স্ট্রোক কী? প্রতিরোধের উপায়

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩:০৭ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩০, ২০২২

ছবি- সংগৃহীত

বিশ্বজুড়ে এক আতংকের নাম স্ট্রোক। স্ট্রোক মস্তিষ্কের একটি রোগ। স্ট্রোক রোগটিকে অনেকে হার্ট অ্যাটাকের সাথে গুলিয়ে ফেললেও এটি মূলত মস্তিষ্কের রোগ। মস্তিষ্কের কোনো স্থানের রক্তনালি বন্ধ হয়ে গেলে বা ব্লক হলে ওই স্থানের রক্ত প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে মস্তিষ্কের ওই বিশেষ এলাকা কাজ করতে পারে না। এটিই স্ট্রোক রোগ।

স্ট্রোকে মৃত্যুঝুঁকি ও পঙ্গুত্বের ঝুঁকি বেশি। এখন আর বয়স্কদের মধ্যে স্ট্রোকের ঝুঁকি সীমাবদ্ধ নেই, কমবয়সীদের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে এটি। যেকোনো সময় হঠাৎ করেই হতে পারে স্ট্রোক। বিশেষ করে যারা অনিয়মিত জীবন যাপন করেন কিংবা স্থূলকায় তাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি।

স্ট্রোকের উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে- অর্ধ পক্ষাঘাত বা শরীরের একপাশ নড়াতে অক্ষম হওয়া বা অনুভূতিহীন হওয়া, কথা বুঝতে বা বলতে না পারা, মাথা বা গা ঝিমঝিম করা, একপাশের দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হওয়া। স্ট্রোক ঘটার পরপরই সাধারণত উপসর্গগুলো প্রকাশ পায়।

প্রতি ছয় সেকেন্ডে বিশ্বজুড়ে কোনো না কোনো প্রান্তে কেউ না কেউ স্ট্রোকে আক্রান্ত ও মৃত্যুবরণ করছেন। সারাবিশ্বে মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণই হলো স্ট্রোক। তাই বিশেষজ্ঞরা বারবার স্ট্রোক প্রতিরোধের কথা বলেন। কারণ এই অসুখ প্রতিরোধের মাধ্যমেই আপনি সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।

আমেরিকার সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) স্ট্রোক এড়াতে কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছে। সেই পরামর্শগুলো বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন আকারে প্রকাশিত হয়েছে। যা সবারই জানা ও মানা অতি জরুরি। এবার আসুন জেনে নেই, সেই পরামর্শগুলো-

ধূমপান ও মদ্যপান থেকে দূরে থাকুন: স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে অবশ্যই ধূমপান থেকে দূরে থাকতে হবে। বেশিরভাগ স্ট্রোকের ঘটনা ধূমপায়ীদের মধ্যেই ঘটতে দেখা যায়। সেই সাথে মদ্যপানও পরোক্ষভাবে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। মাঝে মধ্যে নিজের ব্লাড প্রেশার, কোলেস্টেরল, সুগার পরিমাপের চেষ্টা করুন।

Nagad

ভালো খাবার খান: স্ট্রোক এড়াতে খাদ্যাভ্যাসের দিকে বিশেষ নজর রাখতে হবে। সব সময় ঘরের খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। পাশাপাশি মৌসুমি ফল ও সবজি বেশি খেতে হবে। লবণ কম খান। কারণ এর থেকে প্রেশার বাড়তে পারে। ট্রান্স ফ্যাট ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট থেকে দূরে থাকতে হবে।

এক্সারসাইজ করুন নিয়মিত: নিয়মিত শরীরচর্চার মাধ্যমে আপনি স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকটাই কমাতে পারবেন। এজন্য দৈনিক অন্তত ৪৫ মিনিট শরীরচর্চা করুন। পাশাপাশি জোরে হাঁটুন আধা ঘণ্টা।

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন: স্থূলকায় বা অতিরিক্ত মোটা ব্যক্তিদের মধ্যে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি। আসলে ওজন বেশি থাকলে স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়ে। সেক্ষেত্রে ওবেসিটি থাকলে সাবধান। এজন্য যারা অতিরিক্ত ওজনে ভুগছেন তারা ওজন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করুন।

সারাদিন/৩০ অক্টোবর/এমবি