হার নিউজিল্যান্ডের, আশা বাঁচিয়ে রাখলো ইংল্যান্ড

খেলাধুলা ডেস্কখেলাধুলা ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭:০৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১, ২০২২

ছবি- সংগৃহীত

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে বাঁচা-মরার ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিলো ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড। টানটান উত্তেজনার এই লড়াইয়ে একে অপরকে ছাপিয়ে যেতে চাইছিলো দুই টিমই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডকে ২০ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখলো ইংল্যান্ড।

মঙ্গলবার (০১ নভেম্বর) ব্রিসবেনে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড ১৭৯ রানের স্কোরবোর্ডে তোলে। ১৮০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রানে থামে নিউজিল্যান্ড।

নিউজিল্যান্ডের এই পরাজয়ের ফলে গ্রুপ ‘১’-এর পয়েন্ট টেবিলে বড় ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়ে গেলো। ইংল্যান্ডের এই জয়ের ফলে তিন দলেরই পয়েন্ট সমান হয়ে গেলো। নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার সমান ৫ পয়েন্ট করে। যদিও রানরেটের হিসেবে শীর্ষে কিউইরা। দ্বিতীয় স্থানে ইংল্যান্ড এবং তৃতীয় স্থানে অস্ট্রেলিয়া।

এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জস বাটলার। দুই ওপেনিং জুটি শুরুটা দুরন্ত করেন। প্রথম উইকেটেই ৮১ রান তুলে ফেলে ইংল্যান্ড। । বাটলারের সঙ্গে অ্যালেক্স হেলস মিলে ব্রিটিশদের পায়ের তলার জমি শক্ত করেন। আক্রমণাত্মক মেজাজে গুরুত্বপূর্ণ অর্ধশতরান করে আউট হন হেলস। ৫২ রান করার পরে মিচেল স্যান্টনারের বলে আউট হয়ে যান তিনি।

হেলস আউট হওয়ার পরে রানের গতি বাড়ান বাটলার। তবে ২ বার প্রাণরক্ষা হয়েছে ব্রিটিশ অধিনায়কের। প্রথমে কিউয়ি অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন এবং পরে ড্যারিল মিচেল তাঁর ক্যাচ ছাড়েন। সেই ক্যাচ ফস্কানোর ফায়দা তোলেন বাটলার। হাত খুলে খেলা শুরু করেন তিনি। কিন্তু বাকিরা তাঁকে সে ভাবে সঙ্গত করতে পারেননি। এক মাত্র লিয়াম লিভিংস্টোন ২০ রান করেন। বাকিরা কেউ দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাননি। বাটলার ৪৭ বলে ৭৩ করে রান আউট হয়ে যান। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭৯ রান করে তারা ইংল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের হয়ে লকি ফার্গুসন ২ উইকেট নেন।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করেনি নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় ওভারেই আউট হয়ে যান ডেভন কনওয়ে (৩)। এর পর দলের ২৮ রানের মধ্যে ফিন অ্যালেনও সাজঘরে ফেরেন। তবে কেন উইলিয়ামসন এবং গ্লেন ফিলিপস দলের হাল ধরেন। বিশেষ করে এক বার প্রাণ ফিরে পেয়ে গ্লেন ফিলিপস একেবারে লড়াকু মেজাজে ছিলেন। প্রসঙ্গত, মইন আলি তাঁর সহজ ক্যাচ ফেলে দেন। তা না হলে হয়তো আরও আগে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস গুটিয়ে যেতে পারত। তৃতীয় উইকেটে ৯১ রানের পার্টনারশিপ করেন কেন এবং গ্লেন।

Nagad

একটা সময় মনে হচ্ছিল, দু’জনে ইংল্যান্ডের হাত থেকে ম্যাচ বের করে নিয়ে যাবেন। তখনই ইংল্যান্ডকে খেলায় ফেরান বেন স্টোকস। উইলিয়ামসনকে (৪০ বলে ৪০ রান) মাথায় আউট করেন তিনি। রান পাননি জিমি নিশাম, ড্যারিল মিচেলরা। দলকে জেতানোর পুরো দায়িত্ব গিয়ে পড়ে ফিগ্িলেন ফিলিপসের উপর। তবে লড়াই করেও দলকে জেতাতে পারেননি তিনি। শেষ পর্যন্ত আউট হয়ে যান ৩৬ বলে ৬২ রান করে। সেই সঙ্গেই মুখ থুবড়ে পড়ে নিউজিল্যান্ড। ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ড করে ১৫৯ রান। ২০ রানে ম্যাচ জিতে যায় ইংল্যান্ড।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ইংল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৭৯/৬ (জস বাটলার ৭৩, অ্যালেক্স হেলস ৫২, হ্যারি ব্রুক ৭, মঈন ৫, লিভিংস্টোন ২০, স্টোকস ৮, কারান ৬, মালান ৩; মিচেল স্যান্টনার ৪-০-২৫-১, ইশ সোদি ৪-০-২৩-১, টিম সাউদি ৪-০-৪৩-০, লকি ফার্গুসন ৪-০-৪৫-১, ট্রেন্ট বোল্ট ৪-০-৪০-০)।

নিউজিল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৫৯/৬ (ফিন অ্যালান ১৬, ডেভন কনওয়ে ৩, কেইন উইলিয়ামসন ৪০, গ্লেন ফিলিপস ৬২, ডার্লি মিশেল ৩, জিমি নিশাম ৬, মিচেল স্যান্টনার ১৬, ইশ সোদি ৭; স্যাম কারান ৪-০-৩৬-২, ক্রিস ওকস ৪-০-৩৪-২, মার্ক উড ৩-০-২৫-১, আদিল রশিদ ৪-০-৩৩-০, স্টোকস ১-০-১০-০)।

ফল: ২০ রানে জয়ী ইংল্যান্ড।

সারাদিন/০১ নভেম্বর/এমবি