সাবেক এমপি তুহিন ২ দিনের, আ.লীগ নেতা মুরাদ ১ দিনের রিমান্ডে
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক এমপি সাবিনা আক্তার তুহিন এবং আওয়ামী লীগ নেতা শাহে আলম মুরাদকে রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৩০ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র শুনানি শেষে তুহিনের ২ দিনের এবং মুরাদের ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।


এর আগে পুলিশের পক্ষ থেকে তুহিনের ৭ দিন ও মুরাদের ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। রিমান্ড বাতিলের আবেদন করেছিলেন দুই আসামির আইনজীবীরা। তবে রাষ্ট্রপক্ষের পিপি ওমর ফারুক ফারুকীর শুনানি শেষে আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করে তাদের জামিন নামঞ্জুর করেন।
শাহে আলম মুরাদ গত ১৭ এপ্রিল ভোরে উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার হন। সাবিনা আক্তার তুহিন গ্রেপ্তার হন ২২ জুন গভীর রাতে, ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার বাবার বাড়ি থেকে।
মুরাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয় আব্দুল মোতালেব হত্যা মামলায়। ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় জিগাতলায় পুলিশের গুলিতে মারা যান কিশোর মোতালেব। ২৬ আগস্ট তার বাবা আব্দুল মতিন মামলাটি করেন, যাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৭৬ জনকে আসামি করা হয়।
তুহিনের বিরুদ্ধে মামলা হয় শেরেবাংলা নগর থানায়, সন্ত্রাসবিরোধী আইনে। অভিযোগে বলা হয়, ৪ এপ্রিল পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সামনে নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও যুব মহিলা লীগের একটি মিছিলে অংশ নেন তিনি ও ইশরাত জাহান নাসরিনসহ অন্যরা। তারা সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন এবং পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান।