১৩২ কোটি টাকা আত্মসাৎ: ওয়াসা এমডির বিরুদ্ধে মামলা নেননি আদালত
ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের ১৩২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন গ্রহণ করেননি আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমামের আদালতে এ আবেদন করেন ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতির সম্পাদক শাহাব উদ্দিন সরকার। প্রাথমিক শুনানি শেষে মামলার আবেদনটি গ্রহণ না করে ফেরত দেন বিচারক।


এতে আরও আসামি করা হয়েছিল, ঢাকা ওয়াসার প্রকৌশলী শারমিন হক আমীর, সাবেক রাজস্ব পরিদর্শক মিঞা মো. মিজানুর রহমান, প্রকৌশলী মো. আখতারুজ্জামান, রাজস্ব পরিদর্শক জাকির হোসেন, প্রকৌশলী বদরুল আলম, জনতা ব্যাংকের সাবেক ডিজিএম শ্যামল বিশ্বাস, উপ-সচিব শেখ এনায়েত উল্লাহ ও উপপ্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা সালেকুর রহমান। এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয়েও আসামি করা হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ঢাকা ওয়াসা কর্মচারী বহুমুখী সমবায় সমিতি ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই থেকে ২০১৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ৯৯ কোটি ৬৫ লাখ ১৯ হাজার ১৭৩ টাকা ঢাকা ওয়াসা থেকে রাজস্ব আদায় কাজ বাবদ পায়। আর ২০১৮ সাল থেকে ২০১৯ অর্থবছরে একই কাজ বাবদ সমিতি আয় করে ৩৪ কোটি ১৮ লাখ ৫৭ হাজার ৭৯০ টাকা।
এর মধ্যে ২০১৭ থেকে ২০১৮ অর্থবছরে সমিতির হিসাবে জমা হয় এক কোটি ৭৯ লাখ ৫৯ হাজার ৫০৩ টাকা। অবশিষ্ট ১৩২ কোটি চার লাখ ১৭ হাজার ৪৬০ টাকা ছয়টি ব্যাংক থেকে বিভিন্ন চেকের মাধ্যমে এমডি তাকসিম এ খানের প্রত্যক্ষ মদদে ও নির্দেশে অপর আসামিরা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।
আসামিদের এই আত্মসাতের বিষয়টি সমবায় অধিদপ্তরের অডিট রিপোর্টে প্রমাণিত হয়েছে। এছাড়া সমিতির গাড়িসহ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি সমিতির হেফাজত থেকে স্থানান্তর করে প্রায় ২০০ কোটি টাকা সমমূল্যের সম্পদ চুরি করেন আসামিরা।
আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে বিশ্বাসভঙ্গ করে আত্মসাৎ ও চুরি করেছেন বলে অভিযোগ এনেছে বাদীপক্ষ। মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি অথবা পিবিআইকে তদন্ত করে আসামিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান বাদী শাহাব উদ্দিন সরকার। সূত্র: সমকাল