চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে গৃহবধূকে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের কয়া গ্রামে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে জীবননগর থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন। গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, ওই গৃহবধূকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ৩ ঘণ্টা আটকে রেখে ধর্ষণ করেন চার যুবক। শনিবার রাতে বাড়ির পাশেই ছুঁতার মাঠে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার (১৫ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জীবননগর থানার ওসি এস এম জাবিদ হাসান।


মামলার আসামিরা হলেন- সীমান্ত ইউনিয়নের কয়া গ্রামের লাল্টু মল্লিক (৩০), খালিদ হোসেন (২২), আব্দুল জব্বার (১৮) ও একরা মন্ডল (৪৫)। অভিযুক্ত সবাই ঘটনার পর থেকে আত্মগোপনে চলে গেছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
ওই গৃহবধূ অভিযোগ করেন, শনিবার রাতে তার বৃদ্ধা শাশুড়িকে নিয়ে নিজ বাড়িতে ছিলেন। সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৬টার দিকে বাড়ির ভেতরে অবস্থিত টিউবওয়েলে পানি আনতে যান তিনি। এ সময় চার আসামি বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করেন। তারা গৃহবধূকে তুলে পাশের ছুঁতার মাঠে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে তিনি স্বামীকে ফোন দিলে এলাকার লোকজন ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করেন।
এ বিষয়ে সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা আত্মগোপনে। তাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।’
এ বিষয়ে ওসি এস এম জাবিদ হাসান বলেন, ‘বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। এরইমধ্যে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত আছে।’