‘রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল’
‘মানবাধিকার রক্ষায়, রাস্তাঘাট বন্ধ করে কোনো জনসমাবেশ করা যাবে না বলে সংবিধানে উল্লেখ রয়েছে। তাই রাস্তাঘাট বন্ধ করে সভা-সমাবেশ করা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল।’-বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, কেউ কেউ এই মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘যারাই মানবাধিকার লঙ্ঘন করবে তাদেরকেই আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে।’
মন্ত্রী বলেন, যাদের দেশে সবচেয়ে বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয় তারাই বাংলাদেশের কিছু কিছু বিষয় নিয়ে হস্তক্ষেপ করে। এছাড়া যারা বিদেশে বসে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কাজে যুক্ত রয়েছে তাদের ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রেও সহযোগিতা করে না।
শনিবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লু-তে মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রদূতরা যখন কথা বলেন তখন ওই দেশের সঙ্গে তাদের বন্ধুত্ব, গভীরতা ও দেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে সুচিন্তিতভাবে কথা বলা উচিত। বিদেশিদের এমনভাবে কথা বলা উচিত যেন বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকে। ভিয়েনা কনভেনশনে এটাই লেখা আছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর অধিকার ক্ষুণ্ন হওয়ার বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ প্রকাশের সঙ্গে একমত নয় বাংলাদেশ।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। সেক্ষেত্রে সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করে না এবং করবেও না।
রাষ্ট্রদূত হয়ে যারা বাংলাদেশে আছেন তারা তাদের রাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করেন উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, তারা যখন কথা বলেন তখন তাদের দেশের পরিস্থিতি মাথায় রেখে কথা বলা উচিত। বিদেশিদের এমনভাবে কথা বলা উচিত যেন বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকে।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর অধিকার ক্ষুন্ণ হওয়ার বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ প্রকাশের সঙ্গে একমত নয় বাংলাদেশ।’
বিএনপির গণসমাবেশ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘তাদের গণসমাবেশ করতে কোনো বাধা নেই কিন্তু তারা গণসমাবেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে। দেশে সব ধরনের সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।’