‘রাজনীতি আর গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার হীন চক্রান্ত করছে সরকার’

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮:২৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২০, ২০২২

ফাইল ছবি-

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাজনীতি আর গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার হীন চক্রান্ত করছে সরকার। গণতন্ত্র ফেরাতে বিএনপির সামনে এখন লড়াই করা ছাড়া অন্য কোনো পথ নেই। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার এই লড়াইয়ে জয়ের বিকল্প নেই। সেজন্য আমাদের তৈরি হতে হবে।

রোববার (২০ নভেম্বর) সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দয়া করে ছোট-খাটো বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে সংঘাত সৃষ্টি করবেন না। একদিকে আমার ভাইয়ের মৃতদেহ মর্গে পড়ে আছে আর আপনারা এখানে কমিটি নিয়ে সংঘাত তৈরি করেন। এটা আমি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না।

বিএনপির এই নেতা বলেন, কমিটি গঠন নিয়ে কারা সমস্যা তৈরি করে। আমি অনুরোধ করব, নাম ঠিকানা তৈরি করে তাদের অবিলম্বে দল থেকে বহিষ্কারের করা ব্যবস্থা করা হোক।

এদিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে বিএনপির উদ্যোগে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এ দিন দুপুরে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

এখানে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা উপলব্ধি করেছি যে, বাংলাদেশের রাজনীতিকে পুরোপুরিভাবে একটা নতজানু রাজনীতিতে পরিণত করা, বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করা, গণতন্ত্রকে ধবংস করে দেওয়ার যে হীন চক্রান্ত, সেই চক্রান্ত থেকে মুক্তি পাওয়ার একটা আকাঙ্ক্ষা জনগণের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে। আমরা লক্ষ্য করেছি, ৭টি বিভাগীয় সমাবেশে মানুষের যে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ, মানুষের যে আবেগ, মানুষের কষ্ট করে সামনে এগিয়ে আসা, মানুষের প্রাণ দেওয়া—এই ঘটনাগুলো থেকে বোঝা যায় যে, তারেক রহমান আমাদের জন্য কতটা অপরিহার্য।

Nagad

তিনি বলেন, খুব কষ্ট হয় একদিকে আমার ভাইয়ের বুলেটবিদ্ধ মৃতদেহ (ছাত্রদলের নেতা নয়ন) পড়ে আছে মর্গের মধ্যে। আর আপনারা কমিটির জন্য এখানে হামলা করেন। এটা আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। কারা তারা যারা এই সময় এই ধরনের সমস্যা এখানে করেছে? আমি অনুরোধ করবো এখানে রিজভী সাহেব আছেন। তাদের নাম ঠিকানা বের করে অবিলম্বে তাদের দল থেকে বহিষ্কার করার সমস্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।

এ দিন সকাল সাড়ে ৮টায় নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের এক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে আসা ভোলার চরফ্যাশনের কমিটি নিয়ে দুই পক্ষ মারামারিতে লিপ্ত হয়। পরে নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মিলাদ মাহফিলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, জয়নাল আবেদীন (ভিপি জয়নাল), আব্দুল কুদ্দুস, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, আবদুল সামাদ আজাদ, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মীর সরাফত আলী সপু, এবিএম মোশাররফ হোসেন, রিয়াজুল ইসলাম রিজু, এম এ মালেক, তাইফুল ইসলাম টিপু, মোস্তাফিজুর রহমান, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজীব আহসান, ইয়াসীন আলী, উলামা দলের শাহ নেছারুল হক, নজরুল ইসলাম তালুকদারসহ কেন্দ্রীয় ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা অংশ নেন।