‘অদৃশ্য লাশ’ ও অনিশ্চয়তা: শাপলা চত্বরের ১২ বছর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:০৬ পূর্বাহ্ণ, মে ৫, ২০২৫

২০১৩ সালের ৫ মে রাজধানীর শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে ঘটে যাওয়া সহিংস ঘটনায় নিহতের সঠিক সংখ্যা আজও অজানা। ইসলাম অবমাননার বিরুদ্ধে ১৩ দফা দাবিতে দিনভর সমাবেশ শেষে রাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে ছত্রভঙ্গ হয় হেফাজত কর্মীরা।

রাত তিনটার দিকে তিনদিক থেকে ঘিরে শুরু হয় অভিযান, যা ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে পুরো এলাকা ফাঁকা করে দেয়। মতিঝিলসহ আশপাশের এলাকায় সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগের পর ওই রাতে ঘটে যায় আলোচিত ‘শাপলা অভিযান’।

নিহতের সংখ্যা নিয়ে হেফাজত এখনও নিশ্চিত নয়। যদিও মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’ নিহত ৬১ জনের তালিকা প্রকাশ করে। তবে এ তথ্য প্রকাশের পর থেকেই চাপে পড়ে সংগঠনটি। সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক নাসির উদ্দিন এলানকে তথ্য-প্রযুক্তি আইনে গ্রেপ্তার করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক জানান, কিছু লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছে। নিহতদের অনেক পরিবার চাপের মুখে বিষয়টি গোপন রেখেছেন। মে মাসের মধ্যেই চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দায়েরকৃত মামলায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদসহ প্রায় অর্ধশতজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম জানিয়েছেন, দুটি অভিযোগ একত্র করে তদন্ত চলছে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলেও অনেকে পলাতক রয়েছে।

শাপলার ঘটনায় আরেকটি মামলা তদন্ত করছে মতিঝিল থানা। সূত্র: যমুনা টিভি

Nagad