করোনার টিকার চতুর্থ ডোজ ষাটোর্ধ্ব মানুষ আগে পাবেন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
দেশের করোনাভাইরাসের টিকার চতুর্থ ডোজ ষাটোর্ধ্ব মানুষ আগে পাবেন-বলে জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, চীন, জাপানসহ বেশ কয়েকটি দেশে করোনা সংক্রমণ আবার বাড়ছে। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। যদিও দেশে সংক্রমণের হার তুলনামূলকভাবে অনেক কম। দেশে করোনায় মৃত্যু ৩০ হাজারের কম। তবে আমরা একটি মৃত্যুও চাই না।
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিশ্ব এইডস দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।


এসময় তিনি বলেন, চিকিৎসা না নিলে এইডস একটি ভয়ানক ব্যাধি। এইডস একজনের থেকে আরেকজনের মধ্যে সংক্রমিত হতে পারে অনিয়ন্ত্রিত জীবনের কারণে। অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে এইডস রোগীর সংখ্যা কম। আমরা সেটাকেও নিয়ন্ত্রণ করতে চাই। সরকার এইডস রোগীর চিকিৎসা বিনামূল্যে দিয়ে যাচ্ছে। যারা এইডস আক্রান্ত হয়েও চিকিৎসা নেন না, তারা মৃত্যুর মুখে পতিত হবে। আমরা চাই বাংলাদেশ থেকে এইডস নির্মূল হোক।
তিনি বলেন, সামাজিক কারণে অনেকে এইডসের চিকিৎসা নেন না। কেউ যদি জানেন তার এইডস আছে, তাহলে চিকিৎসা নেবেন এবং পরিবারকে সুরক্ষিত রাখবেন। এইডস আক্রান্ত রোগীদের আমাদের সহানুভূতির সঙ্গে দেখা প্রয়োজন। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে, সেখানে গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রায় এক কোটি লোক পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কাজ করেন। মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকায় যারা কাজ করেন, সেখান থেকে ফেরত আসা ব্যক্তিদের মধ্যে এইডস আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। তাদের পরিবারের সদস্যরাও এইডসে বেশি আক্রান্ত হন। এ সংখ্যা ঢাকা ও চট্টগ্রামে বেশি।
প্রসঙ্গত, বুধবার (৩০ নভেম্বর) করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ প্রয়োগের সুপারিশ করেছে সরকারের কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক বলেন, সম্মুখ সারির যোদ্ধা, ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি ও গর্ভবতীদের করোনা টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়ার সুপারিশ করেছে কারিগরি পরামর্শক কমিটি। সরকার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে শিগগিরই কার্যক্রম শুরু করবে।
চতুর্থ ডোজের জন্য পর্যাপ্ত টিকা আছে বলেও জানান তিনি।
মন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশে এইডস শনাক্ত রোগীর সংখ্যা রয়েছে ৯ হাজার ৭০৮ জন। মোট রোগী রয়েছে ১৪ হাজার ৫১৩ জন। অর্থাৎ চার হাজারের মতো এইডস রোগী এখনো শনাক্তের বাইরে রয়েছে। তারা নিজেরা চিকিৎসা নিতে আসেনি এবং এ রোগটা তারা ছড়াচ্ছে। এতে প্রথমেই তাদের পরিবার আক্রান্ত হবে। আমি আহ্বান করবো তারা যেন চিকিৎসা নিতে এগিয়ে আসেন। ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা বাংলাদেশ থেকে এইডস নির্মূল করতে চাই।
সারাদিন. ১ ডিসেম্বর. আরএ