আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:১৪ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২৯, ২০২২

৪৫তম বিসিএসে নন–ক্যাডারের পদ নিয়ে যে অবস্থানে পিএসসি

৪৫তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য এখন কাজ করছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। ক্যাডার পদগুলো নির্দিষ্ট হলেও নন–ক্যাডারের পদ নিয়ে এখনো কাজ শেষ হয়নি বলে জানিয়েছে পিএসসি–সংশ্লিষ্ট সূত্র। পিএসসি সূত্র জানায়, এবারই প্রথম ৪৫তম বিসিএসে ক্যাডার পদ উল্লেখ করার পাশাপাশি নন–ক্যাডার পদ উল্লেখ করার কাজ করছে পিএসসি। ৩০ নভেম্বর ৪৫তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে পিএসসি। এই বিজ্ঞপ্তিতে নন–ক্যাডার পদ নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পিএসসি। তবে ক্যাডারের পদ নির্দিষ্ট হলেও নন–ক্যাডারের পদ নিয়ে এখনো কাজ চলছে। কোনো ক্যাডারে কত পদ
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ৪৫তম বিসিএসে ২৩টি ক্যাডারে মোট ২ হাজার ৩০৯ জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে। সবচেয়ে বেশি নিয়োগ দেওয়া হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে। এতে নিয়োগ পাবেন ৫৩৯ চিকিৎসক। এর মধ্যে সহকারী সার্জন পদে ৪৫০ ও ডেন্টাল সার্জন পদে ৮৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। এ ছাড়া শিক্ষা ক্যাডারে ৪৩৭, প্রশাসনে ২৭৪, পুলিশে ৮০, কাস্টমসে ৫৪, আনসারে ২৫, কর ক্যাডারে ৩০ এবং পররাষ্ট্র, বন, রেল, কৃষি, মৎস্যসহ অন্যান্য ক্যাডারে ৮৭০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। সূত্র: প্রথম আলো।

বেসরকারিভাবে জ্বালানি আনার চিন্তা

বেসরকারিভাবে জ্বালানি আমদানির সুযোগ করে দিতে চায় সরকার। শিগগিরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে জ্বালানি বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিসভা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে সৃষ্ট জ্বালানিসংকট নিরসনের জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।এ ছাড়া বিশেষ পরিস্থিতিতে জ্বালানির মূল্য সরকার নিজেই নির্ধারণ করতে পারবে।এসংক্রান্ত আইনের খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তাঁর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদসচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন।মন্ত্রিপরিষদসচিব বলেন, বেসরকারি যেকোনো প্রতিষ্ঠান যেকোনো ধরনের জ্বালানি আমদানি করতে পারবে বলে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কয়েক দিনের মধ্যে। এরপর বেসরকারি খাত জ্বালানি আমদানি করতে পারবে। সরকার তাদের সব ধরনের সহযোগিতা দেবে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে জ্বালানি বিভাগকে নির্দেশনাও দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২২-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদনের সময় মন্ত্রিসভার সদস্যরা এ বিষয়ে আলোচনা করেন বলেও জানান তিনি। সূত্র: কালের কণ্ঠ

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা
সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে এবার ভালো ফল

‘করোনার ব্যাচ’ হিসাবে পরিচিত এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীরা বেশ ভালো করেছে। স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় তারা জিপিএ-৫ বেশি পেয়েছে। ২০১৯ ও ২০২০ সালের পরীক্ষার্থীদের চেয়ে এদের পাশের হার বেশি। তবে গত বছরের তুলনায় এবার পাশের হার কমেছে। সোমবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। এসএসসিসহ ১১টি শিক্ষা বোর্ডে পাশের হার ৮৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ। যা গত বছর ছিল ৯৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ। আর সর্বোচ্চ সাফল্য হিসাবে বিবেচিত জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ শিক্ষার্থী। গত বছর ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৪০ জন জিপিএ-৫ পেয়েছিল।মাধ্যমিকের এই পরীক্ষার্থীরা ২০২০ সালে নবম শ্রেণিতে লেখাপড়া শুরুর মাত্র আড়াই মাসের মাথায় করোনার কারণে তাদের সরাসরি ক্লাস বন্ধ হয়ে যায়। ২০২১ সালে দশম শ্রেণি শেষ করা পর্যন্ত সরাসরি ক্লাস করার সুযোগ তারা খুব কমই পেয়েছে। অনলাইন আর অ্যাসাইনমেন্টভিত্তিক লেখাপড়াই ছিল তাদের প্রধান অবলম্বন। এরপরও তারা স্বাভাবিক সময় বা ২০১৯ ও ২০২০ সালের পরীক্ষার্থীদের চেয়ে এই ব্যাচটির পাশের হার বেশি। ২০১৯ সালে পাশের হার ছিল ৮২ দশমিক ২০ শতাংশ আর ২০২০ সালে ছিল ৮২ দশমিক ৮৭ শতাংশ। শুধু পাশের হার নয়, জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যার তুলনায়ও এবার ভালো করেছে এই ব্যাচটি। ২০২০ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৯৮ জন আর ২০১৯ সালে ১ লাখ ৫ হাজার ৫৯৪ জন। অর্থাৎ গত বছর বা ৩ বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে পাশ করা শিক্ষার্থীদের তুলনায় পাশের হার কম হলেও আগের ৪ বছরের মধ্যে এবার পাশের হার সর্বোচ্চ। আর জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও অতীতের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। এগারোটি শিক্ষা বোর্ডের ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, নেপথ্যে মোটা দাগে পাঁচটি দিক ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। এগুলোর মধ্যে প্রথমেই আসে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস। এছাড়া আছে-প্রশ্নপত্রে অধিকসংখ্যক বিকল্প থেকে পছন্দের সুযোগ, ৫০-এর মধ্যে দেওয়া পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর ১০০-তে রূপান্তর, কঠিন বিষয়ে অবলীলায় ৯০ শতাংশের ওপরে নম্বর প্রাপ্তি এবং সাবজেক্ট ম্যাপিং। সূত্র: যুগান্তর।

Nagad

টেস্ট বাণিজ্যে নাজেহাল রোগী

দীর্ঘদিন পিঠের ব্যথায় ভুগছিলেন ফেরদৌসী বেগম (৪৮)। ব্যথা তীব্র হলে গ্রাম থেকে ঢাকায় এসে বেসরকারি ক্লিনিকে এক চিকিৎসকের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে দেখাতে যান তিনি। চিকিৎসক সমস্যা শুনে প্রথমে বেশকিছু টেস্ট, এক্স-রে করে নিয়ে আসতে বলেন। সেই হাসপাতালে বিল পরিশোধের সময় কী কী টেস্ট দিয়েছে জিজ্ঞেস করলে বিল কাউন্টার থেকে বলা হয়- বিভিন্ন টেস্টের সঙ্গে পায়ের হাঁটুর হাড়ের এক্স-রে করতে দিয়েছে। ফেরদৌসী বেগম বলেন, আমি বিল পরিশোধ না করে পুনরায় চিকিৎসকের কাছে পিঠের ব্যথায় পায়ের এক্স-রের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে চিকিৎসক ভীষণ বিরক্ত হন। তিনি যে টেস্টগুলো দিয়েছেন তার প্রয়োজনীয়তা আমাকে না বুঝিয়ে বরং বলেন- চিকিৎসক কে? আপনি নাকি আমি। যেগুলো দিয়েছি সে টেস্টগুলো করে নিয়ে আসেন, পছন্দ না হলে অন্য চিকিৎসককে দেখান। অন্য রোগী, তাদের স্বজনদের সামনে আমাকে এভাবে অপমান করেন। আমি ভীষণ কষ্ট পাই। টেস্ট না করিয়ে ফিরে আসি। শুধু সরকারি হাসপাতালেই নয়, উন্নত চিকিৎসার জন্য অনেকে অর্থ খরচ করে যেসব বেসরকারি হাসপাতালে যান, সেখানেও রোগীদের অভিযোগ রয়েছে। রোগীদের চিকিৎসা, ওষুধ বা অপারেশনের ব্যাপারে ঠিকমতো অবহিত করা হয় না। এমনকি চেম্বারে চিকিৎসকরাও রোগীদের কথা ভালোভাবে না শুনেই চিকিৎসাপত্র দেন বলে অভিযোগ আছে। ঢালাও টেস্টের খরচে বেড়ে যায় চিকিৎসা ব্যয়। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

ইসলামী ব্যাংক থেকে বেনামি ঋণের খোঁজে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড থেকে বেনামে বিপুল অঙ্কের ঋণ বের করে নেওয়ার অভিযোগের তদন্তে নেমেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন কোম্পানি খুলে কিংবা আগে থেকে ঋণ রয়েছে এমন কিছু প্রতিষ্ঠানের নামে বিপুল অঙ্কের ঋণের প্রকৃত সুবিধাভোগী কারা- তা খতিয়ে দেখবে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিশেষত নাবিল গ্রুপের ৭ হাজার ২৬৫ কোটি টাকা ঋণের সুবিধাভোগী অন্য কোনো পক্ষ কিনা, তার তদন্ত হবে। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে এ গ্রুপের বিষয়ে তদন্তের উদ্যোগ নিলেও অজ্ঞাত কারণে তা থেমে যায়। এখন নতুন করে বাংলাদেশ ব্যাংকের তিন সদস্যের একটি তদন্ত দল গতকাল থেকে কাজ শুরু করেছে। আর আপাতত নাবিল গ্রুপের নামে ঋণছাড় স্থগিত রাখার মৌখিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, রাজশাহীকেন্দ্রিক নাবিল গ্রুপকে ইসলামী ব্যাংকের বাইরে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক গত জুনে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা এবং সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক গত মে মাসে ১ হাজার ১২০ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন করে। সব মিলিয়ে এ গ্রুপের নামে অনুমোদিত ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা। চলতি বছরের মার্চে তাদের ঋণের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। অল্প সময়ের ব্যবধানে বিপুল অঙ্কের ঋণ বাড়ানোর বিষয়টি সন্দেহের চোখে দেখছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকের মালিকানায় থাকা কোনো পক্ষ বেনামে এসব ঋণ নিতে পারে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অফসাইট সুপারভিশন বিভাগের পর্যালোচনার ভিত্তিতে গত সেপ্টেম্বরে বিষয়টি অধিকতর তদন্তের জন্য পরিদর্শন সংশ্নিষ্ট দুটি বিভাগে পাঠানো হয়। সূত্র: সমকাল

তেলের দাম ৭৫ ডলারের নিচে, দেশে কমছে না

বিশ্ব অর্থনীতির জন্য সুখবর। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম আরও কমেছে। নানা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, মন্দার আশঙ্কার মধ্যে এই সুখবর এসেছে। যে জ্বালানি তেলের উচ্চমূল্য বিশ্ব অর্থনীতিতে ওলোটপালট করে দিচ্ছিল, আন্তর্জাতিক বাজারে সেই তেলের বড় দরপতন হয়েছে। গত দুই সপ্তাহ ধরে টানা কমে নেমে প্রতি ব্যারেল ডব্লিউটিআই অপরিশোধিত তেল ৭৫ ডলারের নিচে নেমে এসেছে। ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের দাম নেমে এসেছে ৮১ ডলারে। এই দর চলতি ২০২২ সালের মধ্যে সবচেয়ে কম। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গতকাল সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি ব্যারেল ডব্লিউটিআই অপরিশোধিত তেল ৭৪ ডলার ৯২ সেন্টে বিক্রি হয়েছে। ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেল বিক্রি হয়েছে ৮১ ডলার ৮১ সেন্টে। দুই সপ্তাহ আগে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ৯০ ডলারের বেশি ছিল। ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম ছিল ৮৫ ডলারের বেশি। সূত্র: দৈনিক বাংলা।

ব্যাংকের বাইরে থাকা বিপুল অর্থ অর্থনীতির মূল কাঠামোকে হুমকিতে ফেলছে কি

সম্প্রতি অবসরে যাওয়া প্রভাবশালী একজন সরকারি কর্মকর্তা দেশের অভিজাত একটি আবাসন কোম্পানি থেকে চারটি বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট কিনেছেন। গুলশানের এ অ্যাপার্টমেন্টগুলো কিনতে প্রায় ৩০ কোটি টাকা গুনতে হয়েছে তাকে। বড় অংকের এ অর্থের পুরোটাই আবাসন কোম্পানিটিকে নগদে পরিশোধ করেছেন তিনি। গাড়ি ভর্তি করে ঢাকার একাধিক বাড়ি থেকে ওই টাকা নিয়ে আসা হয়েছিল বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। রাজধানীর একটি আবাসন প্রকল্পে সম্প্রতি একজন ব্যবসায়ী অর্ধশত কোটি টাকায় একটি প্লট কিনেছেন। প্লট কেনার পুরো অর্থই নগদে পরিশোধ করেছেন তিনি। নগদ অর্থে প্লট কেনায় ওই ব্যবসায়ী মৌজা দরে নিবন্ধন করার পাশাপাশি অর্থের উৎসও গোপন রাখতে সক্ষম হয়েছেন। শুধু প্লট বা ফ্ল্যাট নয়, কার্ব মার্কেট থেকে ডলার কেনায়ও এখন নগদ অর্থের ব্যবহার বেড়েছে। সঞ্চয়ের পাশাপাশি বিনিয়োগ হিসেবেও খুচরা বাজার থেকে অনেকে ডলার কিনছেন। এক্ষেত্রেও ব্যাংকের বাইরে থাকা কালো টাকা ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। সূত্র: বণিক বার্তা।

নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানে থাকা ৬৬৮ কোটি টাকা আমানতের আশা কি ছাড়তে হবে আইসিবি’কে?

বিনিয়োগের বাজে সিদ্ধান্ত দুরবস্থায় ফেলেছে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)-কে। ১০টি নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানে (এনবিএফআই) ৬৬৮ কোটি টাকার ডিপোজিট এবং তার ১০০ কোটি টাকা সুদ– মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও না পেয়ে, সাহায্যের জন্য এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের দ্বারস্থ হয়েছে আইসিবি। আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল হোসেন দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপের পর, প্রতিষ্ঠানগুলির দুর্বল আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে ২০২১ সালে সেপ্টেম্বরে আংশিক সুদ পরিশোধ সাপেক্ষে মেয়াদোত্তীর্ণ ডিপোজিট নিষ্পত্তির (নগদায়নের) সময়সীমা আরও এক বছর বাড়ানো হয়। কিন্তু, ১০টির মধ্যে মাত্র পাঁচটি প্রতিষ্ঠান রিপেমেন্ট চুক্তি নবায়ন করে, যার মেয়াদও এরমধ্যে পেরিয়েছে। এজন্যই মেয়াদোত্তীর্ণ ডিপোজিটগুলো নগদায়ন করার ব্যবস্থা নিতে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে আইসিবি। সূত্র; বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

বড় অংকের ঋণ দিতে কী নিয়মনীতি রয়েছে ব্যাংকগুলোর?

বাংলাদেশে বেসরকারি একটি ব্যাংকে বড় অংকের ঋণ দেয়া নিয়ে অনিয়মের খবর প্রকাশের পর বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, ঋণ অনিয়মের বিষয়টি তারা ‘মনিটরিং ও সুপারভিশন’ করবে। বাংলাদেশের গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে যে, ভুয়া ঠিকানা ও কাগুজে কোম্পানি খুলে ইসলামী ব্যাংক থেকে ২৭০০ কোটি টাকা তুলে নেয়া হয়েছে। তবে সেই সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে ইসলামী ব্যাংক জানিয়েছে, যথাযথ নিয়মনীতি মেনেই ঋণ দেয়া হয়েছে। এর আগেও বাংলাদেশে সরকারি ও বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলো থেকে নিয়মনীতির বাইরে বড় অংকের ঋণ বিতরণের অভিযোগ উঠেছে। তার অনেক ঋণ খেলাপি হয়ে যাওয়ারও উদাহরণ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, মালিকপক্ষের চাপ ও রাজনৈতিক প্রভাবে এসব ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু ব্যাংক থেকে বড় অংকের ঋণ বিতরণে কী ধরনের নিয়ম-কানুন রয়েছে? নিয়ন্ত্রক বাংলাদেশ ব্যাংক এক্ষেত্রে কতটা নজরদারি করে? সূত্র: বিবিসি বাংলা ।

যাত্রী খরায় কমেছে আয়
রাইড শেয়ারিং ছাড়তে চাইছেন চালকরা

তিন বছর আগে হিসাবরক্ষকের চাকরি ছেড়ে বেশি কামাইয়ের আশায় রাইড শেয়ারিং শুরু করেন শেরপুরের যুবক মুন্না তালুকদার। করোনায় যাত্রী কমে গেলেও শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলো কমিশন কমায়নি। অনেকটা ক্ষুব্ধ হয়েই রাইড শেয়ারিং অ্যাপ ব্যবহার বন্ধ করেন। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির আগে ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালিয়ে ২৫-৩০ হাজার টাকা আয় হতো। গত জুলাইয়ের পর এই আয় অর্ধেকে নেমেছে। রাইড শেয়ারিং এখন আর প্রয়োজন না। অতিমাত্রায় প্রয়োজন হলেও ব্যবহার করা হয় না। অন্যান্য খরচ এতটা বেড়েছে যে, মোটরসাইকেলে না চড়ে এখন একটু হেঁটে কিংবা বাসে যাতায়াতের চেষ্টা করি। অন্যদিকে কয়েক দফায় বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম। খরচের যুদ্ধে টিকতে না পেরে প্রথমে পরিবারকে বাড়ি পাঠিয়েছেন। যাত্রী কমে যাওয়া, ট্রাফিক পুলিশের হয়রানি সর্বোপরি পণ্যের দামের লাগামহীন ঘোড়ায় পরাস্ত এই যুবক বলেন, রাইড শেয়ারিং ছেড়ে দিয়ে নতুন করে আবার চাকরিতে ফিরবেন। শেরপুরে যে অ্যাগ্রো ফার্মে তিনি কাজ করতেন সেখানে যোগদান করতে পারেন। মুন্নার মতোই অবস্থা বেশিরভাগ ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল চালকের। তারা বলছেন, যারা অফিস কিংবা ব্যবসা করেন তারা শখের বসে অ্যাপ ব্যবহার করে রাইড শেয়ারিং করেন। যারা জীবিকা নির্বাহ করেন তারা অ্যাপ ছাড়াই রাইড শেয়ারিং করেন। উদাহরণ দিয়ে পল্টনের জামান টাওয়ারের রাইড শেয়ারিংচালক নুরুজ্জামান বলেন, দিনে ৩০০ টাকার তেল খরচ আছে একটা গাড়ির। পল্টন মোড় থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত কেউ যদি রাইড নেয় তার আসে ১২০-১৫০ টাকার মতো। এর মধ্যে কাস্টমারের ডিসকাউন্ট, অ্যাপের কমিশন সবকিছু কেটেকুটে চালকের পকেটে ঢোকে ৫০ থেকে ৬০ ঢাকা। যানজটের কারণে সামান্য দূরত্বে অনেক সময় লেগে যায়। সারাদিনে চার-পাঁচটা রাইড পাওয়া যায়। অ্যাপে চালালে তেলের খরচও ওঠে না। সূত্র: জাগো নিউজ