আগামী বছরের জানুয়ারির শুরুতে রসিক নির্বাচন: ইসি
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর-বলেছেন, রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচন চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে অথবা আগামী বছরের জানুয়ারির শুরুতে অনুষ্ঠিত হবে । তিনি বলেন, রংপুরের নির্বাচনের বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আগামী ডিসেম্বরের শেষ অথবা জানুয়ারির শুরুর দিকে এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা রয়েছে। নির্বাচনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কমিশন বৈঠকে হবে।
রোববার (৩০ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান তিনি।
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, নিবন্ধন পেতে আগ্রহী দলগুলোকে শতভাগ শর্ত পূরণ করতে হবে। একটি শর্তও যদি অপূর্ণ থাকে তবে নিবন্ধন পাবে না।
মো. আলমগীর বলেন, কোনো দলের একটি শর্তও যদি অপূর্ণ থাকে নিবন্ধন দেওয়া হবে না। আজ শেষ দিন, এরপর আমরা কমিটি করে দেব। তারা যাচাই বাছাই করবে। তারপর আমরা দেখে সিদ্ধান্ত দেব। শর্ত পূরণের ক্ষেত্রে এক শতাংশ কম থাকলেও নিবন্ধন পাবে না। যে কোনো দলের ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য হবে।
জামায়াতের নেতারা বিভিন্ন নামে নিবন্ধনের আবেদন জমা দিয়েছে- বিষয়টি নিয়ে সাবেক এই ইসি সচিব বলেন, আমরা তো দেখিনি। আপানারাই (গণমাধ্যম) বলছেন। তবে যে কোনো দলের ক্ষেত্রেই নিবন্ধন পেতে শতভাগ শর্ত পূরণ করতে হবে।
বর্তমানে নিবন্ধিত দলগুলোর মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), গণতন্ত্রী পার্টি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি- এলডিপি, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এম.এল), কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় পার্টি (জেপি), বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাতীয় পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), জাকের পার্টি, গণফোরাম, গণফ্রন্ট, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কংগ্রেস, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (মুক্তিজোট), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)।
এ পর্যন্ত যে পাঁচ দলের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে, সেগুলো হলো-বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, ফ্রিডম পার্টি, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টি (পিডিপি) ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)।
উল্লেখ্য, গত ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে সিসি ক্যামেরায় অনিয়ম দেখে ভোট বন্ধ ঘোষণা করে ইসি। এ নির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত আটকে আছে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে। কমিটি প্রতিবেদন জমা দিলেও এখনও এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলেন তিনি। এসময় তিনি আরও বলেন, গত বৃহস্পতিবার রিপোর্ট জমা দিলেও এখনও সেটা নিয়ে বসা হয়নি। তাই গাইবান্ধার ভোট নিয়ে পরবর্তীতে কী হবে এখনই মন্তব্য করছি না।