অবশেষে যুদ্ধবিরতি নিয়ে মুখ খুললেন নেতানিয়াহু

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ২:২০ অপরাহ্ণ, জুন ২৪, ২০২৫

ইরান-ইসরায়েলের ভয়াবহ সংঘাতের মধ্যেই অবশেষে যুদ্ধবিরতি নিয়ে প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয়।

বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুরে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর এই বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবে নেতানিয়াহু সম্মতি দিয়েছেন, তবে যেকোনো ধরনের লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কঠোর জবাব দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি জানানো হয়।

এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, ইরান ও ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে এবং সেটি কার্যকর হয়েছে। তবে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি ট্রাম্পের দাবি নাকচ করে দেন। সেই সময় পর্যন্ত ইসরায়েলের পক্ষ থেকে কোনও মন্তব্য আসেনি।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে ইরানে চালানো হামলায় ইসরায়েল তার সমস্ত কৌশলগত লক্ষ্য পূরণ করেছে। তেহরানের আকাশসীমার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ, ব্যালিস্টিক ও পারমাণবিক হুমকি নির্মূল এবং ইরানের সামরিক নেতৃত্ব ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোয় তীব্র আঘাত হানা হয়েছে।’

ইসরায়েল এ সফল অভিযানের জন্য যুক্তরাষ্ট্র এবং ট্রাম্প প্রশাসনকে সামরিক সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছে।

গত ১৩ জুন দিনগত রাতে ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নামে ইরানে হঠাৎ হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে তেহরানের পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র, সামরিক স্থাপনা ও আবাসিক ভবনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। হামলায় ৫০০ জনের বেশি নিহত হন বলে দাবি করেছে ইরানি সংবাদমাধ্যম। নিহতদের মধ্যে আছেন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ও পরমাণু বিজ্ঞানীরাও।

Nagad

এর জবাবে ইরান শুরু করে ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩’, যেখানে তেহরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় আঘাত হানে। এই হামলায় হতাহত তুলনামূলক কম হলেও ইসরায়েলের আর্থিক ও সামরিক ক্ষতি বড় আকারের।

দুই দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে ২১ জুন রাতে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। এর পাল্টা জবাবে কাতার ও ইরাকে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে তেহরান। এই পাল্টাপাল্টি হামলার পর বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ দেখা দিলে যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ নেয় ওয়াশিংটন। ট্রাম্প ঘোষণা দেন, যুদ্ধবিরতি ছয় ঘণ্টার মধ্যে কার্যকর হবে এবং তিনি সব পক্ষকে তা মেনে চলার আহ্বান জানান।