‘২০২৪ সালের জানুয়ারির শুরুতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ১০:২০ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১৪, ২০২২

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ সালের জানুয়ারির শুরুতে হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি এবং সব দলকে নির্বাচনে আনা বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান। তিনি বলেন, ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে নয়, জানুয়ারির শুরুতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। তবে ঠিক কত তারিখে নির্বাচন হবে সেটা এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি।

রোববার (১৩ নভেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সবার জন্য লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা চ্যালেঞ্জ। আমরা ওইদিকেই নজর দেব। এটা যদি সবাই না পায় তাহলে তো ভোটে পরিবেশ থাকবে না। এ ছাড়া সব দলকে আনাই আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ। সফল হব কিনা জানি না, শেষ দিন পর্যন্ত আমাদের এই চেষ্টা থাকবে বলে জানান তিনি।

বিএনপি নির্বাচনে আসবে না এমনটা মনে করছি না জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসবে। নির্বাচনে এখনো ১৪ মাসের কাছাকাছি বাকি। এই ১৪ মাসে হয়তো অনেক কিছু পরিবর্তন হবে। বিশ্বে পরিবর্তন হবে, দেশেও হবে এমনকি রাজনীতিতেও হবে।

রাজনৈতিক দলগুলোকে মাঠে থাকতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, মাঠে না থাকলে তো খেলা হবে না। মাঠে না এসে তো কেউ বলতে পারবে না নির্বাচনের পরিবেশ নাই। এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমাদের আশা থাকবে সব দলের রেফারি হিসেবে থাকব। সব পক্ষ নিয়েই ভোটের মাঠে থাকব।

তিনি বলেন, ইভিএম প্রকল্প থমকে যায়নি। পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছি। তারা টেকনিক্যাল কমিটির স্বাক্ষর সংবলিত কাগজ চেয়েছিলেন। সে নিয়ে তারা (ইসি) গত সপ্তাহে বসছিলেন। জানুয়ারির মাঝামাঝি যদি প্রকল্প বাস্তবায়ন হয় তাহলে কোনো সমস্যা হবে না প্রকিউরমেন্ট বাস্তবায়নের জন্য। বাজেট কাট-ছাঁট হবে না সেরকম কোনো ইঙ্গিত আমরা পাই নাই। দেড় শ আসনে ইভিএমে ভোট করা অনিশ্চিত হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের হাতে যা আছে সেটা নিয়ে করব। আমরা বলেছিলাম অনূর্ধ্ব ১৫০ ভোট করব। যদি অনুমোদন না হয় যেটা আছে সেটা নিয়ে প্রস্তুতির কাজ এগিয়ে নিব। আরপিও সংশোধন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এই কমিশনার বলেন, কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী আমরা যথেষ্ট এগিয়ে আছি। প্রক্রিয়াগত সময় বেশি নিতে পারে। ব্যস্ততার জন্য বা বিভিন্ন কারণে হয়তো আইন সংশোধনটা একটু দীর্ঘ সময় লেগে যাচ্ছে। অচিরেই আইন মন্ত্রণালয় থেকে একটা সমাধান পাব।

Nagad

এতবার তাগাদা দেওয়ার পর আইনি সংস্কার হচ্ছে না দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, আমাদের ভরসা তো আছেই। আমরা যেতে পারি সর্বশেষ মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে। তাঁর কাছে বলতে পারব এই জায়গায় ঠেকে আছি। এখন আপনি কী করতে পারেন। এখনো সেটা আমরা চিন্তা করি নাই।

তিনি বলেন, এ পর্যন্ত আমাদের দায়িত্বকাল সাড়ে আট মাস হচ্ছে। সাড়ে আট মাসে কোনও রকম চাপ, অসহযোগিতা আমরা পাইনি। সরকারের কাছ থেকে আমরা সহযোগিতামূলক আচরণ পেয়ে আসছি। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে কোনও চাপ অনুভব করছি না। বিরোধী দলকে আমরা কিন্তু সংলাপে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তাদের বলছি, আপনারা আপনাদের এক্সপার্টদের নিয়ে আসেন। ইভিএম পরীক্ষা করেন। কিন্তু তারা আসেননি।

সাড়ে আট মাসে আপনাদের প্রতি বিরোধী দলের কি আস্থা বেড়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি আনিছুর বলেন, সেটা আপনারা ভালো বলতে পারবেন। আপনাদের সঙ্গে সরকার এবং বিরোধী দল উভয় পক্ষের ইন্টারেকশন বেশি হয়। আমরা সরাসরি বিরোধী পক্ষের কাছে যেতে পারছি না সীমাবদ্ধতার জন্য।

গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা ১৪৫টি ভোটকেন্দ্র সম্পর্কে তদন্ত করতে বলেছি। একই তদন্ত কমিটি কাজ করছে। সোমবার তারা কমিশনে রিপোর্ট জমা দেবে। রিপোর্ট দেখে আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত জানাব।