আরও উত্তরে অগ্রসর হয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’, ৪ নম্বর সংকেত বহাল

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৯:১৭ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২৪, ২০২২

উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে মোড় নিয়ে বাংলাদেশের দিকে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’, যদিও এ বিষয়ে আগেই জানিয়েছিল পূর্বাভাস সংস্থাগুলো। এটি আরও উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে শক্তি বাড়িয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।

বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এটি মূলত উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। এ গতিপথ ধরে এগোলে এটি ভারতের ভুবনেশ্বর ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আঘাত হানার কথা। কিন্তু এটি ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’-এ রূপ নেওয়ার পর কিছুটা এগিয়ে উত্তর-পূর্বে মোড় নিয়েছে।

৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেতের অর্থ হলো, বন্দর ঘূর্ণিঝড় কবলিত। বাতাসের সম্ভাব্য গতিবেগ ঘণ্টায় ৫১ থেকে ৬১ কিলোমিটার, তবে ঘূর্ণিঝড়ের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়ার মতো তেমন বিপজ্জনক সময় এখনো আসেনি।

বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুদ্ধ রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণ হতে পারে।

Nagad

ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ, অমাবশ্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৭ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জল্লোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে আবহাওয়া বিভাগ।

ঘূর্ণিঝড়টি আগামী মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।