খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠানোর চিন্তা-ভাবনা নেই: আইনমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৭:১৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৫, ২০২২

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আগামী নির্বাচনের আগে কারাগারে পাঠানোর এখনও চিন্তা-ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে বিষয়টি স্পষ্ট করে বলেছেন। যদি বাড়াবাড়ি করা হয়…। কারণ নির্বাহী আদেশ যেকোনো সময় ব্যবহার করা যায় বা বাড়ানো যায়।’

শনিবার (৫ নভেম্বর) জাতীয় সংবিধান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর ধানমন্ডির ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল’ অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স (বিলিয়া) এ সেমিনারের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকেরা জানতে চেয়েছিলেন, আগামী নির্বাচনের আগে কী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আবার কারাগারে ফেরত পাঠানোর সম্ভাবনা রয়েছে? জবাবে আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘আমার মনে হয় না খালেদা জিয়াকে ফৌজদারি কার্যবিধি ৪০১ ধারায় তার দণ্ডাদেশ স্থগিত রেখে শর্ত যুক্তভাবে যে মুক্তি দেওয়া হয়েছে, তার পরিবর্তন আনার কোনো চিন্তা-ভাবনা সরকার করছে।

দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের দণ্ডিত সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাবন্দি ছিলেন। এরমধ্যে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরবর্তীতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে পরিবারের সদস্যদের আবেদনে সাজা ছয় মাসের জন্য স্থগিত রেখে তাকে সাময়িক সময়ের জন্য মুক্তি দেয় সরকার।

এরপর খালেদা জিয়া রাজধানীর গুলশান এভিনিউয়ের নিজের বাসভবন ফিরোজায় যান। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ফের মেয়াদ আরো বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে খালেদা জিয়া করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে তিনি হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সবশেষে ১৯ সেপ্টম্বর মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ছয় মাসের জন্য মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়।

Nagad

প্রতিবার একই শর্তে তাকে কারাগারের বাইরে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। শর্ত অনুযায়ী, মুক্ত থাকার সময়ে খালেদা জিয়া বিদেশে যেতে পারবেন না।

বিলিয়ার চেয়ারপারসন ব্যারিস্টার এম আমির-উল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন প্রমুখ।

এসময় লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির, সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জমিরসহ বিশিষ্টজনরা উপস্থিত ছিলেন।