বিএসইসির ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পুরস্কার’ পেলো ১১ প্রতিষ্ঠান
শেয়ারবাজারের সেরা মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ১১টি প্রতিষ্ঠান ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’ পুরস্কার পেয়েছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এ পুরস্কার দেয়।
স্টক ব্রোকার ও ডিলার, মার্চেন্ট ব্যাংকার ও অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি- এ তিন ক্যাটাগরিতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে শেয়ারবাজারের সেরা মধ্যস্থতাকারী হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
সোমবার (১০ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের (বিআইসিসি) কার্নিভাল হলে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন- অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ।
স্টক ব্রোকার ও স্টক ডিলার ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে আইল্যান্ড সিকিউরিটিজ। দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছে লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ। আর তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে গ্রিন ডেল্টা সিকিউরিটিজ।
মার্চেন্ট ব্যাংকার ক্যাটাগরিতে যৌথভাবে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে আইসিবি ক্যাপিটিল ম্যানেজমেন্ট ও ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট। যৌথভাবে দ্বিতীয় হয়েছে সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস ও সন্ধানী লাইফ ফাইন্যান্স। আর তৃতীয় হয়েছে লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্টস।
সম্পদ ব্যবস্থাপনা ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে শান্তা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট। দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছে অ্যালায়েন্স ক্যাপিটাল অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট। তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে আইডিএলসি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট।
পুরস্কার হিসেবে প্রতিষ্ঠানগুলোকে নগদ টাকা ও সনদ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে এক বছরের জন্য নবায়ন ফি মুক্ত করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানগুলোর চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) বিএসইসিতে প্রবেশে এক বছরের জন্য স্থায়ী পাশ দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্যে বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, ‘১ হাজার ১০০টি প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে আমরা কাজ করি। এই প্রথম স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে প্রতিযোগিতা করতে পেরেছি। এই প্রতিযোগিতা আমরা আরও বাড়িয়ে দেবো। সুস্থ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমরা ক্যাপিটাল মার্কেটকে এগিয়ে নিতে চাই।’
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পুরস্কার’ নীতিমালা অনুযায়ী, এ পুরস্কার দেওয়ার মূল উদ্দেশ্য হলো—পুঁজিবাজারে কর্মরত বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সিকিউরিটি সংক্রান্ত বিধি-বিধান যথাযথভাবে প্রতিপালন, সব কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ, পুঁজিবাজারে কর্মরত জনবলের দক্ষতা বৃদ্ধি, বিনিয়োগকারীদের সেবার মান বৃদ্ধি এবং দেশব্যাপী বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রম প্রসারসহ সর্বোপরি পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও গতিশীলতা আনয়ন।
