‘মোবাইল দিতে না চাওয়ায় ডা. বুলবুলকে ছুরিকাঘাত করে ছিনতাইকারীরা’

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭:১৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২২, ২০২২

ছবি- সংগৃহীত

রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় দন্ত-চিকিৎসক আহমেদ মাহি বুলবুলের রিকশা গতিরোধ করে ছিনতাইকারীরা। পরে চিকিৎসকের উরুতে ছুরিকাঘাত করে তার কাছে থাকা নোকিয়া ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন নিয়ে পালিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। পরে আহত অবস্থায় ডা. বুলবুলকে উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এই ঘটনায় সম্প্রতি ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চিকিৎসক বুলবুলকে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় পাঁচ ছিনতাইকারীর বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৩৯৬ ধারায় চার্জশিট দিয়েছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

মামলার চার্জশিটে এইসব কথা উল্লেখ করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।

চার্জশিটভুক্ত পাঁচ আসামি হলেন- ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা মো: রায়হান ওরফে সোহেল আপন (২৭), সদস্য রাসেল হোসেন হাওলাদার (২৫), আরিয়ান খান হৃদয় (২৩), সোলায়মান (২৩) ও রিপন।

গত ২৭ মার্চ ভোর সাড়ে ৫টার দিকে শেওড়াপাড়া মেট্রোরেল স্টেশন এলাকায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হন চিকিৎসক আহমেদ মাহী বুলবুল। এই ঘটনায় রাজধানীর মিরপুর থানায় তার স্ত্রী শাম্মী আক্তার বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চার্জশিটে উল্লেখ করেন, “মামলার ভিকটিমের স্বামী বুলবুল আহমেদ (৩৯) দন্তচিকিৎসক ও প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার ছিলেন। তিনি ঠিকাদারি কাজের জন্য ২০২২ সালের ২৭ মার্চ ভোর ৫টা ১৫ মিানটের দিকে নোয়াখালী যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা হতে বের হয়ে শেওড়াপাড়া বাসস্ট্যান্ড যাওয়ার জন্য রিকশাযোগে রওনা হন।”

Nagad

আরও বলা হয়েছে, “ভোর আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে মিরপুর মডেল থানার পশ্চিম কাজীপাড়ার নাভানা ফার্নিচার শোরুমের সামনে মেইন রাস্তার ওপর পৌঁছালে মামলার আসামি রিপন ও রাসেল রিকশার গতিরোধ করে বুলবুল আহমেদকে যা যা আছে দিয়ে দিতে বলেন। না দিলে সাথে থাকা ছুরি দিয়ে আঘাত করার ভয় দেখান। বুলবুল আহমেদ মোবাইলফোন দিতে না চাওয়ায় রিপন তার উরুতে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করেন এবং মোবাইলফোন নিয়ে পালিয়ে যান।”

“বুলবুল আহমেদ গুরুতর জখম অবস্থায় রাস্তায় পড়ে যান। পরে তাকে উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মামলার ঘটনায় (ছিনতাইয়ে) ব্যবহৃত ছুরিটি রিপন ও আরিয়ান ভাঙা বাড়িতে ইটের খোঁয়ার নিচে রাখেন। মামলার তদন্তে রায়হান, রাসেল, হাফিজুর, সোলাইমান ও রিপনের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৩৯৬ ধারা মতে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়। যার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।”

মামলার চার্জশিটে তদন্তকারী কর্মকর্তা আরও উল্লেখ করেন, “মামলার আসামি রায়হান, রাসেল, হাফিজুর, সোলাইমান ও রিপন আদালতে দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।”

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, চিকিৎসক আহমেদ মাহী বুলবুল হত্যা মামলায় পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৩৯৬ ধারায় চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। চার্জশিটভুক্ত পাঁচ আসামি ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

সারাদিন/২২ অক্টোবর/এমবি