‘২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কাজ করা হচ্ছে’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ১:২৭ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৪, ২০২২

২০৪১ সালে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কাজ করা হচ্ছে-বলে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী যুদ্ধের জন্য নয়, শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য; বাংলাদেশ যুদ্ধ নয়, শান্তিতে বিশ্বাসী। দুর্যোগ-দুর্বিপাক সবক্ষেত্রেই সেনাবাহিনী যথাযথ ভূমিকা পালন করছে।

রোববার (৪ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারীর বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে (বিএমএ) ৮৩তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ পরিদর্শনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, ৭৫ সালের পর দীর্ঘ ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। তখন সেনাবাহিনীকে আধুনিকায়ন করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়। আমরা শান্তি চাই, যুদ্ধ নয়। জাতির পিতাই বলেছেন- সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়, আমরা তা মেনে চলছি।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্য স্থির করে আমাদের সুবর্ণজয়ন্তী ২০২১ সাল পালন করেছি। ২০২০ সালে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী পালন করেছি।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীর বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে (বিএমএ) পৌঁছান তিনি। সেখান থেকে দুপুরে পলোগ্রাউন্ড পাঠে জনসভায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি ভাষণ দেবেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের মধ্যেদিয়ে বিজয় অর্জন করে স্বাধীন হয় দেশ। আর এই স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন এ সশস্ত্র বাহিনী প্রতিষ্ঠিত হয়। জাতির পিতা স্বাধীনতার পর দেশ গঠনের দায়িত্ব নেন, ওই সময় তার একটাই লক্ষ্য ছিলো আমাদের স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে সশস্ত্র বাহিনীকে পেশাদার ও শক্তিশালী বাহিনীতে গড়ে তোলা।

Nagad

ভাষণের শুরুতে তিনি ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্টে ঘাতকদের হাতে তার পরিবারের সদস্যদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কথা স্মরণ করেন।

এর আগে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ-২০২২ পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী। সকাল ১০টার দিকে সেখানে পৌঁছে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন তিনি।

মিলিটারি একাডেমি থেকে দুপুরে হেলিকপ্টারে চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামে আসবেন শেখ হাসিনা। স্টেডিয়াম থেকে গাড়িতে প্রধানমন্ত্রী পলোগ্রাউন্ডে জনসভায় যোগ দেবেন।

চট্টগ্রাম নগর, চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে একটি ১৬০ ফুট লম্বা নৌকার আদলে তৈরি সভা মঞ্চে ভাষণ দেবেন তিনি। এরই মধ্যে চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাস্থল ঘিরে কঠোর নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলা হয়েছে।

চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এই জনসভার আয়োজন করা হয়েছে। জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম সফরে ৩০টি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং চারটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এজন্য জনসভার মঞ্চের পাশে ভিত্তিফলকগুলো স্থাপন করা হয়েছে।