যমুনা নদীতে তীব্র ভাঙন

সিরাজগঞ্জ সংবাদদাতাসিরাজগঞ্জ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ২:২৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৩, ২০২৩

ছবি- সংগৃহীত

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনা নদীতে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। গত দুইদিনে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, এনায়েতপুর ও চৌহালী উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। পানি বাড়ার সাথে সাথে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। এরই মধ্যে একাধিক ঘর-বাড়ি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিস্তৃর্ণ ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।

ফলে ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন নদীপাড়ের মানুষ। ঘর-বাড়ি হারিয়ে অনেকে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন। খোলা আকাশের নিচে অনেকের দিন কাটছে খেয়ে না খেয়ে। অনেকে ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ সেই সময়টুকু পাচ্ছেন না।

বুধবার (১২ জুলাই) খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যমুনা নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে গত এক সপ্তাহে কাজীপুরে মেঘাই ঘাট এলাকায় স্পার বাঁধের ৩০ মিটার বাঁধসহ এনায়েতপুর, চৌহালী ও শাহজাদপুরে একাধিক বসতবাড়ি, ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে বসতবাড়ি, ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা।

ভাঙন প্রতিরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প চালু থাকলেও তা কোন কাজে আসছে না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। প্রায় দেড় বছর আগে ৬৪৭ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন হয়ে সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর এনায়েতপুরের পাঁচিল থেকে ব্রাহ্মণগ্রাম পর্যন্ত সাড়ে ৬ কিলোমিটার ভাঙন প্রতিরোধে কাজ শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। সময় মত কাজ শেষ হলে এতবেশী ভাঙনের কবলে পড়ত না নদী পাড়ের মানুষ বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: মাহবুবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, প্রকল্পের কাজ অব্যাহত রয়েছে। কাজ শেষ হতে কিছুটা সময় লাগবে। এনায়েতপুর, জালালপুর, হাটপাঁচিল ও চৌহালীতে লাম্পিং কাজ চলছে। বর্ষাকালে পানির জন্য প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন কঠিন। ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ডাম্পিং অব্যাহত রয়েছে।

সারাদিন/১৩ জুলাই/এমবি 

Nagad