আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৩৭ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ৩০, ২০২২

সমাজকল্যাণমন্ত্রীর এলাকা
ভুয়া রোগী বানিয়ে অর্থ আত্মসাতে মন্ত্রীঘনিষ্ঠরা

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের কাশিরাম গ্রামের মুন্সিপাড়ার সহিদার রহমান, তাঁর মা নৈতানী খাতুন, স্ত্রী আবিদা খাতুন, ছোট ভাই সফিয়ারের স্ত্রী মহিলা খাতুন ৫০ হাজার টাকা করে সরকারের চিকিৎসা সহায়তা পেয়েছেন। কিন্তু যে জটিল ছয় রোগের জন্য সরকার চিকিৎসা সহায়তা দেয়, তাঁদের সেই রোগ নেই। মূলত ক্যানসার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, স্ট্রোকে প্যারালাইজড, জন্মগত হৃদ্‌রোগ ও থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত গরিব রোগীদের আর্থিক সহায়তা দেয় সরকার। আর্থিক সহায়তা প্রাপ্তির যোগ্যতা ও শর্তাবলিতে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট রোগের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ও টেস্ট রিপোর্ট অবশ্যই থাকতে হবে। তাঁদের এসব রোগ নেই। কিন্তু কাগজে তাঁদের এমন রোগী দেখানো হয়েছে। সূত্র: প্রথম আলো

মহাকাশ প্রযুক্তির নতুন পর্যবেক্ষণ
সন্দ্বীপে মিশে যাচ্ছে আরও দুই দ্বীপ

নদীবিধৌত পলি জমছে বঙ্গোপসাগরে। সেখানে সৃষ্টি হয়েছে জাহাইজ্যারচর, ভাসানচর, উরিরচর নামের দ্বীপ। এ চরগুলোর মধ্যে জাহাইজ্যারচর ও ভাসানচর দিনে দিনে বিস্তৃত হচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে এ দুই চর সন্দ্বীপের সঙ্গে মিশে সৃষ্টি হচ্ছে বিশাল এক দ্বীপাঞ্চল। ইতোমধ্যে ভাসানচর ও জাহাইজ্যারচর সন্দ্বীপের সঙ্গে মিশে যাওয়ার প্রবণতা প্রবলভাবে পরিলক্ষিত হয়েছে। মহাকাশ প্রযুক্তির প্রয়োগে এক গবেষণায় এমনই নতুন পর্যবেক্ষণ উঠে এসেছে। বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান (স্পারসো) সম্প্রতি এ গবেষণা পরিচালনা করে। স্পারসোর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মাহমুদুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, আমরা স্যাটেলাইট ছবি থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করি। দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে। জাহাইজ্যারচর ২০ বছরে অনেক বড় হয়ে গেছে। এটি আগে অনেক ছোট ছিল। ২০০০ সালের ছবিতে ভাসানচর দেখাই যায় না। অথচ পরবর্র্তী সময়ে এটি সৃষ্টি হয়ে দিনে দিনে বড় হচ্ছে এবং একসময় এগুলো আলাদা আলাদাভাবে ছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, ধীরে ধীরে জাহাইজ্যারচর, ভাসানচর সন্দ্বীপের সঙ্গে মিশে একটা বড় দ্বীপের অংশ হয়ে যাচ্ছে। আমরা জোয়ারের সময়েরও ছবি নিয়েছি। সেখানেও এগুলো স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। তিনটি দ্বীপই এখন মোটামুটিভাবে মিশে গেছে। এগুলোর মাঝে ছোট ছোট কিছু চ্যানেল আছে; কিন্তু সেগুলো বেশ নগণ্য। স্যাটেলাইট ছবি বা মানচিত্র দেখলেও বোঝা যায়, এগুলো এখন একীভূত হয়ে গেছে। সূত্র: যুগান্তর

১১ মাসে নদীতে ৩২৫ লাশ পরিচয় মেলেনি ৯২ জনের

দেশে নদ-নদী ও সাগর থেকে গত ১১ মাসে ৩২৫টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪৯ জনকে হত্যার পর লাশ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। এসব ঘটনায় হত্যা মামলা করা হয়েছে। অন্যদিকে নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে জেলেদের জালে উঠে আসছে মৃতদেহের কঙ্কাল-খুলি।
জামালপুরের মাদারগঞ্জে যমুনা নদী থেকে ব্যাগভর্তি মানুষের মাথার খুলি ও হাড় উদ্ধার করা হয়েছে। সর্বশেষ চট্টগ্রাম ইপিজেড থানা এলাকা থেকে অপহৃত শিশু আয়াতকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ ছয় টুকরা করে সাগরে ফেলে দেওয়া হয়।
পুলিশ বলছে, হত্যার পর নদীতে কেন লাশ ফেলা হচ্ছে দীর্ঘ তদন্তে তার কারণ বেরিয়ে এসেছে। নদীতে লাশ ফেলে দেওয়ার পর দ্রুত তাতে পচন ধরে। ফলে উদ্ধারের আগেই লাশের চেহারা বিকৃত হয়ে আলামতও নষ্ট হয়ে যায়। এতে আর লাশ শনাক্ত করা যায় না। নিজেদের আড়াল করতেই হত্যাকারীরা নদীতে লাশ ফেলে দেয়। সূত্র: কালের কণ্ঠ

Nagad

পাচারের অর্থ ফেরত পেতে তৎপরতা নেই

অর্থ পাচার বিষয়ে ২০১০ সালের মামলা ঝুলে রয়েছে এখনও। শুনানির জন্য বারবার সময় বাড়ানো এবং এক শুনানি থেকে পরের শুনানির মধ্যে অনেক লম্বা সময় দেওয়া হচ্ছে। আবার বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছে তথ্য চেয়ে আশানুরূপ সাড়া মিলছে না। প্রাথমিক প্রমাণের ভিত্তিতে ২০১৮ সাল থেকে এ পর্যন্ত শুধু দুদক ৩৪ পাচারকারীর তথ্য চেয়ে অনুরোধ করে একটিও পায়নি। পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে প্রয়োজনীয় তথ্য, সাক্ষ্য-প্রমাণ ও অন্যান্য সহায়তা বিষয়ে সাতটি দেশের সঙ্গে চুক্তির অনুরোধ (এমএলএ) দীর্ঘদিন ধরে ঝুলছে। এভাবে পাচার করা অর্থ ফেরত আনার ক্ষেত্রে তৈরি হয়েছে নানা সংকট। সংশ্নিষ্ট সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর মাধ্যমে এসব সমস্যার দ্রুত সমাধান প্রয়োজন বলে মনে করছে পাচার করা অর্থ ফেরত আনা-সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় টাস্কফোর্স। গতকাল মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় টাস্কফোর্সের বৈঠকে এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, কাস্টমস গোয়েন্দা এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা অংশ নেন। সূত্র: সমকাল

কী হবে ১০ ডিসেম্বর
২৬ শর্তে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি নয়াপল্টনে অনড় বিএনপি

বিএনপিকে ঢাকা বিভাগের গণসমাবেশের জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) অনুমতি দিয়েছে। তবে বিএনপির পছন্দ মতো নয়াপল্টনে নয়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে দেওয়া হয়েছে ২৬টি শর্ত। বিএনপি বলছে, তাদের এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নয়াপল্টনেই সমাবেশ করার। এ ক্ষেত্রে জনমনে প্রশ্ন- কী হবে ১০ ডিসেম্বর। নয়াপল্টনে অনড় বিএনপি : রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির গণসমাবেশের ডিএমপির অনুমতির চিঠি গতকাল বিকালে দলীয় জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর কাছে পাঠানো হয়েছে। তবে রুহুল কবির রিজভী পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, নয়াপল্টনেই তারা সমাবেশ করতে চান। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নয়। তারা নয়াপল্টনের সমাবেশের ব্যাপারে অনড়।পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী নয়াপল্টনে দলের কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। এ বিষয়ে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেন, আমরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের জন্য অনুমতি চাইনি। নয়াপল্টনের জন্য চেয়েছিলাম। এখন ডিএমপির পক্ষ থেকে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

ডলার সংকট, রেমিট্যান্স প্রবাহ নিম্নমুখী

সপ্তাহে মধ্যপ্রাচ্যে যাচ্ছে ২৮৫ ফ্লাইট
কভিড-পূর্ববর্তী সময়ের সঙ্গে প্রবৃদ্ধি ৩৮%

প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ কমছে। রয়েছে ডলারের তীব্র সংকটও। এরই মধ্যে রিজার্ভ নেমে এসেছে ৩৪ বিলিয়ন ডলারের ঘরে। এর মধ্যেও চাঙ্গা ভাব দেখা যাচ্ছে দেশের এভিয়েশন খাতে। শুধু মধ্যপ্রাচ্য রুটেই কভিড-পূর্ববর্তী সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৮ শতাংশ। চলতি সপ্তাহেও ২৬ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সাতদিনে বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্যে যাবে ২৮৫ ফ্লাইট।কভিড-পরবর্তী বিধিনিষেধ ও উড়োজাহাজ চলাচলে নিয়মনীতি শিথিল হওয়ার কারণেই মধ্যপ্রাচ্যে এখন ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, মহামারীর প্রাদুর্ভাব কমে আসার পর মধ্যপ্রাচ্যে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড গতিশীল হয়েছে। এ অঞ্চলের দেশগুলোয় এখন শ্রমিকের চাহিদাও বেশি। এছাড়া ওমরাহ করতে যাওয়া যাত্রীও বেড়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ থেকে ইউরোপ ও আমেরিকা মহাদেশের দেশগুলোয় যাতায়াতের অন্যতম গেটওয়ে এখন মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো। এরই ধারাবাহিকতায় মধ্যপ্রাচ্য রুটে ফ্লাইটের সংখ্যায় বড় ধরনের উল্লম্ফন ঘটেছে। সিভিল এভিয়েশন ও অফিশিয়াল এয়ারলাইনস গাইডস (ওএজি) ডাটাবেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোয় মধ্যপ্রাচ্য রুটে চলাচলকারী ফ্লাইটের সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। প্রতি সপ্তাহে বাংলাদেশ-মধ্যপ্রাচ্য রুটে চলাচল করছে ২৮৫ ফ্লাইট। এর মধ্যে ঢাকা-দুবাই রুটে চলাচল করছে ৪৮টি। দোহা, জেদ্দা, দুবাইসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পাশাপাশি এয়ার অ্যারাবিয়া, এমিরেটস, ফ্লাই দুবাই, ইউএস-বাংলাসহ দেশী-বিদেশী বিভিন্ন এয়ারলাইনস সংস্থা।তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যে বিরতিহীন ফ্লাইট পরিচালনায় শীর্ষ ১০ এয়ারলাইনসের মধ্যে দুটি সংস্থার সর্বোচ্চসংখ্যক ফ্লাইট চলাচল করছে ঢাকা রুটে। এয়ার অ্যারাবিয়ার ২৪০ ফ্লাইটের ২৭টি চলাচল করছে শারজাহ-ঢাকা রুটে। সাউদিয়ার দক্ষিণ এশিয়ায় মোট ফ্লাইটের সংখ্যা ১২৭। এর মধ্যে ২৩টি চলছে জেদ্দা-ঢাকা রুটে। সূত্র: বণিক বার্তা।

ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য পুঁজিবাজার থেকে ৭০০ কোটি টাকা সংগ্রহের পরিকল্পনা এক ডজন কোম্পানির

প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ৭০০ কোটি টাকার তহবিল তোলার পরিকল্পনা করছে এক ডজন কোম্পানি। নতুন সংগ্রহ করা মূলধন নিয়ে ব্যবসা সম্প্রসারণ করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো এমন এক সময়ে অর্থায়নের জন্য পুঁজিবাজারকে বেছে নিচ্ছে- যখন তারল্য সংকটের মধ্যে ব্যাংকের অর্থ ব্যয়বহুল হয়ে উঠেছে।তহবিল সংগ্রহকারীদের বেশিরভাগই ছোট কোম্পানি। এই কোম্পানিগুলো মহামারিজনিত লোকসান কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে, কিন্তু তাদের পক্ষে ব্যাংকের অর্থায়ন পাওয়া কঠিন। তবে কয়েকটি বড় গ্রুপও তাদের পুঁজিবাজার থেকে তহবিল সংগ্রহের পরিকল্পনা করছে। উদ্দেশ্য, তাদের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য সুনাম অর্জন এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করা।যেমন দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী পারটেক্স গ্রুপ তাদের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান পারটেক্স কেব্‌লসের জন্য একটি ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্প স্থাপন করতে বিদেশি বিনিয়োগ খুঁজছে। কোম্পানিটি কেব্‌ল উৎপাদনের জন্য কাঁচামাল সরবরাহ করবে। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

প্রবৃদ্ধি কমে ৬.৫ শতাংশ হবে

বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার ধাক্কা লাগতে শুরু করেছে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে। চলতি অর্থবছরে (২০২২-২৩) বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি কমে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ হতে পারে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মূল্যায়ন সংস্থা ফিচ সলিউশনস। গত অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৭ দশমিক ২ শতাংশ। যদিও বাংলাদেশ সরকার ৭ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে বাজেটে পূর্বাভাস দিয়েছিল। ফিচ সলিউশনস বলছে, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট থেকে উদ্ভূত উচ্চ মূল্যস্ফীতি, জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি, আর্থিক খাতে বিশৃঙ্খল অবস্থা উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারে। তবে কোভিড-১৯ বিধিনিষেধের টেকসই শিথিলতা প্রবৃদ্ধির সহায়ক থাকবে এবং এভাবে অর্থনৈতিক মন্দার মাত্রা সীমিত করবে।মার্কিন মূল্যায়ন সংস্থাটি বলছে, আগামী ত্রৈমাসিকে বাংলাদেশের অর্থনীতি তিনটি প্রধান বাধার মুখোমুখি হতে পারে। এগুলো হচ্ছে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, দুর্বল রেমিট্যান্সপ্রবাহ ও অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমে যাওয়া।
সর্বশেষ তথ্যে দেখা গেছে, গত অক্টোবরে ভোক্তা মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমে ৮ দশমিক ৯ শতাংশ হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। জ্বালানি এবং পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির দ্বিতীয় দফা প্রভাব অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে, যা মূল্যস্ফীতির চাপ আরও বৃদ্ধি করবে। সূত্র: দৈনিক বাংলা ।

বেসরকারিভাবে জ্বালানি তেল আনলে কী সুবিধা-অসুবিধা হবে?
বাংলাদেশের সরকারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, জ্বালানি তেলের আমদানি ও বিক্রির বিষয়টি তারা বেসরকারি খাতের জন্য খুলে দেয়ার পরিকল্পনা করছেন।প্রতিবেশী ভারতসহ বিশ্বের অনেক দেশেই বেসরকারিভাবে জ্বালানি তেল আমদানি ও বিক্রি করার সুযোগ রয়েছে। সেসব দেশে প্রতিদিন বা প্রতি ঘণ্টায় জ্বালানির দর নির্ধারণ করে দেয়া হয়।আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দর বৃদ্ধি আর বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রা সংকটের কারণে বহুদিন ধরেই জ্বালানি তেলের আমদানি ও বিক্রিতে বেসরকারি খাতকে যুক্ত করার বিষয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা।বিশেষ করে বাংলাদেশকে সাড়ে চারশো কোটি ডলার ঋণ দেবার প্রশ্নে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ যেসব শর্ত দিয়েছে, তার একটি হচ্ছে জ্বালানি তেলের ওপর থেকে ভর্তুকি কমিয়ে আনা। সেখানে জ্বালানির মূল্য-নির্ধারণ পদ্ধতি বাজারের ওপরেও ছেড়ে দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশে প্রতিদিন ১৩ থেকে ১৪ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আমদানি করা ডিজেলের বড় অংশ পরিবহন খাত এবং কৃষিকাজে সেচের কাজে ব্যবহার হয়।জ্বালানি তেলের জন্য ২০২১ সালে প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছিল বাংলাদেশের সরকার। তবে এই বছর তেলের দাম বাড়িয়ে ভর্তুকি অনেকটাই সমন্বয় করা হয়েছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

সব পথ মিলবে মাল্টিমডাল ট্রান্সপোর্ট হাবে, বদলে যাবে কমলাপুর

এখন প্রায় সোয়া লাখ যাত্রী ১১৭টি ট্রেনে যাতায়াতের জন্য দৈনিক কমলাপুর রেল স্টেশনে আসেন। স্টেশনের কাছেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে দূরপাল্লার বাস স্ট্যান্ডও।কয়েক বছরের মধ্যে এখানে যােগ হচ্ছে মেট্রো রেল, এক্সপ্রেসওয়ে আর বিআরটির পথও। রাজধানী ঢাকার ব্যস্ততম এ অংশে বিপুল এসব যাত্রীর ঢল সামাল দিতে ‘মাল্টিমডাল ট্রান্সপোর্ট হাব’ হিসেবে পরিচিত আধুনিক একটি বহুমুখী যাতায়াত কেন্দ্র গড়ে তোলার দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা এবার বাস্তবে রূপ দিতে কাজ শুরু হয়েছে; সরকারের নীতিগত অনুমোদনের পর অর্থায়নের চেষ্টা চলছে।পরিবহন খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থায় বছর কয়েকের মধ্যে আমূল বদল আসবে মেট্রো রেল, এক্সপ্রেসওয়ে ও বিআরটির হাত ধরে। সেটির সঙ্গে আধুনিক যাত্রীসেবার ব্যবস্থা করতেই উন্নত দেশের আদলে গড়ে তোলা হবে বিশাল বাজেটের এ মাল্টিমডাল ট্রান্সপোর্ট হাব। সূত্র: বিডি নিউজ