নতুন বাংলাদেশের দারিদ্র্য দূর করাই প্রধান অগ্রাধিকার: ড. ইউনূস
নতুন বাংলাদেশের দারিদ্র্য দূর করাই প্রধান অগ্রাধিকার বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ‘যে নতুন বাংলাদেশের দায়িত্ব পেয়েছি, সেখান থেকে দারিদ্র্য দূর করাই প্রধান অগ্রাধিকার। তবে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথে অসংখ্য বাধা রয়েছে। তা কাটিয়ে উঠতে দেশের উন্নয়নে সব নাগরিকের অংশগ্রহণ দরকার।’
আজ শনিবার (২৯ এপ্রিল) চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে সকাল ১০টার দিকে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তাকে সম্মানসূচক ডিগ্রি প্রদান করে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়।


প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘সঠিক সুযোগের উন্নয়নের জন্য আমার দেশের অসংখ্য তরুণ যুদ্ধ করে যাচ্ছে। আমার দেশের মানুষ গরিব, কারণ অর্থনৈতিক ব্যবস্থা তাকে দমন করে রেখেছে। এটিই আমার দেশের জনগণের সকল সমস্যার মূল।’
ড. ইউনূস বলেন, ‘প্রত্যেকটি নাগরিকের অধিকার আছে ভালো প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে চাকরির বাজারে প্রবেশ করার। তবে চাকরি একটি ভুল ধারণা। চাকরি সৃজনশীলতাকে নষ্ট করে।’
এ সময় তরুণদের স্বাধীন উদ্যোক্তা হওয়ার আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘চাকরি দাসপ্রথার চলমান ধারা, তবে মানবসত্তা স্বাধীন।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন,‘কল্পনা যে কোনো কিছু থেকে বেশি শক্তিশালী।’
তিনি শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে অদ্ভুত এবং অকল্পনীয় বিষয়ে স্বপ্ন দেখতে উৎসাহিত করেন, যদিও অনেক সময় এটি অসম্ভব মনে হতে পারে।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘কিন্তু, মানবসভ্যতার যাত্রা হলো অসম্ভবকে সম্ভব করা। সেটাই আমাদের কাজ। আর আমরাই তা করতে পারি।’
অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় কাউন্সিলের সভাপতি হে গুয়াংচাই এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট গং চিহুয়াং অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে গত বুধবার চীন সফরে যান প্রধান উপদেষ্টা। সফরে তিনি দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। এর আগে বৃহস্পতিবার বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া সম্মেলনে বক্তব্য দেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।