রাজনৈতিক দলের বিচারে ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধন, গেজেট প্রকাশ

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৫:৫৭ অপরাহ্ণ, মে ১১, ২০২৫

রাজনৈতিক দল ও সংশ্লিষ্ট সংগঠনকে বিচারের আওতায় আনতে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। এতে সংগঠনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান যুক্ত করা হয়েছে।

শনিবার (১০ মে) রাতে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এ সংশোধিত আইনটির গেজেট প্রকাশ করা হয়।

গেজেটে বলা হয়, সংবিধানের ৯৩(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) (দ্বিতীয় সংশোধনী) অর্ডিন্যান্স, ২০২৫ প্রণয়ন ও জারি করেছেন।

সংশোধিত আইনে বলা হয়েছে, সংগঠন অর্থাৎ কোনো রাজনৈতিক দল, অথবা সেই দলের অধীনস্থ, সংশ্লিষ্ট বা সহযোগী কোনো সত্তা, অথবা এমন কোনো ব্যক্তি-গোষ্ঠীকে বোঝায় যা ট্রাইব্যুনালের অভিমত অনুযায়ী, ওই দল বা সত্তার কার্যকলাপ প্রচার, সমর্থন, অনুমোদন, সহায়তা বা সম্পৃক্ততার মাধ্যমে জড়িত থাকে; সংগঠনের জন্য শাস্তি ইত্যাদি। 

এই আইনের বা তৎকালীন প্রযোজ্য অন্য কোনো আইনের যাই থাকুক না, যদি ট্রাইব্যুনালের কাছে প্রতীয়মান হয় যেকোনো সংগঠন এই আইনের ৩ ধারার উপ-ধারা (২) অনুযায়ী উল্লিখিত অপরাধসমূহ করেছে, নির্দেশ দিয়েছে, চেষ্টা করেছে, সহায়তা করেছে, প্ররোচিত করেছে, উসকানি দিয়েছে, ষড়যন্ত্র করেছে, সহজতর করেছে বা সহযোগিতা করেছে, তাহলে ট্রাইব্যুনাল সেই সংগঠনের কার্যক্রম স্থগিত বা নিষিদ্ধ করার, সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণার, তার নিবন্ধন বা লাইসেন্স স্থগিত বা বাতিল করার এবং তার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার ক্ষমতা রাখবে।

এর আগে শনিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের প্রেক্ষিতে উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। রাতে সংবাদ সম্মেলনে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল জানান, আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Nagad

তিনি বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনের শহীদ ও আহতদের নিরাপত্তা এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার স্বার্থে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আওতায় আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম, বিশেষ করে সাইবার স্পেসে, নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’

আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনে গণহত্যার অভিযোগে আওয়ামী লীগকে বিচারের আওতায় আনতে আইন সংশোধনে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নেওয়া হয়েছে।’