উৎসবমুখর পরিবেশে খুলনায় বিএনপির সমাবেশস্থলে আসছে নেতাকর্মীরা

খুলনা সংবাদদাতা:খুলনা সংবাদদাতা:
প্রকাশিত: ৯:৩১ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২২, ২০২২

সংগৃহীত ছবি-

খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ শুরু হবে দুপুর ২টায়। কিন্তু এরই মধ্যে নেতাকর্মীদের ভিড় ছড়িয়েছে সমাবেশস্থল ছাড়িয়ে আরও প্রায় এক কিলোমিটার। খুলনা মহানগরীর আপার যশোর রোড সোনালী ব্যাংক চত্বরে মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। রাতে সেখানে কয়েক হাজার নেতাকর্মী অবস্থান নেয়।

তবে শুক্রবার (২০ অক্টোবর) রাতেই বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে নেতা-কর্মীরা এসে সমাবেশস্থলে অবস্থান নিয়েছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, তাদের সময় কাটছে গল্প-আড্ডা, গান আর স্লোগানে। অনেকেই সময় কাটাতে লুডুসহ বিভিন্ন খেলায় মেতেছেন। অনেকে ফেসবুকে লাইভ দিচ্ছেন, সেলফি তুলছেন। সহকর্মীদের পরিস্থিতি জানাচ্ছেন।

শনিবার (২২ অক্টোবর) সকাল ৮টার মধ্যে নগরীর ডাকবাংলা মোড়, পিকচার প্যালেস, ফেরিঘাট, শিববাড়ি মোড় পর্যন্ত ভিড় ছড়িয়েছে। এখনও শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে খণ্ডখণ্ড মিছিল নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে আসছেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে সমাবেশস্থলে। মঞ্চের পাশে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দিচ্ছেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা। অনেকে ফেসবুকে লাইভ দিচ্ছেন, সেলফি তুলছেন।

বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সমাবেশ বাস্তবায়নে গঠিত মিডিয়া উপ-কমিটির আহ্বায়ক এহতেশামুল হক শাওন বলেন, শত বাধা উপেক্ষা করে সমাবেশস্থলে এসে নেতা-কর্মীরা উজ্জীবিত। বহু বাধা কাটিয়ে এখানে আসতে পেরে তারা আনন্দিত। অনেক কষ্ট করে তারা এসেছেন। শনিবার সমাবেশ, সেই সমাবেশ সফলে আগেভাগেই সমাবেশস্থল পূর্ণ করেছেন। রাতে শুয়ে-বসে, আড্ডা-গল্পে, বক্তব্য শুনে তাদের সময় কাটছে।

Nagad

রাত ৮টার দিকে নগরের কেডি ঘোষ রোডে বিএনপির দলীয় কার্যালয় এলাকায় অবস্থান নিতে থাকেন হাজার হাজার নেতা-কর্মী। তাদের মধ্যে অনেকেই রাতে থাকার জন্য বালিশ-কাঁথা, চাদর সঙ্গে নিয়ে আসেন।

রাত ১০টায় দলীয় কার্যালয় থেকে মিছিল নিয়ে শত শত নেতা-কর্মী সমাবেশস্থলে যান। এ সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সমাবেশস্থলে পরিদর্শন করে হোটেলে যান। এরপর সেখানে মঞ্চ নির্মাণের কাজ শুরু হয়।

সমাবেশ ঘিরে যেমন রয়েছে উৎসাহ-উদ্দীপনা, তেমনই রয়েছে ভোগান্তি। বন্ধ রয়েছে বাস, লঞ্চ ও খেয়াঘাট। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। দূর-দূরান্ত থেকে সমাবেশে আসতে ভরসা করতে হচ্ছে ট্রেন, ট্রলার, ইজিবাইক, সিএনজি ও ভ্যানের ওপর। অনেকে পায়ে হেঁটে সমাবেশস্থলে আসছেন।

বিএনপির নেতাদের অভিযোগ, সমাবেশে যাতে নেতাকর্মীরা অংশ নিতে না পারেন তাই বন্ধ বাস, লঞ্চ ও খেয়াঘাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ট্রেনে পাথর ছোড়া হয়েছে।

জানা যায়, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে এবং জ্বালানি তেল, চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, বিএনপির নেতাকর্মী হত্যা, হামলা ও মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে কেন্দ্রিয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে খুলনায় বিভাগীয় গণসমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।