প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃঢ় নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ: সভায় বক্তারা

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৯:৩৫ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সংগৃহীত ছবি

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা বলছেন, বাংলাদেশের বিশ্ব জয়ের স্বপ্ন সারথীর নাম শেখ হাসিনা। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য অসীম সাহসী নিজের জীবনের সবটুকু সময় দিয়েছেন। তাঁর সুদৃঢ় নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন উপলক্ষে বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে শুধু অর্থনৈতিকভাবেই এগিয়ে নিয়ে যাননি, তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনরুজ্জীবিত করেছেন। তাই আজ শুধু তাঁর জন্মদিন নয়, একটি জাতির পুনরুজ্জীবনেরও দিন। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশকে পরিপূর্ণতা দিয়েছেন শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় সূচনা বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

এছাড়াও আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, শাজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম ও আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহা উদ্দিন নাছিম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়–য়া, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমদ মন্নাফি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।

বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, স্বজন হারানোর বেদনা চাপা দিয়ে শেখ হাসিনা ঝড়, বৃষ্টি আধার রাতে ফিরে এসেছিলেন। তাঁর সুদক্ষ পরিচালনায় বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়ন করছেন।

Nagad

ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা দেশে ফিরে গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করেছেন।তিনি দেশে এসেছিলেন বলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার হয়েছে। তিনি ফিরেছেন বলে দেশে উন্নয়নে অর্জনের ধারা সূচিত হয়েছে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনার তাঁর পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়কে নিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করেছেন। এবার শেখ হাসিনার লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ। সেই স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের এজেন্ডা তুলে ধরেছেন। যত বাধাই আসুক, প্রতিবন্ধকতা আসুক নির্বিঘœচিত্তে এগিয়ে যাবেন।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, শেখ হাসিনা শুধু আওয়ামী লীগে নয় ১৭ কোটি মানুষের শক্তি এবং সম্পদ। তিনি দেশকে অন্ধকার থেকে উদ্ধার করতে দেশে ফিরে এসেছিলেন। বাংলাদেশকে পৃথিবীর বুকে উন্নত, সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার ভিত্তি স্থাপন করেছেন। দেশে প্রতিটি ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। যা সারা বিশ্বে নন্দিত হয়েছে। সারা পৃথিবীতে তিনি মানবতার মা হিসেবে প্রশংসিত।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বাংলাদেশের বিশ্ব জয়ের স্বপ্ন সারথীর নাম শেখ হাসিনা। পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে দেশের সবচেয়ে সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য অসীম সাহসী নিজের জীবনের সবটুকু সময় দিয়েছেন। তার সুদৃঢ় নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

আব্দুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলাদেশ আবার পাকিস্তানীদের হাতে চলে গিয়েছিলো। বাংলাদেশকে পাকিস্তানের হাতে তুলে দেয়া হয়েছিল। সেই সময়ে তিমির হননের নেত্রী শেখ হাসিনা অনেক কষ্টের সাগর পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন। দেশে ফিরে বাঙালিকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছেন। বাঙালির মুক্তির সনদ নিয়ে এখনো তিনি সামনের দিকে ছুটে যাচ্ছেন। বাংলাদেশকে অভাবনীয় উন্নয়ন উপহার দিয়েছেন।

মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, শেখ হাসিনা মানবতার নাম, আন্দোলন-সংগ্রামের মূর্ত প্রতীকের নাম। অজেয় পথচলার অকুতোভয় বীর সৈনিকের নাম।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনিরা বাংলাদেশকে ধ্বংস করে দিয়েছিলো। শেখ হাসিনাকে ২১ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হতে পারেনি, পারবে না। কারণ শেখ হাসিনাকে দেশের মানুষ ভালোবাসে। শেখ হাসিনা গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধ, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির প্রতীক।

আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সতত ও নিষ্ঠার বলিষ্ঠ উদাহরণ। আমাদেরকে সম্মানের জায়গায় বসিয়েছেন। বাঙালি জাতিকে বিশ্ববাসির কাছে মর্যাদার আসনে নিয়ে গেছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে আগমনের মধ্য দিয়ে বাঙালি উজ্জীবিত হয়েছিলো।