ব্রাউজারে ভেসে আসা পর্ন ভিডিও নিয়ন্ত্রণের দাবি অ্যাসোসিয়েশনের

তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিবেদক:তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৫:৩২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৫, ২০২২

দৈনন্দিন কার্যক্রমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্রাউজার এবং শহর বাজার অলিগলিতে বিশেষ করে কম্পিউটার এডিটিং, কম্পোজের দোকানে লাখ লাখ পর্নোগ্রাফিতে সয়লাব। গুরুত্বপূর্ণ ব্রাউজারগুলোকে জবাবদিহিতা ও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনার পাশাপাশি কম্পিউটারের দোকানগুলোতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানিয়েছে গ্রাহক অধিকার নিয়ে সোচ্চার সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।

শনিবার (১৫ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ইন্টারনেট আসার আগে অর্থাৎ ৯০ এর দশক পর্যন্ত কেবলমাত্র নির্দিষ্ট কিছু স্থানে বা গোপনে টেলিভিশনে ভিডিও ক্যাসেটের মাধ্যমে পর্নোগ্রাফি প্রদর্শন করা হতো। পরে এই স্থান দখল করে নেয় সিডি। ১৯৯৬ সালে সেলুলার ফোন ও ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়ার পাশাপাশি ধীরে ধীরে মানুষের হাতে যখন স্মার্টফোন চলে আসে সেসঙ্গে পর্নো ভিডিও মানুষের হাতের মুঠোয় চলে আসে। ডিজিটাল যুগে মানুষের দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্রাউজার যেমন গুগলক্রম, ফায়ারফক্স, মজিলা, মিনি অপেরা, বেটা, ভিপিএনসহ বিভিন্ন ব্রাউজার ব্যবহার করে আসছে আর সেসব প্রয়োজনে সার্চ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মিলে যাচ্ছে লাখ লাখ কোটি কোটি পর্ন ভিডিও লিংক। এসব ব্রাউজার নিয়ন্ত্রণে এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে আমরা লক্ষ্য করিনি।

বিবৃতিতে বলা হয়, পাড়া, মহল্লার অলিগলিতে কম্পিউটার অপারেটর, পোস্ট এডিটিংয়ের নামে গড়ে ওঠা কম্পিউটারের দোকানগুলোতে ১০-২০ টাকার বিনিময়ে মেমোরি কার্ডের লোড অথবা শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে পর্নোভিডিওর ব্যবসা চলছে। এসব নজরদারির জন্য নিয়ন্ত্রণ কমিশনের, মন্ত্রণালয় এমনকি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকেও কোনো পদক্ষেপ নিতে খুব একটা দেখা যায় না। যদিও গত দুই দিন আগে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ২৮৮টি লিংক বন্ধ করেছেন বলে জানতে পেরেছি গণমাধ্যমে। কিন্তু এই সামান্যতম লিংক বন্ধ করা অনেকটাই সাগর থেকে এক বালতি জল তুলে আনার মতো।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রকৃতপক্ষে পর্নো নিয়ন্ত্রণ করতে হলে গুগলসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্রাওজারগুলাকে নিয়ন্ত্রণ ও জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে হবে। পাশাপাশি পাড়া মহল্লায় অভিযান পরিচালনা করতে হবে। সেসঙ্গে জনসচেতনতা গড়তে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে সব পক্ষকে। যেহেতু বাংলাদেশ একটি মুসলিম প্রধান দেশ এবং আইনগতভাবে বাংলাদেশে পর্নোগ্রাফি নিষিদ্ধ। তাই এ ব্যাপারে সরকারকে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে হবে, নাহলে আগামী প্রজন্ম বিপথগামী হবে এবং দেশে ধর্ষণ ও নৈরাজ্য বিস্তার লাভ করবে।