দেশে বন্ডের জনপ্রিয়তা দিনে দিনে বাড়ছে: বিএসইসি চেয়ারম্যান
দেশে বন্ডের জনপ্রিয়তা দিনে দিনে বাড়ছে-বলে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। তিনি বলেন, এই বন্ডে মানুষের আগ্রহ বাড়ছে । আমরা পারপিচুয়াল বন্ড দিচ্ছি, সাব-অর্ডিনেট বন্ড দিচ্ছি। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক সহযোগিতা করছে। সেজন্য গভর্নরকে ধন্যবাদ।
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর মতিঝিলে দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) আয়োজিত বন্ড মার্কেট: দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের চূড়ান্ত সমাধান শীর্ষক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পুঁজিবাজারে এখন পারপিচুয়াল বন্ড লেনদেন শুরু হয়েছে। এটি করা না হলে ব্যাংকগুলো ক্ষতির মধ্যে পড়ে যাচ্ছিল। আমরা এখন ক্যাপিটাল মার্কেটে বসে বসে ব্যাংকগুলোকে বাঁচাচ্ছি-বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, আমাদের কাছে বন্ড নিয়ে অনেক অনুরোধ আসছে। আমরা দুই বছর ধরে চেষ্টা করছিলাম বন্ড পপুলার করার। প্রাইভেট সেক্টরে প্রথম সুকুক বন্ড এসেছে, দ্বিতীয় সুকুক বন্ড নিয়ে আসছে প্রাণ। প্রাণ গ্রুপ আরও কয়েকটা বন্ড নিয়েছে, আর সেগুলো পুরোপুরি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের দ্বারা সাবস্ক্রাইবকৃত।
তিনি বলেন, আজ এক ঐতিহাসিক দিন। জানিনা কীভাবে এফবিসিসিআইয়ের আজকের অনুষ্ঠানের সময়টা মিলে গেছে। আজ (মঙ্গলবার) সকাল থেকেই পৌনে ৩ লাখ কোটি টাকার গভর্মেন্ট সিকিউরিটিজ বন্ডের ট্রেডিং শুরু হয়ে গেছে। যদিও সেটা গতকাল (সোমবার) থেকে শুরু হবার কথা ছিলো। কিন্তু কিছু সমস্যার কারণে আমরা সেটার লেনদেন শুরু করতে পারিনি। কিন্তু আজকে সেই বিশেষ দিন। গভর্নমেন্ট ট্রেজারি বন্ড বাজারে আসার সাথে-সাথেই মার্কেট ক্যাপিটাল অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ব্যাংকের লাভ হয় অনেক টাকা, প্রভিশন করতেই চলে যায় অর্ধেকের বেশি। লোন প্রভিশনিং করতে গিয়ে এত টাকা তাদের আটকে যাচ্ছে যে, তারাও লাভ করতে পারে না। সব দিক থেকেই সমস্যার সৃষ্টি। লাভ করেও লাভ তুলতে পারছে না। যেজন্য ব্যাংকগুলোকেও শেয়ার বাজারে আসতে হচ্ছে। বিভিন্ন বিষয় রক্ষা করতে গিয়ে তাদের টকসিড এসিড বেড়ে গেছে। এখন তারা বাধ্য হয়ে আমাদের কাছে আসছে।
অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএসইসির সাবেক কমিশনার এবং শান্তা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান আরিফ খান।