আজ বিশ্ব স্ট্রোক দিবস

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১:১৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৯, ২০২২

বিশ্বব্যাপী একটি আতংকের নাম স্ট্রোক। স্ট্রোক মস্তিষ্কের একটি রোগ। স্ট্রোক রোগটিকে অনেকে হার্ট অ্যাটাকের সঙ্গে গুলিয়ে ফেললেও এটি মূলত মস্তিষ্কের রোগ। মস্তিষ্কের কোনো স্থানের রক্তনালি বন্ধ হয়ে গেলে বা ব্লক হলে ঐ স্থানের রক্ত প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে মস্তিষ্কের ঐ বিশেষ এলাকা কাজ করতে পারে না। এটিই স্ট্রোক রোগ। যেটি প্রতি ছয় সেকেন্ডে বিশ্বের কোনো না কোনো প্রান্তে কেউ না কেউ স্ট্রোকে আক্রান্ত ও মৃত্যুবরণ করছেন।

সারাবিশ্বে মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ এই স্ট্রোক। এই বাস্তবতাকে সামনে রেখে আজর ২৯ অক্টোবর পালিত হচ্ছে-বিশ্ব স্ট্রোক দিবস। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘না করলে সময় ক্ষেপন, স্ট্রোক হলেও বাঁচবে জীবন’।

সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও নানা আয়োজনে দিবসটি উদাযাপন করা হয়। এ বছরেও দিবসটি উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন নানা কর্মসূচি পালন করছে।

চিকিৎসকরা জানান, স্ট্রোক তিন ধরনের। মাইল্ড স্ট্রোক, ইসকেমিক স্ট্রোক ও হেমোরেজিক স্ট্রোক।

মাইল্ড স্ট্রোকে রোগীর মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ সাময়িক বন্ধ হয়ে আবারও চালু হয়।

ইসকেমিক স্ট্রোকে মস্তিষ্কের ও শরীরের অন্যান্য স্থানের রক্তনালিতে রক্ত জমাট বাঁধে।

Nagad

হেমোরেজিক স্ট্রোকে মস্তিষ্কের রক্তনালি ছিঁড়ে যায়।

এ রোগে মৃত্যু ও প্রতিবন্ধিতার ঝুঁকি বেশি থাকে। প্রায় প্রতি ছয় সেকেন্ডে একজন সুস্থ মানুষ স্ট্রোক করে থাকেন। এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, সারা বিশ্বে প্রতি ছয়জনে একজন এই রোগের ঝুঁকিতে আছে। প্রতি বছর প্রায় ১৫০ লাখ মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয় যার মধ্যে ৬০ লাখ মানুষ মারা যান এবং ৫০ লাখ মানুষ আজীবনের জন্য বিকলাঙ্গ হয়ে পরেন।


স্ট্রোকের প্রধান কারণ

অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ শতকরা ৫০ ভাগ স্ট্রোকের কারণ। যারা নিয়মিত উচ্চ রক্তচাপ এর চিকিৎসা করেন না তাদের স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা ৫ গুণ বেশি।

অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস

ধূমপানের বদ অভ্যাস

নিয়মিত মদ্যপানের বদ অভ্যাস

হার্টের অসুখ- রিউমেটিক ভাল্লুলার ডিজিস, অ্যারিদমিয়া

স্ট্রেস ও ডিপ্রেশনসহ অন্যান্য মানসিক সমস্যা

দিনভর বসে কাজ করা এবং কায়িক শ্রম না করা

ফাস্ট ফুড বেশি খাওয়া (বাচ্চাদের ও তরুণদের স্ট্রোক এর জন্য)

রক্তে কোলেস্টেরল চর্বি স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি হলে।

স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে করণীয়

ওজন কমাতে হবে। এক্ষেত্রে সুষম খাবারের উপর ভরসা রাখতে হবে। দামি নয়, দেশি ও সহজলভ্য খাবার দিয়ে থালা সাজান।

ডায়েটে রাখুন পর্যাপ্ত পরিমাণে সবজি ও দেশি ফল।

সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন আধা-ঘণ্টা করে দ্রুত হাঁটতে হবে বা ২ দিন ১৫০ মিনিট জগিং করা।

ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করা।

প্রতিদিন অন্তত ৬ ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করা।

ব্লাড প্রেসার আর সুগার বেশি থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে রেখে চলতে হবে।

নিয়মিত শরীরচর্চা করা। তবে খেয়াল রাখতে হবে তা যেন অত্যাধিক পরিশ্রমসাধ্য বা ক্লান্তিকর না হয়।