মুখের ঘা সহজে সারানোর উপায়

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮:০১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩১, ২০২২

ছবি- সংগৃহীত

মুখের জীবনকে নরক করে তোলে। জিভে, গালে বা ঠোঁটের ভিতরে ছোট ছোট ফোস্কা হয়। এটাকেই মাউথ আলসার বা মুখের ঘা বলে। এমনটা হলে খাওয়া-দাওয়া প্রায় মাথায় ওঠে। এমনকী পানি খেতেও কষ্ট হয়। অনেক সময় কথা বলাও অসম্ভব হয়ে পড়ে। কেন এমনটা হয়?

মুখে ঘা হওয়ার নির্দিষ্ট কোনও কারণ নেই। বিভিন্ন ব্যক্তির ক্ষেত্রেও কারণটা ভিন্ন ভিন্ন। তবে সাধারণত প্রয়োজনীয় ভিটামিনের অভাব, ডিহাইড্রেশন এবং কিছু খাবার থেকে এমনটা হয়। মুখের ঘা সারাতে বাজারে বেশ কিছু ওষুধ ও মলম আছে। তবে ঘরোয়া উপাদান ব্যবহার করেই মাউথ আলসার বা মুখের ঘা নিরাময় সম্ভব। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘নিউজ১৮’র এই নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তা নিচে তুলে ধরা হলো-

হলুদ গুঁড়ো: হলুদের ঔষধি গুণের তুলনা নেই। যে কোনও ক্ষতই অল্প সময়ে সারিয়ে দিতে পারে। তাছাড়া সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতাও রয়েছে হলুদ গুঁড়োর। তাই এটা মুখের ভিতরের আলসারকে নিরাময়ে সাহায্য করে।

হলুদ গুঁড়ো ও সামান্য পানি মিশিয়ে একটা পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। তারপর সেটা লাগাতে হবে ক্ষতস্থানে।

মধু: মধুর ঔষধি ও অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল গুণাগুণ তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। আলসার নিরাম্যের সময়, মধু আশেপাশের জায়গাটিকেও রক্ষা করে এবং এলাকাটিকে সংক্রমিত হওয়া থেকে বাঁচায়।

আলসারের উপর বেশি করে মধু দিতে হবে। মিষ্টি স্বাদের কারণে এটা খেয়ে ফেলার সম্ভাবনা আছে। তবে চিন্তার কারণ নেই। প্রতি ২ ঘণ্টা অন্তর অন্তর ক্ষতস্থানে মধু দিয়ে যেতে হবে। একদিনের মধ্যে হাতেনাতে ফল মিলবে।

Nagad

অ্যাপেল সিডার ভিনিগার: এতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট রয়েছে। যার ফলে দ্রুত ক্ষত সারায় এবং মুখের ভিতরের জীবাণুগুলির সাথে লড়াই করতে পারে। এগুলোই মূলত মাউথ আলসারের জন্য দায়ী।

এক কাপ হালকা গরম পানি, এক টেবিল চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে সেটা মুখে নিয়ে ভালো করে কুলকুচি করতে হবে। প্রতিদিন সকালে এবং রাতে করলে আলসার দ্রুত সেরে যাবে।

নারকেল তেল: নারকেলের বেশ কিছু নিরাময় বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা মুখের আলসার সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। এর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য আলসারকে প্রাকৃতিকভাবে দূর করে।

রোজ রাতে ঘুমনোর আগে আলসারের ওপর নারকেল তেল লাগালে কিছুক্ষণের মধ্যেই ব্যথা কমে যায়। এটা ওষুধের দোকানের মলমের চেয়েও দ্রুত এবং ভালো কাজ করে।

নারকেল দুধ: নারকেল দুধ মুখের ঘাগুলোতে একটা শীতল এবং প্রশান্তিদায়ক প্রভাব ফেলে। ফলে ক্ষতস্থানে ঠান্ডা অনুভূতি এনে দেয়।

প্রতিদিন ২ থেকে ৩ বার নারকেল দুধে গার্গেল করতে হবে। এতে আলসারের প্রচণ্ড ব্যথা কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে যাবে। এছাড়া নারকেল দুধ নিয়ে ৫ মিনিট কুলকুচি করলেও ভালো ফল মিলবে।

সারাদিন/৩১ ডিসেম্বর/এমবি