সারাদেশে চলছে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ কঠোর অবস্থানে যৌথবাহিনী

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৬:২২ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৫

গাজীপুরসহ সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে যৌথ বাহিনী ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ নামে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে দেশব্যাপী একযোগে এই অভিযান শুরু হয়।

এর আগে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধ ও আইনের শাসন নিশ্চিত করতে এই অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে গাজীপুরে সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলার অভিযোগ ওঠে। তবে অভিযোগ রয়েছে, এই ঘটনার আড়ালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের সেখানে ডেকে নিয়ে হামলা চালানো হয়। এতে ২০ জনের বেশি আন্দোলনকর্মী গুরুতর আহত হন।

এই ঘটনার পর শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক ফয়সল হোসেন জানিয়েছেন, ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হবে।

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানিয়েছেন, সম্প্রতি বেশ কিছু অস্ত্র লুট হয়ে গেছে, যা এখনো উদ্ধার হয়নি। তদন্ত অনুযায়ী, কিছু চক্র দেশে অস্ত্র প্রবেশ করিয়ে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করছে। তাই অস্ত্র উদ্ধারের জন্যও এই অভিযান পরিচালিত হবে।

Nagad

তিনি বলেন, “পরাজিত কোনো শক্তি যদি জনগণের জন্য হুমকি হয়ে ওঠে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকার সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এ অভিযানের নির্দেশ দিয়েছে।”

হামলার ঘটনায় পুলিশের দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে গাজীপুর সদর থানার ওসিকে প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার নাজমুল করিম খান।

তিনি বলেন, “শুক্রবার রাতে ঘটে যাওয়া হামলার ঘটনায় পুলিশ সঠিক সময়ে ব্যবস্থা নিতে পারেনি। আমি ব্যর্থতা স্বীকার করছি। যারা এই হামলার সঙ্গে জড়িত, তাদের কাউকে ছাড়া হবে না।”

তিনি আরও বলেন, “যেসব পুলিশ সদস্য দেরিতে সাড়া দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা ফ্যাসিবাদের সঙ্গে আঁতাত করেছে, তাদের পুলিশে চাকরি করতে দেওয়া যাবে না।”

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, এই অভিযান চলমান থাকবে এবং অভিযুক্তদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।