ট্রেসেবিলিটি ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২০২২ নিয়ে বেসিসে তথ্য অধিবেশন অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ এবং এটুআই যৌথভাবে ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে বেসিস অডিটোরিয়ামে ট্রেসেবিলিটি ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২০২২ শীর্ষক একটি তথ্য অধিবেশনের আয়োজন করেছে।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বেসিস-এর পরিচালক এবং বেসিস হতে ট্রেসেবিলিটি চ্যালেঞ্জের সমন্বয়ক এ কে এম আহমেদুল ইসলাম বাবু। তিনি তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, এই চ্যালেঞ্জের লক্ষ্য হল বিভিন্ন সেক্টরের ট্রেসেবিলিটি সমস্যাগুলি সমাধানের জন্য স্থানীয়ভাবে আইসিটি-ভিত্তিক উদ্ভাবনী সমাধানগুলি সন্ধান করা। তিনি আরও যোগ করেন যে, আমরা যদি এই চ্যালেঞ্জের মাধ্যমে একটি ভাল ধারণা বা প্রোটোটাইপ খুঁজে পাই তবে বেসিস এবং এটুআই এর যৌথ প্রচেষ্টায় এটির উন্নয়ন ঘটিয়ে আমরা আন্তর্জাতিকভাবে আমাদের দেশিয় আইসিটি সল্যুশনকে তুলে ধরবো।
এটুআই এর পক্ষ হতে ইনোভেশন ফান্ড এক্সপার্ট নাঈম আশরাফি এবং ডিভাইস ইনোভেশন এক্সপার্ট তৌফিকুর রহমান অনুষ্ঠানটিতে অংশগ্রহণ করেন। বেসিসের সদস্যদের মাঝে তারা তুলে ধরেন যে কিভাবে এই চ্যালেঞ্জে বেসিসের সদস্যগণ অংশগ্রহণ করতে পারবেন এবং কোন কোন তথ্যের উপর নির্ভর করে জমাদানকৃত প্রকল্পগুলো থেকে মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শীর্ষ প্রকল্প নির্বাচিত করা হবে। নাঈম আশরাফি করেন যে, নির্বাচিত উদ্ভাবনী ধারণা এবং প্রোটোটাইপগুলোকে বাণিজ্যিকভাবে সফল করতে অর্থায়ন থেকে শুরু করে মেন্টরশিপ কর্মসূচির মাধ্যমে কিভাবে সেগুলোকে ধাপে ধাপে উন্নয়ন করা হবে। প্রশ্নোত্তর পর্বে তৌফিকুর রহমান বলেন যে বেসিসের সহায়তায় নির্বাচিত প্রজেক্টগুলোকে এটুআই এবং আইসিটি বিভাগ সর্বাত্নক সহযোগিতা দিয়ে যাবে।
অধিবেশনটিতে বেসিসের ৩০ জনের বেশি সদস্যসহ যুগ্মসচিব (রিসার্চ ফেলো) ইনামুল হাফিজ লতিফী এবং স্টেকহোল্ডার ম্যানেজমেন্ট সহকারী ব্যবস্থাপক ফারাহ্ জেবিন আহমদ অংশগ্রহণ করেন।
প্রসঙ্গত, ‘ট্রেসেবিলিটি ইনোভেশন চ্যালেঞ্জ ২০২২’ শীর্ষক প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্যে হলো কৃষি, চামড়া ও ঔষধ শিল্পখাতের সাপ্লাই চেইনে জড়িত প্রান্তিক পর্যায়ের অংশীজনদের খুঁজে বের করা এবং এর প্রতিটি পর্যায়ের সম্ভাব্য ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমে একীভূত করা যায় এমন পদ্ধতির সন্ধান করা। যাতে খামার থেকে ভোক্তা কাছে পণ্য পৌঁছানোর পরিবহন ব্যবস্থার গতিবিধি চিহ্নিতকরণ, অনুসরণ ও শনাক্তকরণ ছাড়াও পণ্যের উৎপাদন প্রক্রিয়া, মেয়াদোত্তীর্ণসহ সব প্রয়োজনীয় তথ্য সংযুক্ত করা সম্ভব হবে। যা ভবিষ্যতে নিরাপদ খাদ্যের সরবরাহ নিশ্চিতকরণের টেকসই ও স্থায়ী সমাধান হয়ে উঠবে। এই ট্রেসেবিলিটি প্রতিযোগিতায় সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি অথবা বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক তাদের উদ্ভাবনী সমাধান প্রস্তাবনা আকারে জমা দিতে পারবেন। চ্যালেঞ্জটিতে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে নির্ধারিত পোর্টালে ধারণা জমা দেয়া যাবে ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখের মাঝে।