কক্সবাজার পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

কক্সবাজার পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতোমধ্যে ইনানি সমুদ্র সৈকতে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে নৌ বাহিনী আয়োজিত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২৮ দেশের নৌ বাহিনী ও মেরিটাইম সংস্থার অংশগ্রহণে চার দিনব্যাপী ইন্টারন্যাশনাল ফ্লিট রিভিউ (আইএফআর)-২০২২ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন তিনি।

এর আগে বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের ইনানী-পাটোয়ারটেক সৈকতে পৌঁছান। সেখানে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক নৌশক্তি প্রদর্শন মহড়ার উদ্বোধন করেন।

জানা গেছে, এই ‘আন্তর্জাতিক ফ্লিট রিভিউ’তে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২৮টি দেশের ৪৩টি যুদ্ধ জাহাজ, দুটি বিএন এমপিএ এবং ৪টি বিএন হেলিকপ্টার অংশগ্রহণ করেছে।

এদিকে বুধবার বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ‘কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ’ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

এদিকে জনসভা দুপুরে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে জনসভাস্থলে আসতে শুরু করেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি উপজেলা থেকেও মিছিল নিয়ে আসছেন নেতাকর্মীরা। তাদের স্লোগানে-স্লোগানে মুখর রাজপথ। দলের নেতারা জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাড়ে পাঁচ বছর আগে পর্যটন শহরের উন্নয়নের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন। উন্নয়নের ছোঁয়ায় বদলে যাওয়া নগরীতে আবার আসছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী ২০১৭ সালের ৬ মে এসে কক্সবাজারকে প্রাচ্যের সুইজারল্যান্ড হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এর আলোকে নেয়া হয় ৩ লাখ কোটি টাকার ৪০টি মেগা প্রকল্প।

প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সর্বস্তরের জনগণ উৎফুল্লিত। উৎসবমুখর পরিবেশে আওয়ামী লীগ প্রধানকে স্বাগত জানাতে গোটা শহরটিকে রঙিন সাজে সজ্জিত করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম জানান, নিরাপত্তার কারণে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও এর আশপাশের এক কিলোমিটার সড়কে কোনো যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে না। জেলা পুলিশের পাশাপাশি অন্য জেলাগুলো থেকে আসা পুলিশ সদস্যদের মাধ্যমে কক্সবাজারে কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। আমরা নিরাপত্তার বিষয়টি সফলভাবে দেখভাল করছি।

সারাদিন. ৭ ডিসেম্বর. আরএ