সবজির বাজারে স্বস্তি, তেল-চালে অস্থিরতা
শীতকালীন শাকসবজির পর্যাপ্ত সরবরাহের ফলে রাজধানীতে সবজির বাজার অনেকটাই স্থিতিশীল। তবে মাছ, মাংস, তেল ও চালের বাজারে অস্থিরতা বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, শবেবরাতের আগে মাংসের দাম আরও বাড়তে পারে।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৪০-৫০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, মুলা ১৫-২০ টাকা, লতি ৫০ টাকা, পটোল ৩০-৪০ টাকা, গাজর ২৫-৩০ টাকা, টমেটো ৩০-৩৫ টাকা ও শিম ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


পেঁয়াজ ও আলুর বাজারেও নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। বর্তমানে প্রতি কেজি আলু ২০-২৫ টাকা এবং মুড়িকাটা পেঁয়াজ ৪৫-৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কিছুটা বেশি, যা ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তেল-চালের বাজারে অস্থিরতা
রমজান সামনে রেখে বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে তেল ও চালের দামে। ক্রেতারা অভিযোগ করছেন, ব্যবসায়ীরা মজুত শুরু করায় দাম বাড়ছে। বাজারে মিনিকেট চাল প্রতি কেজি ৮০-৮৪ টাকা, আটাইশ ৫৮-৬০ টাকা, মোটা স্বর্ণা ৫২-৫৬ টাকা, নাজিরশাইল ৭৬-৮৮ টাকা এবং পোলাও চাল ১১৬-১১৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে বোতলজাত সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। এক ও দুই লিটারের বোতল তেল পাওয়া যাচ্ছে না পর্যাপ্ত পরিমাণে, আর যেগুলো পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলো নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। খোলা সয়াবিন তেলও কেজিপ্রতি ১৭৫-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ইলিশের বাজার কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও অন্যান্য মাছের দাম চড়া। প্রতি কেজি রুই ৩৮০-৪২০ টাকা, কাতল ৪০০-৪৫০ টাকা, চাষের শিং ৫৫০ টাকা, কোরাল ৭০০-৮০০ টাকা এবং দেশি কৈ ১,৩০০-১,৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ব্রয়লার মুরগির দাম ১০ টাকা বেড়ে ১৯০-২০০ টাকায় পৌঁছেছে। দেশি মুরগি ৫৫০-৬০০ টাকা এবং হাঁস ৬০০-৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংসের কেজি ৭৫০-৮০০ টাকা, খাসির মাংস ১,০৫০-১,১০০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ১,০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতারা আশঙ্কা করছেন, রমজানের আগে যদি বাজারে নজরদারি না বাড়ানো হয়, তাহলে চাল ও তেলের দাম আরও বাড়তে পারে, যা মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের জন্য সংকট তৈরি করবে।