পলকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন ভারতীয় হাইকমিশনার প্রনয় ভার্মা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৩:৪০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৮, ২০২৪

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক-এর সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে সচিবালয়ে মন্ত্রীর দপ্তরে গিয়ে তিনি প্রতিমন্ত্রী পলকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন- মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের বাংলাদেশের মানুষদের ভারত আশ্রয়, খাদ্য, অস্ত্র এমনকি জীবন পর্যন্ত দিয়েছে। আমাদের করোনাকালীন সময়ে ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণেও আমরা ভারতের সহযোগিতা পেয়েছি। আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশ এবং ভারতের জনগণকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ অর্থনীতি উপহার দেওয়া।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এই পাঁচ বছরে আমাদেরকে অপচয় রোধ করে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে রপ্তানি আয়, বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থান বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন- এই তিনটি জায়গায় আমরা ভারতের সহযগিতা পাবো বলে আশা করছি। ১২টি হাইটেক পার্কের পাশাপাশি ৬টি বাংলাদেশ-ভারত ডিজিটাল সার্ভিস এমপ্লয়মেন্ট ট্রেনিং সেন্টারের কাজ শেষ হয়েছে যেখানে প্রায় ৩০ হাজার ছেলেমেয়ে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে পারবো।

আমাদের দুই দেশের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য আমরা একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছিলাম সেটার মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে জানিয়ে পলক বলেন- বাংলাদেশ-ভারতের সাইবার স্পেসসহ সারাবিশ্বের সাইবার স্পেসের নিরাপত্তার জন্য আমরা যৌথভাবে সাইবার ড্রিল পরিচালনা করবো। সাথে সাথে ডেটা সেন্টার নির্মাণ, প্রাইভেট এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যেভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ-ভারত একসাথে কাজ করেছে, একইভাবে ডিজিটাল ভারত বিনির্মাণেও একসাথে কাজ করবে।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন-গত জুলাই মাসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা একটি সেতুবন্ধন রচনা করেছেন, যার ফলে গত পাঁচ বছরে আমাদের স্টার্টআপ গুলোতে অধিকাংশ বিনিয়োগ এসেছে ভারত, আমেরিকা, সিঙ্গাপুর, এবং জাপান থেকে। আমাদের যেকোনো পণ্যের জন্য একটি বিশাল বাজার হতে পারে ভারত। পাশাপাশি আমাদের ক্রমবর্ধমান বাজারে বিনিয়োগের ব্যাপারেও কথা হয়েছে। আমাদের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে এবং প্রাইভেট সেক্টরে সরকারের লাইন অফ ক্রেডিটে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের সুযোগ আছে। আগামী পাঁচ বছরে ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশের যে ভিত্তি আমরা গড়তে চাই, সেখানে আমাদের ৫ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, ১০ লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি, এবং বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে বাংলাদেশ-ভারত একসাথে কাজ করবে।

Nagad