মিয়ানমারের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধে জাতিসংঘের আহ্বান
জনগণকে নিপীড়ন ও ভয় দেখিয়ে শাসন করা মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর কাছে রাজস্ব ও অস্ত্র পৌঁছানো থামাতে বিশ্বের দেশগুলোর আরও বেশি কিছু করা উচিত বলে মন্তব্য করেছে জাতিসংঘ মানবাধিকার দপ্তর।
জাতিসংঘ মানবাধিকার দপ্তর বলছে, জনগণনের ওপর নির্যাতন ও ভয় দেখিয়ে শাসন করা মিয়ানমারের জান্তার কাছে রাজস্ব ও অস্ত্র পৌঁছানো থামাতে হবে। মিয়ানমার জান্তাকে আরও বিচ্ছিন্ন করতে সদস্য দেশগুলোকে আরও বেশি কিছু করা উচিত।
শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর কাছে এ আহ্বান জানানো হয়।
সামরিক জান্তা নির্বিচার হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে বলে অভিযোগ জাতিসংঘের। অপরদিকে জান্তা বলছে, তারা দেশের ক্ষতি করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ‘সন্ত্রাসীদের’ বিরুদ্ধে লড়াই করছে।
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ব্যবসায়িক নেটওয়ার্ক যেন বিদেশি মুদ্রা আয় করতে না পারে তার জন্য লক্ষ্য স্থির করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে ও তাদের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করতে জাতিসংঘ সদস্য দেশগুলোর প্রতি সুপারিশ জানিয়েছে মানবাধিকার দপ্তর।
প্রতিবেদনে তারা বলেছে, “মিয়ানমারের জনগণকে সমর্থন জানাতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের উচিত তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সব পদক্ষেপ গ্রহণ করা এবং দেশটির সামরিক বাহিনীকে আর্থিকভাবে বিচ্ছিন্ন করতে জানানো আহ্বানের জবাব দেওয়া।
“আগাম চতুর পদক্ষেপ নেওয়ার সম্ভাবনা কমাতে দ্রুত সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বিবেচনা করা উচিত।”
মিয়ানমারে সমারিক বাহিনীকে রাশিয়া, চীন, সার্বিয়া ও ভারত সহযোগিতা করছে বলে অভিযোগ করেছে জাতিসংঘ মানবাধিকার দপ্তর।
তারা বলছে, মিয়ানমারকে যুদ্ধবিমান ও সাঁজোয়া যান দিয়ে সহায়তা করেছে রাশিয়া। এ ছাড়া যুদ্ধ ও পরিবহন বিমান সরবরাহ করেছে চীন। রকেট ও গোলাগুলি দিয়েছে সার্বিয়া এবং দূরবর্তী বিমান প্রতিরক্ষা স্টেশন তৈরিতে সহায়তা করেছে ভারত।
উল্লেখ্য, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে এক অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমার সামরিক বাহিনী। এরপর থেকে দেশটিতে অস্থিরতা বিরাজ করছে। সামরিক শাসনবিরোধী হাজার হাজার লোককে গ্রেপ্তার করেছে। হত্যা করা হয়েছে বহু মানষকে। সূত্র : রয়টার্স