কুড়িগ্রামে বন্যার পানিতে ভেসে গেলো ৬৫০ পুকুরের মাছ

কুড়িগ্রাম সংবাদদাতাকুড়িগ্রাম সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ৩:২৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৮, ২০২৩

ছবি- সংগৃহীত

ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিতে কুড়িগ্রামে সৃষ্ট বন্যার পানিতে ৬৫০টি পুকুর ডুবে প্রায় ১৩০ মেট্রিক টন পোনা মাছ ভেসে গেছে। এতে ছয় শতাধিক মৎস্যচাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। প্রস্তুতি নেওয়ার আগেই অনেকের পুকুর ডুবে গেছে বলেও জানিয়েছে মৎস্য অফিস।

জানা গেছে, কুড়িগ্রামের রাজারহাটের ঘড়িয়াল ডাঙা, জয়কুমর; নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙা ও কালিগঞ্জ; ফুলবাড়ীর উপজেলার গোরকমণ্ডপ, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছি, যাত্রাপুর; উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ, থেতরাই; চিলমারী উপজেলার রানীগঞ্জ, থানাহাট; রৌমারী উপজেলার সাহেব গঞ্জ ও রাজিবপুর সদর ইউনিয়নের ৬০০ মৎস্যচাষির পুকুর ডুবে মাছ ভেসে গেছে।

কুড়িগ্রাম জেলা মৎস্য অফিস সূত্র জানিয়েছে, চলতি বন্যায় জেলায় ৬০০ মৎস্যচাষির ৬৫০টি পুকুর ডুবে গেছে। ডুবে যাওয়া পুকুরগুলো থেকে ১৩০ মেট্রিক টন পোনা মাছ ভেসে গেছে। এতে ক্ষতির পরিমাণ ২৬ লাখ টাকা।

নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙা ইউনিয়নের মৎস্যচাষি জলিল মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, এক রাতের বন্যায় আমার চার বিঘা পুকুরের ২৫ মণ মাছের পোনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পেঁপে গাছসহ অন্যান্য সবজি নষ্ট হওয়ায় ৬-৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

রাজারহাট উপজেলার জয়কুমর এলাকার আসলাম হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, মাছচাষের আয় দিয়ে আমার সংসার চলে। চলতি বছর তিন বিঘা পুকুরে প্রায় ২০ মণ মাছের পোনা ছেড়েছি। ধারদেনা করে পুকুরে মাছ ছেড়েছি। বানের পানিতে সব ভেসে গেলো।

সদর উপজেলার পাঁচগাছি ইউনিয়নের জয়নাল মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, রাস্তার পাশে দুই বিঘা জমিতে মাছচাষ করেছি। পানি বাড়ার খবরে পুকুরের চারপাশ জাল দিয়ে ঘিরে রেখেছি। রাতে পানির চাপে রাস্তা উপচে পুকুরপাড় ভেঙেছে। এতে পুকুরে থাকা সব মাছ ভেসে গেছে।

Nagad

কুড়িগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কালিপদ রায় গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা প্রতিদিনই মাছচাষিদের খোঁজখবর নিচ্ছি। তাদের পরামর্শ দেওয়াসহ বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যচাষিদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে।

সারাদিন/১৮ জুলাই/এমবি