গণতন্ত্র আছে বলেই বাংলাদেশে এত উন্নতি হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘গণতন্ত্র আছে বলেই বাংলাদেশে এত উন্নতি হয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত থাকে। নির্বাচনে যতটুকু স্বচ্ছতা তা আওয়ামী লীগের আন্দোলনের ফসল।’
শনিবার (১৯ নভেম্বর) গণভবনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে গণতান্ত্রিক ধারা বজায় থাকলে কিছু মানুষের ভালো লাগে না। এরা দেশে অগণতান্ত্রিক ধারা প্রতিষ্ঠার খেলায় মেতে উঠেছে।
সভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সিংহভাগ সদস্য উপস্থিত রয়েছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপির আমলে কী হতো তার জন্য বেশি দূর যেতে হবে না। ২০০১ সালের নির্বাচন, মাগুরার নির্বাচন, মিরপুর-১০ নির্বাচনগুলো স্মরণ করলে হবে। কথা ছিল (প্রচলিত) ১০ হোন্ডা, ২০ গুন্ডার নির্বাচন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভোটের সিল মারা থেকে শুরু করে নানান অপকর্ম হতো। যার জন্য আমরা স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন করেছি। ২০০৬ সালে নির্বাচন করার জন্য ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার লিস্ট করেছিল বিএনপি।’
বাংলাদেশ সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল মন্তব্য করে টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে সারা বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। খালি চোখে দেখে না আমাদের দেশের কিছু মানুষ। তাদের কিছুই ভালো লাগে না, তাদের ভালো লাগে ওই অগণতান্ত্রিক কিছু। এটা হলে তাদের মূল্য বাড়ে। ’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সেই খেলাই খেলতে চায় তারা। বারবার সেই খেলাই চলেছে দীর্ঘদিন। ২০০৮ নির্বাচনের পর একটানা গণতান্ত্রিক ধারা আছে বলেই তো বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং বিশ্বে আবার সেই মর্যাদা পেয়েছে। ’
দেশের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘অনেক সমালোচনা, এটা সেটা শুনতে হয়। তো এত কষ্ট করে দিনরাত পরিশ্রম করে কাজ করে আজকে বাংলাদেশ থেকে যে জায়গাটাতে নিয়ে এসেছি বাইরের লোকেরা দেখে। কিন্তু আমাদের দেশের ভেতরের কিছু লোক জীবনেও দেখে না, তারা দেখবে না। ’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের মানুষের কল্যাণটাই হচ্ছে আমাদের মূল লক্ষ্য। বাংলাদেশে ২০০৮ এর নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর একটানা ২০২২ পর্যন্ত এ দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই কিন্তু আজ দেশের উন্নতি হয়েছে। না হলে এত উন্নতি হতো না। আমরা খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রেই সাফল্য আনতে পেরেছি। ’
রিজার্ভ নিয়ে সমালোচকদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘হঠাৎ করে কেউ কেউ পারদর্শী হয়েছে, রিজার্ভ নিয়ে অনেক কথা শোনা যাচ্ছে। করোনাকালে আমাদের আমদানি হয়নি, কেউ বিদেশে যেতে পারেনি, কোনো রকম খরচ ছিল না। সবচেয়ে বড় কথা প্রবাসে যারা…যেহেতু কেউ বিদেশে যেতে পারেনি, হুন্ডি ব্যবসাও ছিল না, একেবারে সরকারিভাবে সব টাকা এসেছে, যার ফলে আমাদের ভালো ফান্ড আসে। যেখানে বিএনপির আমলে ’৯১ থেকে ’৯৬ পর্যন্ত বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন রিজার্ভ রেখে গিয়েছিল মাত্র ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ইউএস ডলার। যেটা ৩ মাসের খাবার আমদানি করারও পয়সা হতো না। ’