দর-কষাকষি করে ঘুষ লেনদেন, দুই রাজস্ব কর্মকর্তা স্ট্যান্ড রিলিজ

মাদারিপুর সংবাদদাতা:মাদারিপুর সংবাদদাতা:
প্রকাশিত: ৬:৩৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩, ২০২৩

কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ মাদারীপুর সার্কেল অফিসের রাজস্ব কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ও ইমরান কবীর অফিস কক্ষে বসে ঘুষের টাকা গ্রহণ করছেন। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হয়। সংগৃহীত ছবি-

কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ মাদারীপুর সার্কেল অফিসের দুই রাজস্ব কর্মকর্তার ঘুষ লেনদেনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তাকে স্ট্যান্ড রিলিজ করেছে খুলনার ভ্যাট কমিশন।

আজ মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি ২০২৩) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন।

জেলা প্রশাসক জানান, গত ২৯ ডিসেম্বর বিকেলে ১০ মিনিট ১৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যায়, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ মাদারীপুর সার্কেল অফিসের রাজস্ব কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ও ইমরান কবীর অফিস কক্ষে বসে ঘুষের টাকা গ্রহণ করছেন। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হয়। পরে ২ জানুয়ারি বিকেলে খুলনার ভ্যাট কমিশনের অতিরিক্ত কমিশনার ম. সফিউজ্জামান অভিযুক্তদের স্ট্যান্ড রিলিজ করেন।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে মাদারীপুর সার্কেল অফিসকে পত্রটি দেওয়া হলে তাঁরা খুলনায় চলে যান। অভিযুক্ত দুজনকেই খুলনা অফিসে সংযুক্ত করে অফিসিয়াল তদন্ত করবে ভ্যাট কমিশন।

ভুক্তভোগী শহিদুল ইসলাম লিখন বলেন, ‘৫০০ টাকার কয়েকটি নোট দেওয়ার পর তা গুনে পকেটে ভরেন রফিকুল ইসলাম। আর পাশে বসে ছিলেন ইমরান কবীর। দুই রাজস্ব কর্মকর্তা ঘুষের টাকার জন্য দর-কষাকষি করেছেন। এমন কি চাহিদা মতো প্রতি মাসে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আরও দুই হাজার টাকা মাসোহারা চাইছেন। এটা খুবই দুঃখজনক। পরে আমি ও আমার বন্ধু অমিত হোসেন গণমাধ্যমে বিষয়টি জানিয়ে দিই। এতেও বিভিন্ন মহল থেকে আমাদের ওপর চাপ এসেছে।’

লিখন আরও বলেন, ‘শুনেছি, তাদের বদলি করা হয়েছে। এতে তো দোষীর কোনো বিচার হলো না। বরং মাদারীপুর জেলার চেয়ে বড় জেলা খুলনায় বদলি হলো। সেখানে রেখে তাদের তদন্ত হলে প্রশ্নবিদ্ধ হবে। তাই তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে তদন্ত করলে আমাদের মতো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন। স্ট্যান্ড রিলিজ কোনো সমাধান হতে পারে না। দোষীরা বিচারের মুখোমুখি হোক, এটাই চাই।’

Nagad

তবে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট বিভাগ মাদারীপুর সার্কেল অফিসের বিভাগীয় কর্মকর্তা ও ডেপুটি কমিশনার মো. এনামুল হককে আজ দুপুরে তার অফিসে গিয়েও পাওয়া যায়নি। তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকার কল করলেও রিসিভ করেননি। খুদে বার্তা দিলেও কোনো উত্তর দেননি। সূত্র: ঢাকাটাইমস ও এনটিভি