দাম বাড়ায় বাজারে পেঁয়াজ বেচাকেনাও কমে গেছে
দেশের বাজারে এখন বেশ আলোচিত পেঁয়াজ। দামের অসন্তোষ থাকায় সতর্ক হয়েছেন ক্রেতারাও। আগে এক কেজি পেঁয়াজ কিনলে এখন কিনছেন ২৫০ গ্রাম। মিরপুর বাজারে সকালে বাজার করতে আসা একজন মুন্সি মিয়া বলছিলেন “এক কেজির জায়গায় এক পোয়া কিনছি। বাসায় বলে দিয়েছি পেঁয়াজ কম দিয়ে রান্না করতে।”
বিবিসির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আরেকজন বলছিলেন “আমরা সাধারণ মানুষ, একটা জিনিসের দাম বাড়লে তো কিছু করার থাকে না আমাদের। পেঁয়াজ খাওয়া তো বাদ দিতে পারি না। তাই কম কিনছি”।


ঢাকার মিরপুর, গুলশান, বাড্ডা, রামপুরার কাঁচাবাজারগুলোতে গতকাল পেঁয়াজের দাম দুশ’ থেকে ২২০-এর মধ্যে থাকলেও খুশি নন খোদ খুচরা বিক্রেতারাও।
তারা বলছেন, ২২০ টাকা দিয়ে শুক্রবার পেঁয়াজ কিনে তাদেরকে কিছুটা লাভ রেখে বেচতে হচ্ছে আড়াইশ টাকায়। প্রতিনিয়ত বাকবিতণ্ডায় জড়াতে হচ্ছে ক্রেতাদের সাথে।
‘আর পেঁয়াজ কিনবো না’ একজন বিক্রেতা আনিসুজ্জামান বলছিলেন “২৫ কেজি পেঁয়াজ কিনেছি প্রতি কেজি ২২০ টাকায়। এরপর আমার যাতায়াত খরচ আছে। এখন আমি যদি ২৪০/২৫০ টাকায় না বিক্রি করি তাহলে তো আমার হবে না। তার পরেও লসের মধ্যে আছি। এই ২৫ কেজি বিক্রি করতে পারলে আর পেঁয়াজ কিনবো না”।
আরেকজন খুচরা বিক্রেতা প্রচণ্ড ক্ষোভ নিয়ে বলছিলেন, “কাস্টমাররা এসে ঝগড়া করে। আমি কয়জনের সাথে ঝগড়া করবো? কাদের বোঝাবো? আমার তো লস হচ্ছে। আমি কী এক পেয়াজ নিয়ে বসে থাকবো নাকি অন্য জিনিস বিক্রি করবো?”
সেপ্টেম্বর মাসে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেবার পর থেকেই বাংলাদেশে এর দাম বাড়তে থাকে। যদিও বাংলাদেশে যে পরিমাণ পেঁয়াজ উৎপাদন হয় সেটা দিয়ে চাহিদার ৬০% পূরণ হয়। বাকি প্রায় ৪০% আমদানি করা হয়, এবং তার বেশিরভাগই আসে ভারত থেকে।
এদিকে কারওয়ান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, তারা মূলত ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে থাকেন খরচ বাঁচাতে। এখন ভারত রপ্তানির উপর যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তাতে করে পেঁয়াজ কেনাবেচায় তারাও বিপত্তির মধ্যে রয়েছেন।