সিঙ্গাপুর বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৯:০৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৬, ২০২২

সিঙ্গাপুর বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার- বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য সম্ভাবনাময় এলাকা। পণ্য, সেবা ও বিনিয়োগখাতেও সিঙ্গাপুরের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও উন্নয়ন করা প্রয়োজন।

বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে দু’দেশের মধ্যে মেমোরেন্ডাম অব কোঅপারেশন (এমওসি) সই হয়েছে। বুধবার (১৬ নভেম্বর) সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং সিঙ্গাপুরের যোগাযোগ, বাণিজ্য ও শিল্প বিষয়ক মন্ত্রী এস ইসওয়ারান নিজ নিজ সরকারের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন। এ সময় এসব কথাে বলেন।

এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, সামনের দিনগুলোতে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে এমওসি উল্লেখযোগ্য ভুমিকা রাখবে। দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও কিভাবে বাড়ানো যায় সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।

তিনি বলেন, সিঙ্গাপুর বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার। বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য সম্ভাবনাময় এলাকা। পণ্য, সেবা ও বিনিয়োগখাতেও সিঙ্গাপুরের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও উন্নয়ন করা প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং ঢাকায় নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার উপস্থিত ছিলেন।

টিপু মুনশি জানান, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য উভয় দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ কাজ করছে। শীঘ্রই নেগোসিয়েশন শুরু করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

Nagad

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সিঙ্গাপুরের সঙ্গে আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্ণ হলো, সেটাকে উভয় দেশই স্মরণীয় করে রাখতে চায়। সিঙ্গাপুর বাংলাদেশের পর্যটন,হালাল খাবারসহ আরও বেশ কিছু খাতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী বলে তিনি জানান।

সিঙ্গাপুরের যোগাযোগ, বাণিজ্য ও শিল্প বিষয়ক মন্ত্রী এস ইসওয়ারান বলেন, উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর অনেক সুযোগ রয়েছে। সিঙ্গাপুর অর্থনৈতিক সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী। তিনি বলেন, বাংলাদেশের কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর গড়ে উঠছে। বাণিজ্য ও পর্যটন বৃদ্ধির জন্য এ বিমানবন্দর খুব সহায়ক হবে। বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে তুলে ধরতে প্রচারণা বাড়ানোর প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

জনশক্তি রপ্তানি সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে এখন আরও দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে হবে। দক্ষ জনবল থাকলে দেশে বসেই বিদেশে সেবা রপ্তানি করা সম্ভব।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, এমওসি দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণে বিশেষ সহায়ক হবে। বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশী সিঙ্গাপুরে কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, উভয় দেশের মধ্যে সহযোগিতার সম্পর্ক বহু পুরনো এবং গভীর।