এসএসসির ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৪:৩৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৯, ২০২২

চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল গতকাল (২৮ নভেম্বর) প্রকাশিত হয়েছে। যেই পরীক্ষার্থীরা কাঙ্ক্ষিত ফল পাননি, তারা চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন।

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) থেকে আগামী ০৫ ডিসেম্বর (সোমবার) পর্যন্ত ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করা যাবে।

ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো: আবুল বাশার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইল ফোন থেকে আবেদন করা যাবে। ম্যাসেজ অপশনে গিয়ে RSC লিখে বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর দিয়ে রোল নম্বর এবং বিষয় কোড লিখে ১৬২২২ নম্বরে পাঠাতে হবে।

উদাহরণ হিসেবে ঢাকা বোর্ডের কোনো পরীক্ষার্থীর রোল নম্বর 123456 হলে এবং বাংলা প্রথমপত্রের জন্য আবেদন করতে চাইলে Message অপশনে ঢুকে RSC Dha 123456 101 লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। ফিরতি এসএমএসে আবেদন বাবদ কত টাকা কেটে নেওয়া হবে তা জানিয়ে একটি পিন নম্বর দেওয়া হবে। এতে সম্মত থাকলে ম্যাসেজ অপশনে গিয়ে RSC Yes Pin Contact Number (যেকোনো মোবাইল অপারেটর) লিখে ১৬২২২-তে পাঠাতে হবে।

পুনঃনিরীক্ষণের ক্ষেত্রে একই এসএমএস’-এর মাধ্যমে একাধিক বিষয়ের জন্য আবেদন করা যাবে। সেক্ষেত্রে কমা দিয়ে বিষয় কোডগুলো আলাদা করে লিখতে হবে। যেমন- বাংলা ও ইংরেজি দুটি বিষয়ের জন্য মোবাইলের ম্যাসেজ অপশনে গিয়ে RSC Dha রোল নম্বর 101, 102, 107, 108 লিখতে হবে। এক্ষেত্রে প্রতিটি পত্রের জন্য ১২৫ টাকা করে ফি দিতে হবে।

Nagad

বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়/বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা এই তিন বিষয়ের ক্ষেত্রে আবেদন করার প্রয়োজন নেই।

এদিকে, মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষার ফলাফল সোমবার (২৮ নভেম্বর) প্রকাশিত হয়েছে। এদিন দুপুরে নিজ কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এসএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত ফল জানান।

মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় এবার ১৯ লাখ ৯৪ হাজার ১৩৭ জন ছাত্র পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। যা ২০২১ সালের তুলনায় ২ লাখ ২১ হাজার ৩৮৬ জন কম। অংশ নেওয়াদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১৭ লাখ ৪৩ হাজার ৬১৯ জন।

মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৯ লাখ ৯৫ হাজার ৯৪৪ জন ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল, তাদের মধ্যে পাস করেছে ৮ লাখ ৭৩ হাজার ৫৭৩ জন। আর জিপিএ-৫ পাওয়া ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১ লাখ ২১ হাজার ১৫৬ জন ছাত্র এবং ১ লাখ ৪৮ হাজার ৪৪৬ জন ছাত্রী।

জানা গেছে, ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৯০.০৩ শতাংশ, ময়মনসিংহে ৮৬.৭ শতাংশ, রাজশাহীতে ৮৫.৮৮ শতাংশ, কুমিল্লায় ৯১.২৮ শতাংশ, বরিশালে ৮৯.৬১ শতাংশ, সিলেটে ৭৮.৮২ শতাংশ চট্টগ্রামে ৮৭.৫৩ শতাংশ, যশোরে ৯৫.০৩ শতাংশ দিনাজপুরে ৮১.১৪ শতাংশ। এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ পরীক্ষার্থী।

প্রকাশিত ফলাফলে ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে গড় পাসের হার ৮৮ দশমিক ১০ শতাংশ। মাদরাসা বোর্ডে পাসের হার ৮২ দশমিক ২২ শতাংশ এবং কারিগরি শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৮৪. ৭ শতাংশ।

সারাদিন/২৯ নভেম্বর/এমবি