‘পূজামণ্ডপে সিসি ক্যামেরা বাধ্যতামূলক, রাখা হবে স্থায়ীভাবে আনসার’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৪:০৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, দেশব্যাপী দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে মণ্ডপগুলোতে পূজা শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্থায়ীভাবে আনসার সদস্য রাখা হবে। তিনি বলেন, এবার সারা দেশে দুর্গাপূজায় মণ্ডপ হবে ৩২ হাজার ১৬৮টি। এছাড়া নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবকের পাশাপাশি, ভ্রাম্যমাণ আদালতও তৎপর থাকবে। প্রতিটিতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন বাধ্যতামূলক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় তিনি এ কথা জানান।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, গত বছর কুমিল্লার একটি পূজামণ্ডপে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছিল, এর পরিপ্রেক্ষিতে এ বছর পূজা উপলক্ষে যেখানে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, সেখানে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, বড় বড় পূজামণ্ডপে নিরাপত্তা বাহিনী টহলে থাকবে। পূজামণ্ডপে আসা নারীর-শিশু দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার রোধে পূজা উদযাপন কর্তৃপক্ষ স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলবে। যে কোনো ইমারজেন্সিতে ৯৯৯ জাতীয় জরুরি সেবায় ফোন করতে অনুরোধ করা হয়েছে বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, পূজামণ্ডপ কেন্দ্র করে বিশেষ করে রাজধানীর নবাবপুরসহ সারাদেশে যেন যানজট সৃষ্টি না হয়, সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সোশ্যাল মিডিয়ার অপপ্রচার, গুজব রোধে, সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং করা হবে। এই ধরনের অপচেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থার মুখোমুখি হবে।

মন্ত্রী বলেন, আজান, নামাজের সময় মসজিদের পার্শ্ববর্তী মণ্ডপগুলোতে পূজা চলাকালীন এবং বিসর্জনের সময় যন্ত্রের ব্যবহার সীমিত রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

Nagad

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১ অক্টোবর থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত দেশব্যাপী ৩২ হাজার ১৬৮টি পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে। পূজা উদযাপন কমিটিকে অনুরোধ করা হয়েছে এই সংখ্যাটা যেন আর না বাড়ে। তবে কমলে আমাদের জন্য সুবিধা হবে।

কামাল বলেন, পূজা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জুয়া ও মাদক সেবন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পূজামণ্ডপে অগ্নিনির্বাপকসহ যেকোনো দুর্ঘটনারোধে ফায়ার সার্ভিস প্রস্তুত থাকবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, উৎসব চলাকালে ঢাকাসহ সারাদেশে বিসর্জনের সময় ফায়ার সার্ভিস, নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড ও ডুবুরি থাকবে। উপকূলীয় অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত পূজামণ্ডপে কোস্টগার্ড নিরাপত্তা দেবে। অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও তাদের সঙ্গে থাকবে। দুষ্কৃতিকারীদের অশুভ তৎপরতারোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত সক্রিয় থাকবে।

সামাজিক মাধ্যমে গুজব রোধে মনিটরিং সেল করা হচ্ছে। কেউ ধর্ম ও পূজা নিয়ে গুজব ছড়ালে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান আসাদুজ্জামান খান।

সভায় স্বরাষ্ট্রের দুই বিভাগের সচিব, ধর্মসচিব, র‍্যাবের ডিজি, আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারের প্রতিনিধিসহ গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।