তবে টাকার মূল্যমান যে চাহিদা ও জোগানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা উচিত, তা আমরা বলি। এটা করতে গেলে মুদ্রানীতির সঙ্গে আর্থিক নীতির সমন্বয় থাকা যে জরুরি, তা–ও আমরা বলে থাকি। তা না হলে বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। আবার টাকার মূল্য অবনমনের অনেক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে, তা মোকাবিলা করতে হয় আর্থিক নীতির মাধ্যমে। আর্থিক নীতির সঙ্গে সংযোগ থাকতে হয় মুদ্রানীতির। আর্থিক নীতি প্রণয়ন অর্থ মন্ত্রণালয়ের মূল কাজের মধ্যে পড়ে। মুদ্রানীতি প্রণয়ন বাংলাদেশ ব্যাংকের কাজ; মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণও বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যতম কাজ সূত্র: প্রথম আলো

আজ এমপিদের শপথ,কাল মন্ত্রীদের
মন্ত্রী নির্বাচনে স্বচ্ছ ভাবমূর্তিতে গুরুত্ব
► জাপার সংসদ সদস্যরাও আজ শপথ নিচ্ছেন ► মন্ত্রিসভায় আসছে নতুন মুখও

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একচেটিয়া জয়ের পর সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। আজ বুধবার নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা (এমপি) শপথ নেবেন। আর আগামীকাল বৃহস্পতিবার নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের পর মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা শপথ নেবেন। নিরঙ্কুশ জয় এবং টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠনের বিশেষ অর্জনের বিষয়টি মাথায় রেখেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা সাজানো হবে বলে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক ও সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের অনেকেই জানিয়েছেন।তাঁরা বলছেন, অভিজ্ঞ রাজনীতিক এবং অপেক্ষাকৃত ভালো ভাবমূর্তির নেতাদের মন্ত্রিসভায় নেওয়া হবে। নতুন মন্ত্রিসভায় নতুন মুখও আসবে। তবে নতুন মন্ত্রিসভায় কারা আসছেন বা পুরনো মন্ত্রীদের মধ্যে কারা বাদ পড়ছেন, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো নিশ্চিত করেনি।
তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আভাস দিয়েছেন, পুরনো মন্ত্রীদের কয়েকজন এবার বাদ পড়ছেন।বিশেষ করে যেসব মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি বা অস্বাভাবিক সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আছে এবং মন্ত্রণালয় পরিচালনায় দক্ষতার পরিচয় দিতে পারেননি, সেসব মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীকে নতুন মন্ত্রিসভায় নেওয়ার সম্ভাবনা নেই। সূত্র: কালের কণ্ঠ

গণভবনে প্রধানমন্ত্রী
মুরুব্বিদের অসৎ পরামর্শ দেশে চলবে না
৭ জানুয়ারির নির্বাচন ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। দু-চারটি দল নির্বাচনে না এলে কিছু হয় না। সবাইকে শান্তিপূর্ণ অবস্থান ধরে রাখতে হবে সংঘাত চাই না

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি ও তাদের মুরুব্বিরা নির্বাচন চায়নি। এসব মুরুব্বির অসৎ পরামর্শের রাজনীতি বাংলাদেশে চলবে না। গতকাল দুপুরে গণভবনে ৭ জানুয়ারির ভোটের পর সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, ’৭৫-এর পর বাংলাদেশে যত নির্বাচন হয়েছে, তার মধ্যে এ নির্বাচন সবচেয়ে সুশৃঙ্খল, সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ, প্রতিযোগিতামূলক ও অংশগ্রহণমূলক। বাংলাদেশের ইতিহাসে এ নির্বাচন স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। মঞ্চে শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ সময় মঞ্চের দুই পাশে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন যাতে না হয় তার জন্য বিএনপি নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করেছিল। মুরুব্বিদের কথা শুনলে বাংলাদেশ আর চলা লাগবে না। এটাই হলো বাস্তবতা। যদি সৎ পরামর্শ হয়, সেটা ভালো কথা। নির্বাচন হতে দেবে না, এসব হুমকি-ধমকি গেল কোথায়। মুরুব্বিদের অসৎ পরামর্শের রাজনীতি বাংলাদেশে চলবে না। তিনি বলেন, যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি তাদের নেতা-কর্মীরা হতাশ হয়েছে। ১৯৭৫ সালের পর দেশে মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে এনেছে আওয়ামী লীগ। ভোট বর্জনকারীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হতাশার কিছু নেই, আপনারা তো এ দেশেরই জনগণ। হয়তো আপনাদের ওপর ওহি নাজিল হয়েছে। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করে দিয়েছি, ডিজিটালের সুবাদেই ওহি নাজিল হয়। নিজেরা লন্ডনে বসে আয়েশ করে পায়েস খায়, আর এখানে কর্মীদের মাঠে নামায়। মাঠে নামায় আগুন দিয়ে মানুষ পোড়াতে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর দেশের পরিস্থিতি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ’৭৫-এর পর নির্বাচন মানে কী আমি দেখেছি, নির্বাচন মানে ছিল নামেই নির্বাচন। ভোট চুরি, ভোট ডাকাতি, ভোটার লিস্টের মিথ্যা নাম দেওয়া। আর সংবিধান লঙ্ঘন করে, সেনা আইন লঙ্ঘন করে যারা ক্ষমতায় ছিল, তাদের পকেট থেকে রাজনৈতিক দল বের হতো। ওই দল মাটি মানুষের কথা বলে গঠিত না। ক্ষমতার উচ্চ আসনে বসে গঠিত রাজনৈতিক দল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সেই দল না। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

Nagad

ঋণের বিজ্ঞাপনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লোগো, সতর্ক থাকার পরামর্শ

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্যাড ও লোগো ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন চেয়ে বিভিন্ন ব্যাংকে চিঠি দেওয়ার পর মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার বিজ্ঞাপনেও লোগো ব্যবহার করছে একটি চক্র। এটিকে বিশ্বাসযোগ্য বিবেচনায় কেউ যেন প্রতারিত না হন সে জন্য মঙ্গলবার সবাইকে সতর্ক করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, অবৈধভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোগ্রাম বা লোগো ব্যবহার করে বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে ঋণ, রি-পেমেন্ট, সুদহার ইত্যাদি সংক্রান্ত বিনিয়োগ ও মুনাফা কেন্দ্রিক বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপনে অবৈধভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো ব্যবহার করায় সাধারণ জনগণ নির্ভরযোগ্য বিবেচনা করে প্রতারিত হতে পারেন। এ ধরনের অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল তথ্য সংগ্রহ করে বড় ধরনের জালিয়াতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।এতে আরও বলা হয়, সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো ব্যবহার করে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে কোনো ধরনের বিনিয়োগ বা মুনাফা সংক্রান্ত বিজ্ঞাপনে কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। এ বিষয়ে সকলকে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো। সূত্র: সমকাল

নতুন সরকারের অগ্রাধিকার
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ গুরুত্ব
রপ্তানিমুখী শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানে জোর * গুরুত্ব পাবে তরুণ উদ্যোক্তা * বিভিন্ন সংস্কারে আসছে শক্ত পদক্ষেপ

সরকারের সামনে বর্তমানে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ উচ্চ মূল্যস্ফীতি। নিত্যপ্রয়োজনীয় অধিকাংশ পণ্যের দাম যেভাবে বাড়ছে, তা নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। তাই নতুন ভাবে সরকার গঠনের পর মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান এবং বিভিন্ন সংস্কার কর্মসূচি রয়েছে অগ্রাধিকারের তালিকায়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নীতিনির্ধারকের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে এসব তথ্য।সূত্র বলছে, আর্থিক খাতে এবার বড় ধরনের সংস্কারের উদ্যোগ আছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার ব্যাপারে ‘সবুজ সংকেত’ এসেছে। ব্যয় সংকোচনের জন্য বাজেটেও কম গুরুত্বের প্রকল্প কাটছাঁট করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারেও এসব বিষয় উল্লেখ আছে। নির্বাচনের পর বিদেশি সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে প্রথম বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এসব বিষয় পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তবে প্রাথমিকভাবে সরকারের উদ্যোগ থাকলেও বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী মহলের কারণে শেষ পর্যন্ত কতটুকু বাস্তবায়ন সম্ভব হবে তা নিয়ে অনেকেই সংশয় প্রকাশ করছেন। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার তথ্য অনুসারে গত দেড় বছরে দেশে মূল্যস্ফীতি অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) তথ্য অনুসারে, গত ৫ বছরে বিভিন্ন পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। এর মধ্যে কোনো পণ্যের দাম ৯ শতাংশ থেকে শুরু করে ৪শ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। অর্থাৎ জিনিসপত্রের দাম ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। করোনার পরপরই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মূল্যস্ফীতির লাগাম ধরে রাখা যায়নি। এছাড়া দেশ থেকে অর্থ পাচার বৃদ্ধি, বিভিন্ন খাতে দুর্নীতি, উচ্চ খেলাপি ঋণ এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের সংকট অন্যতম। এই অবস্থায় আবারও সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। এ কারণে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সূত্র: যুগান্তর

নতুন মন্ত্রিসভায় অনেক নতুন
বর্তমান মন্ত্রিসভার বেশিরভাগ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীকে বাদ দিয়ে নতুন মন্ত্রিসভা হতে পারে, বিভিন্ন সূত্রে এমন আভাস পাওয়া যাচ্ছে। অর্থ, কৃষি, স্বরাষ্ট্র, সংস্থাপন, আইন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে পরিবর্তন আসতে পারে। তথ্য, স্থানীয় সরকার ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়েও পরিবর্তন হতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে। জ বুধবার আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা (এমপি) শপথ নেবেন। আর আগামীকাল বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নিতে যাচ্ছে। ধানমন্ত্রীসহ ৪৪ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী রয়েছেন বর্তমান মন্ত্রিসভায়। এর মধ্যে ২৩ জন মন্ত্রী, ১৮ জন প্রতিমন্ত্রী ও ৩ জন উপমন্ত্রী। মনোনয়ন না পাওয়া ৪ জন ও মনোনয়ন পেয়ে পরাজিত হওয়ার মধ্য দিয়ে ৩ জন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীকে এমনিতেই মন্ত্রিসভা থেকে বিদায় নিতে হচ্ছে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর বিদায় নিয়েছেন টেকনোক্র্যাট দুই মন্ত্রী। সূত্র: দেশ রুপান্তর

খাদের কিনারায় জাপা, ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল জাতীয় পার্টিকে (জাপা) খাদের কিনারে নিয়ে এসেছে। ২৬ আসনে ছাড় নিয়ে ভোটযুদ্ধে নামা শীর্ষ নেতাদের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা। কিন্তু তার মধ্যে মাত্র ১১ আসনে জয় তাঁদের গভীর হতাশায় এবং নেতৃত্বকে ফেলেছে বেকায়দায়।
জাপার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন, দীর্ঘদিন ‘সমঝোতার রাজনীতি’ ও জনমুখী কর্মসূচি না থাকায় দলটি ধীরে ধীরে জনসমর্থন হারিয়েছে। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভরাডুবিই এর প্রমাণ, যা একসময় বড় দল হিসেবে পরিচিত জাপার ভবিষ্যতের জন্য একটি অশনিসংকেত। দলটির ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ জাপা সম্পর্কে বলেন, কেন্দ্রীয় কিছু নেতার ব্যক্তিগত ইচ্ছা পূরণের জন্য তারা নির্বাচনে গেছে। দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে তৃণমূলের কর্মীদের বিস্তর ব্যবধান আছে। ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে বোঝাপড়া, সুবিধা আদায় করা—এভাবেই চলবে জাতীয় পার্টি। ১৯৮৬ সালে সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতায় থেকে জাতীয় পার্টি গঠন করেন। ১৯৮৬ সালের সংসদ নির্বাচনে দলটি ১৫৩টি আসন পেয়েছিল। আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বড় দলগুলোর বর্জন করা ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে আসন পেয়েছিল ২৫১টি। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে ৩৫ আসন পেয়ে তৃতীয় হয়েছিল। ১৯৯৬ সালে ৩২, ২০০১ সালে ১৪, ২০০৮ সালে ২৭, ২০১৪ সালে ৩৪ এবং ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে ২৩টি আসন পেয়েছিল। সূত্র: আজকের পত্রিকা।

আমনের রেকর্ড উৎপাদনেও বাড়ছে চালের দাম
আমন মৌসুমের ধান কাটা-মাড়াই প্রায় শেষের দিকে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এ বছর আমনের উৎপাদন আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়েছে। বাজারে আমনের চাল সরবরাহও হচ্ছে ডিসেম্বরের শুরু থেকে। এ সরবরাহ পুরোদমে থাকলেও এখন মিল, পাইকারি ও খুচরা—প্রায় সব পর্যায়ে চালের দাম বাড়ছে। শুধু পাইকারিতেই গত এক সপ্তাহে চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৪-৬ টাকা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাধারণত নতুন মৌসুমের চাল বাজারে আসার আগে দাম বাড়তে দেখা যায়। কিন্তু এবার আমনের চাল সরবরাহের ভরা মৌসুমেও হঠাৎ দাম বাড়তে দেখা যাচ্ছে। অভিযোগ উঠছে, মুনাফা বাড়ানোর প্রবণতা থেকে মিল পর্যায়েই কৃষকদের থেকে কম দামে কেনা চালের মূল্য বাড়ানো হচ্ছে। দেশে মোট চাল উৎপাদনের ৪০ শতাংশ হয় আমন মৌসুমে। চলতি আমন মৌসুমে প্রায় ১ কোটি ৭১ লাখ ৭৮ হাজার টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা হাতে নিয়েছিল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই)। মোট ৫৮ লাখ ৭৪ হাজার হেক্টর জমিতে এ বছর ধানের আবাদ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কাটা হয়েছে ৫৭ লাখ ২৭ হাজার হেক্টর বা সাড়ে ৯৭ শতাংশ জমির ধান। এখান থেকে চাল উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ৭০ লাখ ৯৩ হাজার টন। গড় ফলন হয়েছে হেক্টরপ্রতি ২ দশমিক ৯৮ টন। গত বছরের শেষ দিকে পোকামাকড় এবং ঘূর্ণিঝড় মিধিলি ও মিগজাউমের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার হেক্টর জমির ধান। সে হিসেবে কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এবার প্রায় ১ কোটি ৭৪ লাখ টন চাল উৎপাদন হওয়ার কথা রয়েছে। এ অনুযায়ী এবার আমনে উৎপাদন দাঁড়াতে যাচ্ছে রেকর্ড সর্বোচ্চে। সূত্র: বণিক বার্তা।

৭৮৫ যাত্রী নিয়ে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ছাড়লো পর্যটক এক্সপ্রেস

ঢাকা-কক্সবাজার রুটের দ্বিতীয় আন্তঃনগর ট্রেন পর্যটক এক্সপ্রেস কমলাপুরের ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে যথাসময়ে ছেড়ে গেছে। নতুন এই ট্রেনের প্রথম যাত্রায় ৭৮৫ জন যাত্রী ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাচ্ছেন।বুধবার (১০ জানুয়ারি) ভোর ৬টা ১৫ মিনিটে নতুন এই ট্রেন ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে প্রথম যাত্রা শুরু করেছে বলে বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার শাহাদাৎ হোসেন। তিনি বলেন, সকালে নতুন ট্রেন পর্যটক এক্সপ্রেস ভোর সোয়া ৬টায় ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে যথাসময়ে ছেড়ে গেছে। এর আগে বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্ট মো. শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, যাত্রীদের চাহিদার বিষয়টি মাথায় রেখে কক্সবাজার রুটে নতুন একজোড়া বিরতিহীন আন্তঃনগর ট্রেন পর্যটক এক্সপ্রেস ১০ জানুয়ারি থেকে চলাচল করবে। বিরতিহীন ট্রেনটি ঢাকা ও বিমানবন্দর স্টেশনে থামার পর সরাসরি চট্টগ্রাম স্টেশনে থামবে। এরপর ট্রেনটি সরাসরি কক্সবাজার স্টেশনে গিয়ে থামবে। মাঝখানে আর কোনও স্টেশনে থামবে না এ ট্রেন। বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে কক্সবাজারের নন-এসি শ্রেণির ‘শোভন চেয়ার’ আসনের ভাড়া ৬৯৫ টাকা এবং এসি শ্রেণীর ‘স্নিগ্ধা’ আসনের ভ্যাটসহ ভাড়া এক হাজার ৩২৫ টাকা। বিমানবন্দর স্টেশন থেকেও একই ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। সূত্র: বাংলানিউজ

নতুন সংসদ গঠন, শপথ নিলেন শেখ হাসিনাসহ ২৯৮ জন সদস্য

দ্বাদশ পার্লামেন্টের সংসদ সদস্য হিসাবে শপথ নিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাসহ নবনির্বাচিত ২৯৮ জন সংসদ সদস্য। বুধবার সকাল ১০টায় পার্লামেন্টে সংসদ সদস্য হিসাবে প্রথমে শপথ গ্রহণ করেন বর্তমান স্পিকার শিরীন শারমীন চৌধুরী। তিনি এই নির্বাচনে রংপুর-৬ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন।এরপর তিনি শেখ হাসিনাসহ অন্য সংসদ সদস্যদের একসাথে শপথ বাক্য পাঠ করান। জাতীয় পার্টি ও স্বতন্ত্র হিসাবে বিজয়ীরাও শপথ নিয়েছেন।এর মাধ্যমে বাংলাদেশে দ্বাদশ সংসদ গঠিত হলো।বৃহস্পতিবার বিকালে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হবে বলে জানা গেছে।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটায় বঙ্গভবনে প্রধানমন্ত্রী ও নতুন মন্ত্রীদের শপথ পাঠ হবে।বাংলাদেশে সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয় পেয়ে টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠন করতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। সূত্র: বিবিসি বাংলা।