স্ত্রীর পরকীয়ার জেরে ব্যবসায়ী মনির হত্যা, প্রেমিক গ্রেপ্তার

কুমিল্লা সংবাদদাতাকুমিল্লা সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ৩:০১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৬, ২০২২

সংগৃহীত

কুমিল্লায় স্ত্রীর পরকীয়ার জের ধরে সবজি ব্যবসায়ী মো: মনির হোসেনকে(৩৫) হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কুমিল্লা জেলা ডিবি পুলিশ।

নিহত মনির হোসেন জেলার দাউদকান্দি উপজেলার সিন্দি (ঢালী বাড়ি)র মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে।

স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিক নুর আলমকে গ্রেপ্তারের পর কুমিল্লা ডিবি পুলিশের ইনচার্জ রাজেশ বড়ুয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বুধবার (০৫ অক্টোবর) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিবি পুলিশ জানায়, মনির হোসেনের স্ত্রী নাজমা বেগম ড্রাইভার নূর আলমের সাথে প্রেমে জড়িয়ে যান। মনির হোসেন খুন হওয়ার কারণ হিসেবে পরকীয়া প্রেমিক নূর আলমকে জিজ্ঞাসাবাদে রহস্য বের হতে থাকে।

ডিবি পুলিশ জানায়, গত ১০ সেপ্টেম্বর দাউদকান্দির তুজারভাঙ্গা এলাকার সবজি ব্যবসায়ী মনির হোসেনের লাশ বুড়িচংয়ের মোকাম ইউনিয়নের পরিহল পাড়া চেয়ারম্যান বাড়ির রাস্তার ১০০ গজ পূর্বদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম ঢাকাগামী মহাসড়কের পাশ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ স্থানীয় লোকজনের সাহায্যে মৃতদেহটি শনাক্ত করে এবং সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে লাশ মর্গে পাঠায়। ভিকটিম মনির হোসেনের মা রেহানা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে বুড়িচং থানায় মামলা করেন।

এরপর মামলাটির ছায়া তদন্ত শুরু করেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। তদন্ত করে দেখা যায়, ভিকটিম মনির হোসেনের স্ত্রী নাজমার সাথে ড্রাইভার নুর আলম মিয়ার দেড় বছর ধরে পরকীয়ার সম্পর্ক চলে আসছিল। এটা নিয়ে ভিকটিমের সাথে স্ত্রী নাজমার মনোমালিন্যের সৃষ্টি হলে নাজমা স্বামীর বাসা থেকে দুই ছেলেকে নিয়ে তার বোন বিউটির বাসায় চলে যান। সেখানে নুর আলমের সাথে নাজমার সম্পর্ক আরও গভীর হয়। পরবর্তীতে পারিবারিকভাবে কথা বলে নাজমা পুনরায় বাচ্চাদের নিয়ে তার স্বামীর বাসায় ফিরে আসেন।

Nagad

তখন ঘাতক নুর আলম ভিকটিমের স্ত্রী নাজমাকে তার কাছে চলে আসতে বলে। নাজমা স্বামীর ঘর ছেড়ে আর কোথাও যাবে না জানালে ঘাতক নুর আলম ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এরই প্রেক্ষিতে গত ০৪ অক্টোবর নুর আলমকে ডিবি পুলিশ গ্রেপ্তার করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রহস্যের জট খুলতে শুরু করে।

কুমিল্লা ডিবি পুলিশের ইনচার্জ রাজেশ বড়ুয়া গণমাধ্যমকে জানান, পরকীয়ার জের ধরে প্রেমিক নুর আলম সবজি ব্যবসায়ীকে হত্যা করে। এই ঘটনায় ডিবি পুলিশ ব্যাপক ছায়া তদন্ত শেষে ঘাতককে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। পরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।

সারাদিন/০৬ অক্টোবর/এমবি