‘ডেঙ্গু মোকাবেলায় সরকারের সঙ্গে জনগণের অংশগ্রহণ দরকার ’

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৮:০১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩০, ২০২২

তাজুল ইসলাম আজ রোববার (৩০ অক্টোবর) মন্ত্রণালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সারাদেশে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধ বিষয়ক ২০২২ সালের ৫ম আন্ত:মন্ত্রণালয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে একথা জানান। সংগৃহীত ছবি

ডেঙ্গুসহ অন্যান্য মশাবাহিত রোগ মোকাবেলায় সরকারের সঙ্গে জনগণের অংশগ্রহণ একান্ত প্রয়োজন-বলে জানিয়েছেন, করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, সরকারের নানা কর্মকান্ডের পাশাপাশি এডিস মশার বংশবৃদ্ধি বন্ধে সাধারণ মানুষের সচেতনতাই ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

তাজুল ইসলাম আজ রোববার (৩০ অক্টোবর) মন্ত্রণালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সারাদেশে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধ বিষয়ক ২০২২ সালের ৫ম আন্ত:মন্ত্রণালয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে একথা জানান।

মন্ত্রী বলেছেন, সাধারণ জনগণকে ডেঙ্গু মোকাবেলায় সম্পৃক্ত করতে হবে। সকল মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য দায়িত্বশীলদের যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সাল থেকে আমরা ডেঙ্গু রোগের জন্য দায়ী এডিস মশার বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। ২০২০ সালে এসে সেই সফলতা দেখাতে সক্ষম হয়েছি। তবে ২০২২ সালে এসে আবার পরিস্থিতির অবনতি লক্ষ্য করছি। যদিও পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে পরিস্থিতি এখনো অনেক খারাপ।

তিনি বলেন, চলতি বছর আগের তুলনায় আবহাওয়ার ভিন্নতা দেখা যাচ্ছে। এখন থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি হচ্ছে। অন্য বছরে এসময়ে ডেঙ্গু তুলনামূলক এতো বেশি থাকে না। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্যই ডেঙ্গু পরিস্থিতি এ সময় আগের তুলনায় বেশি।

মন্ত্রী বলেন, দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়ররা এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে সব ধরনের কর্মসূচী নিয়েছেন। মন্ত্রণালয় থেকে প্রয়োজনীয় জনবল, অভিযান পরিচালনার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটসহ যখন যা চাওয়া হয়েছে, তখন তাই দেয়া হয়েছে। মানুষকে সচেতন করার জন্য যা যা করণীয় তার সব বিছু করা হয়েছে। যার সুফল হিসেবে আমরা আজ একটি ইতিবাচক জায়গায় পৌঁছেছি।

Nagad

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ডেঙ্গু বিরোধী মোবাইল কোর্টের অভিযানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন বিগত ৪ মাসে ১৬৩ টি মামলায় ১২ লক্ষ ২১ হাজার ৫০০ টাকা ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন মার্চ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ১৩৯ টি মমলায় ৫৭ লক্ষ ৭৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিনসহ স্থানীয় সরকার বিভাগ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ,দপ্তর,সংস্থা ও সিটি কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।