‘জুলাই শহীদ স্মৃতি বৃত্তি’ চালু করলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
১৯ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তরুণদের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি বৃত্তি’ চালু করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতি বছর এই বৃত্তি পাবেন বিশ্ববিদ্যালয়-অধিভুক্ত কলেজ ও ইনস্টিটিউটের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত মেধাবী শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধনী দিনে এই বৃত্তি প্রদান কার্যক্রম শুরু হয়। অনুষ্ঠানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস তিন শিক্ষার্থীর হাতে বৃত্তির চেক তুলে দেন।


প্রাথমিকভাবে ৭২৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মোট ২ হাজার ৪০ জন শিক্ষার্থী এই এককালীন আর্থিক সহায়তা পাবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ১৯ জুলাই অভ্যুত্থানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩২ জন শিক্ষার্থী শহীদ হয়েছিলেন।
চেকপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন—সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজের হাবীবা আক্তার, তেজগাঁও সরকারি কলেজের এস. এম. আবু তালেব এবং ঢাকা কমার্স কলেজের খন্দকার মাহমুদুল হাসান।
অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপদেষ্টা সিআর আবরার বলেন, “এক বছর আগে বাংলাদেশের তরুণেরা ইতিহাসের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ের সূচনা করেছিল। ওই অভ্যুত্থান ছিল জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধারের এক দৃঢ় পদক্ষেপ।”
তিনি বলেন, “আজকের দিনে আমাদের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে পুনর্গঠনের জাতীয় প্রত্যাশাকে সম্মানের সঙ্গে স্মরণ করতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো স্বৈরাচার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে।”
তিনি অভিযোগ করেন, ‘প্রায় ১৫ বছরের শাসনামলে, বিশেষ করে শেষ এক দশকে রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা গোষ্ঠী নাগরিকদের অধিকার হরণ করেছে। তারা গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা, নিপীড়ন এবং বিনা বিচারে আটক রাখার সংস্কৃতি চালু করেছে।’
শিক্ষা উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থান আমাদের কেবল একটি নতুন রাষ্ট্রই দেয়নি, নতুন স্বপ্ন দেখার সাহসও জুগিয়েছে। তরুণ প্রজন্ম যেন শুধু দেশকে নয়, বিশ্বমঞ্চেও নেতৃত্ব দিতে পারে—এমন শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলাই এখন সময়ের দাবি।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. এস. এম. আমানউল্লাহ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. লুৎফর রহমান এবং ট্রেজারার অধ্যাপক ড. এ. টি. এম. জাফরুল আযম।